ইয়াক উৎসব ২০২৫ : সান্দাকফু তে তুষার পাত উৎসবের মেজাজ আলাদা

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমতল থেকে প্রায় ১২০০০ ফুট উঁচু পর্বত সান্দাকফু ও ফালুটের বিভিন্ন হোটেল ও হোমস্টেতে এখন পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। পর্যটকদের কাছে সান্দাকফু ও ফালুটের আকর্ষণ বাড়াতে গত রবিবার (১৩. ০৪. ২০২৫) থেকে ইয়াক বা চমরিগাই পর্যটন উৎসব শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে দু'দিনের এই উৎসবের সূচনাতেই সান্দাকফুতে তুষারপাত পর্যটকদের বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে।


ইয়াক বা চমরিগাই

ইংরেজি ভাষায় চমরী গাইকে 'ইয়াক' বলা হয়, যেটা পুরুষ এবং স্ত্রী দুটি প্রজাতিকেই বোঝায়, যদিও অন্যান্য ভাষায় "ষাঁড়" বা "গরু" পৃথক লিঙ্গ নির্দেশ করে। 'চমরী গাই' একটি দীর্ঘ কেশী গৃহপালিত প্রাণী যা ভারতীয় উপমহাদেশের হিমালয় অঞ্চল, তিব্বতি মালভূমি, উত্তর মায়ানমার, ইউনান, সিচুয়ান এবং মঙ্গোলিয়া এবং সাইবেরিয়া জুড়ে পাওয়া যায়।

ছবি : গুগল


সিঙ্গালিলা বনাঞ্চলে চমরিগাই অত্যন্ত পরিচিত নাম। আগে এই চমরিগাইকে ব্যবহার করেই পণ্য আনা নেওয়ার কাজ হত। সান্দাকফুতে ট্রেকিংয়ে যাওয়া পর্যটকদের ব্যাগপত্রও এই চমরিগাইয়ের পিঠে চাপিয়েই দুর্গম পথ বয়ে নিয়ে যাওয়া হত। বছর কয়েক আগে চমরিগাই মাধ্যমে গণ্য পরিবহণের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। সিঙ্গালিলার বনবস্তিতে বসবাসকারীরা, অনেকেই বাড়িতে চমরিগাই পালন করে সংসার চালান। চমরিগাই নিয়ে বাড়ির কর্তা গাইড হিসাবে ট্রেকারদের সঙ্গ দিয়ে রোজগারের সুযোগ পেতেন। কিন্তু এখন সেই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


চমরিগাই দের নিয়ে পর্যটন

এরই পাশাপাশি আরও একটা দিক খুলে গিয়েছে তা হল এই চমরিগাই দের নিয়ে পর্যটন। চমরিগাইকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। সান্দাকফু, ফালুট পর্যটনস্থলের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে আরও বাড়াতেই এই চমরিগাই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।


এই উৎসবে অংশ নিতে গোটা এপ্রিল মাস জুড়েই এই অঞ্চলে হোটেল, লজগুলির বুকিং পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। 


থাকুমে চমরিগাই পর্যটন উৎসব

প্রতি বছর থাকুমে চমরিগাই পর্যটন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবার এই উৎসব অষ্টম বর্ষে পা দিয়েছে। এবারের উৎসবে পর্যটকরা প্রায় ১৩০টি চমরিগাইয়ের দর্শন সান্দাকফুতে বছরে পাবেন। পাশাপাশি চমরিগাইয়ের দুধ থেকে তৈরি সুরপি, দই, ঘি, চিজ সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থাও থাকছে। উৎসবের শুরুতেই রবিবার সান্দাকফুতে বছরের দ্বিতীয় তুষারপাত চাক্ষুস করে পর্যটকরা ব্যাপক খুশি।


এবারে উৎসবের পাশাপাশি সান্দাকফুর ঐতিহ্যবাহী ল্যান্ড রোভার গাড়িতে চড়ার সুযোগও মিলছে। এই উৎসবের যোগ দিতে গত শনিবার (১২. ০৪. ২০২৫) সকালে দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে প্রচুর পর্যটক ল্যান্ড রোভারে চেপে ফালুটে পৌঁছেছেন। রবিবার তাঁরা ফালুট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকুমে উৎসবে যোগ দেন। সেখান থেকে পর্যটকরা সান্দাকফুতেও যাবেন।


সান্দাকফুতে হোটেল ও লজ 

উৎসবে অংশ নিয়ে চমরিগাই দেখার আনন্দ নিতে সান্দাকফুতে অনেক পর্যটক আগেই পৌঁছে গিয়েছেন। তবে সান্দাকফু, থাকুম, ফালুটে খুব বেশি পরিমাণে হোটেল, লজের ব্যবস্থা না থাকায় বহু পর্যটককে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না বলে উৎসবের আয়োজকরা জানিয়েছেন।


সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কথায়, 'এখন যে পর্যটকরা উৎসবে যেতে চাইছেন, তাঁদের সকালে গিয়ে বিকেলে দার্জিলিং ফিরে আসতে হবে। কেননা আগামী কয়েকদিন ওই এলাকায় রাত্রীযাপনের জন্য কোনও হোটেল, লজে আর জায়গা নেই।

Madhyamik 2025 : এই কৌশল গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করলে সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ শনিবার পর্যন্ত। হাতে রয়েছে আর মাত্র কিছুদিন। ৮ দিন ধরে মোট আটটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শেষ দিনে হবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। 

এখন দেখে নেয়া যাক , রুটিন অনুযায়ী কোন পরীক্ষার আগে কতদিন ছুটি।


মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন:

১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (সোমবার)- বাংলা

১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার)- ইংরেজি

১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার) - গণিত

১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (সোমবার)- ইতিহাস

১৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার )- ভূগোল

১৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বুধবার)- জীবন বিজ্ঞান

২০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)- ভৌত বিজ্ঞান

২২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার)- ঐচ্ছিক বিষয়


ছাত্র ছাত্রী দের পরীক্ষা প্রস্তুতির সাথে সাথে একটা চিন্তা থাকে কিভাবে পরীক্ষার ফল ভালো করা যায়। কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল ভালো করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রতিদিনের পড়াশোনা ও তার পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করার। তাহলে অনেক কম পরিশ্রমেও সহজেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সফ্টড্রিংক ড্রিংক গ্রহণ করার পর বোতল ফেলে দিচ্ছেন? পেতে পারেন স্মার্টফোন।

সুতরাং সব বিষয়ে আগামী পরীক্ষায় বাজিমাত করতে হলে প্রতিদিনের কার্যপ্রণালী বা পরীক্ষা হলে নিচের সহজ কৌশল গুলি অবলম্বন করলে পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো হতে বাধ্য ।

Success mantra of Madhyamik 2023

সুন্দর উপস্থাপনা

বাংলায় প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে - 'প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুনবিচারী। অর্থাৎ পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতা যেন সৌন্দর্যপূর্ণ হয় যেন সহজেই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরিস্কার, পরিছন্ন হাতের লেখা, প্রয়োজন অনুযায়ী মার্জিন ছেড়ে লেখা, প্রতিটি উত্তরের মাঝে নিদিষ্ট ভাবে ছেড়ে লেখা ইত্যাদি একটি ভালো খাতার বৈশিষ্ট। চেষ্টা করতে হবে যাতে ভুল বানান বা অযথা লিখে খাতায় কাটা কাটি না করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পেলো হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 

সময় ব্যবস্থাপনা

এটা ভুল ধারণা যে প্রচুর লিখে অনেক নম্বর পাওয়া যায়। প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেইটুকু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেই সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায়। এতে সময় অপচয় কম হবে আর সময়ের অভাবে প্রশ্নত্তর না লিখে আসার সম্ভাবনাও আর থাকবে না।

২০২০ সালের আপনার মিস হয়ে যাওয়া কিছু বাংলা সিনেমা 

না দেখে লেখার অভ্যাস করা

যে কোনও লেখা বুঝে পরার পর, না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। আমরা যায় পড়ি না কেন, কখনো টা হুবহু মনে থাকে না। তাই প্রথম দিকে না দেখে লিখতে গেলে টা ভুলে ভরা হবে, কিন্তু প্রতিদিন অভ্যাস করলে একসময় নির্ভুল হবেই। কথায় আছে 'Practice makes a man perfect.


পড়াশোনার ধারাবাহিকতা

পড়াশোনা করার ধারাবাহিকতা ভীষণ দরকার। অল্প হলেও প্রতিদিন পড়তে হবে। হটাৎ করে পরীক্ষার আগে, দিন রাত এক করে পড়লেও ভালো ফলাফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিষয় ভিত্তিক বুঝে পর্বে হবে। বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণ বা অংকের মত বিষয় প্রতিদিন চর্চার মধ্যে রাখতে হবে, তবে ফুল মার্কস পাওয়া যাবে।


মাধ্যমিক পরীক্ষাজেনে নিন ২০১৫ সাল থেকে কারা প্রথম স্থান পেয়েছে

প্রশ্ন নির্বাচন

অল্প লিখে ভালো নাম্বার পাওয়ার অন্যতম পন্থা - যেমন কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে তা নির্বাচন করা। যেমন ধরা যাক প্রশ্নমান - ৫ - এরকম তিনটি প্রশ্ন রয়েছে - যাদের নম্বর বিভাজন ৩ রকমের। প্রথম টি পুরো ৫ নম্বরের, দ্বিতীয় টি - ( ১+ ৪) ও তৃতীয় টি (২+৩), এক্ষেত্রে তৃতীয় প্রশ্নটি চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ প্রশ্নের মান যত কম হবেব তত কম লিখতে হবে ও নম্বর কাটা যাওয়ার সুযোগ কমতে থাকবে।

ভারতের ২৫ টি বিভিন্ন উৎসব

সৃজনশীলতা.

নোট বই থেকে উত্তর মুখস্হ করে হুবহু লিখতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই কিছু শব্দ বাদ পরে যাওয়া খুব সাধারণ একটি ভুল - সেক্ষেত্রে লাইন টির অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো যদি নিজেদের মত করে গুছিয়ে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা যায়। এতে লেখার সৃজনশীলতা আসবে ও ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।

কালিম্পঙ এর নিরালায় কাগে  অন্য স্পট 

Offbeat Explorer Kaghey at Kalimpong

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি:

যে সকল ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে নিয়ম করে উপস্থিত থাকে ও ক্লাস লেকচার শোনে তারা অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ছেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফলাফল করে। কারণ ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক কঠিন বিষয় দীর্ঘক্ষন আলোচনার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বুঝিয়ে দেন, যা আত্মস্থ করতে পারলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

এই যুগে মহাপুরুষ মনীষীদের কিছু দরকারী বাণী এবং কেন প্রয়োজন |

গ্ৰুপ স্টাডি করা:

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি গুরুত্ব পূর্ণ টেকনিক। একটা সঙ্গে গ্রুপ করে পড়লে সে বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মে, ফলে পড়ার বিষয় যেমন সহজ হয়, তেমনি একে অপরকে প্রশ্নত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুশীলন করলে দীর্ঘদিন সেই উত্তর স্মৃতিতে গেথে থাকে। এতে শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।

কেদারনাথে সোনায় বাধানো গর্ভগৃহ

'To the point' লেখা

জ্ঞান মুলক প্রশ্নের (মান - ১) ক্ষেত্রে একটি পূর্ণ বাক্য উত্তর লিখলেই যথেষ্ট। আখ্যানধর্মী প্রশ্নের ( মান - ৩) ক্ষেত্রে দুটি প্যারায় উত্তর লিখতে হবে। অন্যদিকে রচনা ধর্মী প্রশ্নের (মান -৫) ক্ষেত্রে ৩টি প্যারা বাঞ্চনীয়।

২০১৯ সালের কিছু ভালো বাংলা সিনেমা

সঠিক পরিকল্পনা :- 

অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল পায় না, এর প্রধান কারণ হল সঠিক পরিকল্পনার অভাব। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে এবং সময়সূচি মেনে পড়াশোনাও করতে হবে। এই সময়সূচিতে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে পঠনপাঠন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি নিজ হাতে লিখে নিতে হবে। 


রিভিশনের ওপর গুরুত্ব দেয়া:- 

প্রতিদিন পড়ার পাশাপাশি যা আগে পড়া হয়েছে তা রিভিশন অবশ্যই করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরোনো পড়া রিভিশনের এর জন্য রাখতে হবে। রিভিশন যত বেশি করবে আত্মবিশ্বাস তত বৃদ্ধি পাবে এবং পুরোনো পড়াগুলো অনেক বেশি মনে থাকবে।


মক টেস্ট ও পুরোনো প্রশ্নপত্র অনুশীলন:- 

অনুশীলন পারফেকশন আনে। পড়াশোনা শুধুমাত্র মুখস্থ করলেই হবে না বুঝে মুখস্থ করে তা বারবার অনুশীলন করতে হবে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ও মক টেস্ট সমাধান করতে হবে। শুধু পড়ার চেয়ে লিখে অনুশীলন করলে বিষয়বস্তু বেশিদিন মনে থাকে। অনুশীলনের মাধ্যমে ভুলগুলি চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে। বাড়িতে পরীক্ষার মাধ্যমিক এর মতো পরিবেশ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের সাহায্য নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।


স্মৃতি ধরে রাখার কৌশল 

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একটি বিশেষ সমস্যা হল পড়া ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ার সময় মূল পয়েন্টগুলোকে মার্ক করতে হবে এবং বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রাখতে হবে। একনাগাড়ে এক ঘণ্টার বেশি পড়া যাবে না এবং যা পড়লে তা কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে আবার নতুন পড়ার দিকে এগোতে হবে।


মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা 

পড়ার মাঝে এবং কিছু সময় বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য ব্যয় করতে হবে। মাঝে মাঝে মন অশান্ত হয়ে উঠলে ধ্যানের মাধ্যমে কোনও মহাপুরুষ বা তুমি যাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ভক্তি করো তাঁর কথা ভাবতে হবে। দেখা যাবে মন শান্ত হয়ে গিয়েছে। কঠিন বিষয়বস্তুকে উদাহরণ মনে রাখার ক্ষেত্রে নিজেরাই ছড়া বানিয়ে বা কোনও বর্ণগুচ্ছ বানিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করা ও এই ধরনের অভ্যাস যে কোনও কঠিন জিনিসকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে সাহায্য করে। 


পরীক্ষার আগের মানসিক প্রস্তুতি 

পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বিরত রাখতে হবে । এখন পরীক্ষাথীদের একমাত্র কাজ পরিকল্পনার মাধ্যমে অধ্যয়ন করা। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা, নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষজন থেকে নিজেদের দূরে রাখা। সর্বোপরি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে কারণ নিজের ওপর বিশ্বাসই হচ্ছে জীবনে উন্নতি লাভের একমাত্র পথ। 


পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কোনও পড়া কক্ষনো পড়তে যাবে না শুধুমাত্র পুরোনো পড়াগুলোই রিভিশন হবে। বেশি রাত্রি পর্যন্ত না জেগে পরের দিন পরীক্ষা দিতে গেলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকবে এবং ১০০ শতাংশ পরীক্ষার হলে উজাড় করে দেয়া যাবে।

Ghost: বাংলার ভৌতিক চরিত্র, একা রাতে এই তথ্য পড়ার সময় আপনিও একবার পিছন ফিরে তাকাবেন!

কিছুদিন আগেই স্ত্রী-২ সিনেমা রিলিজ হয়েছিল, স্ত্রী-২ ভুতের চরিত্র সারকাটা অর্থাৎ মাথা কাটা, এই সারকাটা বা ভুলভুলাইয়ার মঞ্জুলিকার মত বাংলায় অসংখ্য ভৌতিক চরিত্র অর্থাৎ অশরীরী চরিত্র বর্তমান।



বাংলার লোকসাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করবার সময় প্রথমেই যা নজরে আসে তাহল বাংলার ভৌতিক লোককথা। এই ভৌতিক লোককথার গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ভুতুড়ে চরিত্র। বাংলার অসংখ্য লেখক এই ভৌতিক চরিত্র গুলোর উপর গল্প উপন্যাস লিখে গেছেন। 

আরও পড়ুন : ২০২৪ এ সর্বাধিক আয় করেছিল ভারতের যে সিনেমা 

ভূত হল এক ধরনের অতৃপ্ত আত্মা। প্রাচীন লোককথা থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পর যে সমস্ত মানুষের আত্মা শান্তি খুঁজে পাইনি পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়িয়েছে তারাই হল ভূত। শুধু তাই নয় লোকসাহিত্য এটাও বলা হয়েছে, জীবজন্তুর আত্মাও মৃত্যুর পরে মুক্তি না পেলে অশরিরীয় শক্তিতে পরিণত হয়। বাংলার ভৌতিক লোককথায় ভুত, দৈত্য- দানব এই চরিত্রগুলি খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। শুধুমাত্র প্রাচীনকালে নয় বর্তমান সময়কালের রূপকথার গল্পেও এই চরিত্রগুলির বিবরণ পাওয়া যায়।


ভারতীয় লোকসাহিত্যে অনেক প্রকার ভুতূরে চরিত্রের প্রকাশ পাওয়া যায়। সেই সম্পর্কে নিম্নে কিছু ধারণা প্রদান করা হলো-


ডাইনি: 

লোকসাহিত্য থেকে জানা যায়, ডাইনি কোন আত্মা নয় এরা মৃত বা জীবিত দুধরনের হতে পারে। এরা  সাধারণত  জীবিত বৃদ্ধা নারী যারা ডাইনিবিদ্যায় পারদর্শী। এরা নিজেদের বৃদ্ধা রুপ লুকিয়ে যুবতী রূপ ধারণ করে থাকে এবং গ্রামগঞ্জের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বীকার করে। এই শিশুদের তুলে এনে হত্যা করে এরা তাদের রক্ত মাংস খেয়ে দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।


ব্রহ্মদৈত্য: 

প্রাচীনকালের অতি পরিচিত এক ধরনের ভূতুড়ে চরিত্র হলো ব্রহ্মদৈত্য। লোককথায় জানা যায়, ব্রহ্মদৈত্য হল অভিশাপগ্রস্ত ব্রাহ্মণের অতৃপ্ত আত্মা। সাধারণত এরা ধুতি ও পৈতা পরিধান করে থাকে এবং সমাজে এদেরকে পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এরা অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির হয়। বহু দুঃখী মানুষকে সাহায্য করে থাকে এবং বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করে।


দেও: 

এমন এক ধরনের ভূত যারা নদীতে বা

জলাশয় বসবাস করে। লোকমুখে শোনা যায়, এরা লোকজনকে জলে ডুবিয়ে মারে।


পেত্নি: 

প্রাচীন  ভৌতিক লোককথার একটি জনপ্রিয় চরিত্র হল পেত্নি । এরা হল নারীদের অতৃপ্ত আত্মা । লোককথা অনুসারে যেসমস্ত নারীরা বেঁচে থাকার সময় নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কোনটাই পূরণ করতে পারিনি। বিয়ের আগেই কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এবং তারা নিজেদের জীবনে কোনো খারাপ কাজ করবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সে সমস্ত নারীদের আত্মা মৃত্যুর পরেও মুক্তি না পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়ায়, এরাই পেত্নী নামে পরিচিত।


পেত্নীরা খুব বদমেজাজী হয়। এরা নিজের রূপ ও আকার বদলাতে পারে, এমনকি পুরুষের রূপ ধারণ করতে পারে। এরা সেইসব মানুষদের পছন্দ করে না যারা সুখে শান্তিতে বেঁচে আছে।


গেছো ভূত: 

গেছো  শব্দটি এসেছে গাছ থেকে। এমন কিছু ভূত রয়েছে যারা গাছে বাস করে তাদের বলা হয় গেছো ভূত।


বুকে চোখ: 

এই ধরনের প্রেতাত্মার কোন মাথা থাকে না। এদের বুকে একটিমাত্র চোখ থাকে এবং এরা মানুষের স্বপ্নে এসে ভয় দেখায়। এমনকি এই ভূতেরা রাতের একাকী মুহূর্তে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে।


পিশাচ: 

পিশাচ এক ধরনের দানব। এরা কোন আত্মা নয় দেহধারী শয়তান। এরা মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে। প্রাচীন লোককথা অনুসারে  এরা প্রায় এক হাজার, এক রাত্রি বেঁচে থাকে।


বোবা: 

রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে মানুষের উপর ভর করে এমন প্রেতাত্মার নাম বোবা। সাধারণত চিৎ হয়ে শুলে নাকি বোবা সহজে মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। এই সময় মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মানুষের বিকৃত স্বরে গোঙাতে থাকে এবং সহজে তাকে জাগিয়ে তোলা যায় না। এই সময় মানুষের  শরীরও  অসাড় হয়ে পড়ে।


মামদো ভুত: 

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, মামদো হলো মৃত মুসলমানদের আত্মা। মামদো ভূতের  শ্রেণীভূক্ত পেতাত্মা। এটি পুরুষ ভূত, এই ভূত বাতাসে মিশে থাকে এবং লোকালয়ের আশেপাশে কোন গাছ গাছরা আশ্রয় নেয়। এরা মানুষকে বিপদে ফেলতে এবং অনিষ্ট করতে অনেক আনন্দ পেয়ে থাকে।


টাকরা-টাকরি: 

লোককথায় টাকরা- টাকরি নামক এক অশরিরীয় প্রেতাত্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা ছোট ছোট শিশুদের ধরে খেয়ে ফেলে বলে  দীর্ঘদিন ধরে  প্রচলিত রয়েছে।


জিন: 

জিন জাতিতে হলো মুসলিম। এরা এক অশরীরী  ও শয়তান। এদের কোন রোগ নেই এরা অন্ধকারে  সবার অন্তরালে বাস করে। আরবি জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো অদৃশ্য বা গুপ্ত। এরা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে যেমন জিন-শয়তান, এরা শয়তানের বংশধর যারা ভগবানের আদেশ অমান্য করে খারাপ পথ বেছে নেয় এবং মানুষের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। এরা বিভিন্ন রূপও ধারণ করতে পারে।      


দ্বিতীয় হল ক্কারিন, এরা মানুষের মনে পাপের সঞ্চার ঘটায়। এরপর রয়েছে খাসিব, এরা নোংরা স্থানে থাকে এবং মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। 


লোককথা অনুসারে, কিছু ভালো জিনও রয়েছে। যারা মানুষের সাহায্য করে থাকে কিন্তু খারাপ জিন অনেক বেশি ক্ষতি করা হয়। এরা খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং সহজেই মানুষকে বশ করে নিতে পারে। এদের কোন রুপ বা আকার থাকেনা, কিছু অদ্ভুত শব্দের মাধ্যমে এরা  মানুষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।


ভূতুড়ে আলো: 

রাতের অন্ধকারে খোলা স্থানে ও জলাভূমির কাছাকাছি কোন স্থানে এই ধরনের আলো দেখতে পাওয়া যায়। মাটি থেকে একটু উপরে এই আলোগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকে। এই আলোগুলি  নিজেদের আকার রং বদলাতে পারে। এরা কখনো ধীরে আবার কখনো খুব দ্রুত গতিতে যাত্রা করে। যে মানুষেরা এই আলোগুলির পিছু নেয়  তারা আর কখনো ফিরে আসে না।


সুন্দরবন ও রাজস্থানে এই আলো প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, এই আলোর জন্যে বহু জেলেরা তাদের প্রাণ হারিয়েছে।


জুজু: 

এটি  হল স্ত্রীভূত। জুজু আসলে বৃদ্ধা  পিশাচ। লৌকিক কাহিনী অনুসারে, এরা ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যায়।


বেতাল: 

হিন্দু লোককাহিনী মতে, বেতাল একটি অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন প্রাণী। এটি  আত্মা বিশেষ  যার কোন মৃত্যু নেই, সে যে কারোর শরীরে ভর করতে পারে। 


বেতাল শ্মশান ঘাটে ঘুরে বেড়ায় এবং মৃত মানুষের শরীরে নিজেদের বাসা তৈরি করে। এরা সাধারণত গাছে উল্টো ঝুলে থাকে। রাজা বিক্রমাদিত্যের গল্পেও বেতাল চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।


কানাভুলো: 

এই শ্রেণীর ভূতেরা পথিকের গন্তব্য ভুলিয়ে দেয় এবং কোন নির্জন, অচেনা এলাকায় তাদের নিয়ে আসে। এদের জন্য কখনো কখনো মানুষের একই পথ দিয়ে বারবার যাত্রা করে ও ঘুরপাঁক খেতে থাকে। এরা তাদের শিকারকে পছন্দমত স্থানে নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করে। এই ভুতেরা নির্জন এলাকায় মানুষকে আক্রমন করে। এই ধরনের ভূতেদের  রাতে গ্রামের মাঠের ধারে এবং পথের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। 


ঝেয়ো পেত্নী: 

এই পেত্নীরা নিজেদের ঝাউগাছ লুকিয়ে রাখে। এরা পথযাত্রীদের নানাভাবে অত্যাচারিত করে।


ভরসন্ধ্যাবেলায় কোন পথিক একা একা ঝাউবন বেরোবার সময় তাদের এই পেত্নীরা গাছের সবচাইতে   উচু ডালে চড়িয়ে দেয়। 


ডাকিনী: 

ডাইনী বুড়িদের একশ্রেণীর মধ্যে হলে ডাকিনী। এরা পুকুর ধারে কোন নারকেল বা তাল গাছে বাস করে। ডাকিনী পাতিহাঁস খেতে খুব পছন্দ করে। এদের অন্যতম একটি অভ্যাস হলো, এরা দিনে দুপুরে মেয়েদের রুপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।


মেছোভুত: 

মেছো শব্দটি বাংলা মাছ শব্দ থেকে এসেছে। মেছো ভূতেরা মাছ খেতে খুব পছন্দ করে, এরা সাধারণত গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে যেখানে বেশি পাওয়া যায় সেসব স্থানে বাস করে।


মেছোভুত নির্জন স্থানে মাছ বহনকারী ব্যক্তিদের আক্রমণ করে, মাছ ছিনিয়ে নেয় আবার কখনো কখনো তাদের পিছু নিয়ে ফেলে। এরা জেলেদের নৌকা থেকে মাছ চুরি করে খেয়ে নেয়।


চোরাচুন্নি: 

প্রাচীন কাহিনী অনুসারে, চোরাচুন্নি হলো এমন কোনো অতৃপ্ত  আত্মা যারা  জীবিত অবস্থায় চুরির কাজে নিযুক্ত ছিল। মৃত্যুর পর কোন চোরেরা মুক্তি না পেলে তারাই চোরাচুন্নি তে পরিণত হয়।

                           

চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির হয় এরা মানুষের অনিষ্ট করতে থাকে। কথিত আছে, পূর্ণিমা রাতে এরা মানুষের বাড়িতে ঢুকে ক্ষতি সাধন করে। এদের হাত থেকে বাঁচতে গঙ্গাজল এর ব্যবস্থা করা হয় বাড়িতে।


কিচনি: 

কিচনি হলো জলের এক অলৌকিক জীব। এরা বদ্ধ পুকুর এবং জলাশয় বসবাস করে। যে স্থানের জল বেশি গভীর হয় সেখানে কিচনি থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। লোককথায় জানা যায়, কিচনির অনেক লম্বা কালো ঘন চুল থাকে।


বেঘোভূত: 

লোককাহিনী অনুসারে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, যেসব মানুষের মৃত্যু বাঘের আক্রমণের কারণে হয়েছে তাদের অতৃপ্ত আত্মারাই রুপ নেয় বেঘোভূতের।


বেঘোভূতেরা বনে আগত মধু সংগ্রহকারীদের পথ ভুলিয়ে বাঘের কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং তাদের ভয় দেখানোর জন্য কখনো কখনো বাঘের স্বরে ডেকে ওঠে। সাধারণত সুন্দরবন এলাকায় এ ধরনের ভূতের উপদ্রব বেশি প্রচলিত।


নিশি: 

ভূতেদের মধ্যে অন্যতম হলো নিশি এরা নির্জন এলাকায় মানুষ কে একা পেয়ে আক্রমণ করে। নিশি গভীর রাতে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে তার শিকারকে তাদের প্রিয়জনের কন্ঠে ডাক দেয় এবং ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করে। যে মানুষেরা নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে তাদের আর কোনদিনও দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে মনে করে, কিছু তান্ত্রিক প্রতিশোধের জন্য নিশিকে ব্যবহার করে থাকে। তবে লোককথা থেকে জানা যায়, নিশি কখনোই কোন মানুষকে দুবারের বেশী ডাকতে পারেনা।


স্কন্ধকাটা: 

এরা হলো এক অলৌকিক জীব। এরা মাথাবিহীন হয়ে থাকে এবং এলাকা বিশেষে এরা বিভিন্ন নামে পরিচিত। এরা হলো সেইসব মানুষের আত্মা যাদের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনায় মাথা কাটা পড়ার কারণে হয়েছে। এই শ্রেণীর ভূতেরা সবসময় তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায় এবং অন্যান্য মানুষকে আক্রমণ করে নিজের দাসে পরিণত করে। শুধু তাই নয় তাদেরকেও তার মাথা খোঁজার কাজে লাগায়। এরা পথের পাশে কোন গর্তে ঝোপেঝাড়ে বাস করে।

রায়গঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চাল অতুলনীয় স্বাদ ও সুগন্ধির জন্য বিশ্ব বাজারে সমাদৃত, কি এর গুণাবলী? কত চাষ হয়?

"তুলাইপাঞ্জি" নামটি দুটি বাংলা শব্দ থেকে এসেছে: “তুলাই” যার অর্থ কোমল বা হালকা এবং “পাঞ্জি” যার অর্থ চাল। এই জাতটির একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এটি শতাব্দী ধরে পশ্চিমবঙ্গে চাষ করা হয়ে আসছে, যার বৈশিষ্ট্যগুলি স্থানীয় রন্ধনপ্রথায় অঙ্গীভূত হয়েছে।


Pic: Amazon

তুলাইপাঞ্জিকে 'অ-বাসমতি সুগন্ধি চাল' হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এটির গড় দৈর্ঘ্য 5.5 মিমি, দৈর্ঘ্য/প্রস্থ অনুপাত 3.4 এবং প্রসারণ অনুপাত 1.6 সহ মাঝারি-লম্বা সরু দানা রয়েছে। 


এই জিআই ট্যাগ করা প্রাচীন লোক চাল 2012 লন্ডন অলিম্পিকে আমাদের অপরাজেয় রন্ধন সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেছিল! তুলার (তুলন) মতো সুগন্ধি এবং নরম, এটাই তুলাইপাঞ্জির অর্থ এবং স্বাদ। এর সুগন্ধি এই অ-বাসমতী ভাতকে পুলাও, ভাজা ভাত, বিরিয়ানি এবং পিঠে, পায়েশের মতো মিষ্টান্ন এবং স্থানীয় সুস্বাদু খাবারের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ করে তোলে। আমরা প্রায়শই এটি আমাদের রোজের চাল (আমাদের প্রতিদিনের চাল) হিসাবেও ব্যবহার করি।


রান্না করা ভাত খুব সুস্বাদু, গঠনে ভালো, চেহারায় উজ্জ্বল, উচ্চ অ্যামাইলোসকন্টেন্টের কারণে আঠালো নয় এবং ভঙ্গুর। তুলাইপাঞ্জিতে রয়েছে অ্যামাইলোজ- ২৮.৩%, প্রোটিন-৭.৩%। 


সম্প্রতি, তুলাইপাঞ্জি চাল তার বিশেষ সুগন্ধ এবং স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগত উপকারিতার জন্যও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এটি বিশেষত বাংলা রন্ধনশৈলীতে ব্যবহৃত হয়, যেমন পিঠে (চাল কেক) এবং পায়েস (মিষ্টি চালের পুডিং)।


এই চালটি তার মৃদু, বাদামী স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত, যা যে কোনও রান্নায় যোগ করলে তা উন্নত হয়ে ওঠে।


তুলাইপাঞ্জি চালের উপকারিতা:

তুলাইপাঞ্জি চালের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা স্বাস্থ্য-conscious মানুষদের জন্য এটি একটি ভালো পছন্দ করে তোলে। এটি থায়ামিন, নাইসিন, ভিটামিন B6, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। 


চালটিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক, যার ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এছাড়াও, এর উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট পাচন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।


তুলাইপাঞ্জি চালের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এর নিম্ন গ্লাইসেমিক সূচক। যেসব খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম, তা ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করা বাড়ানোর হার ধীর হয়। এর ফলে, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে এবং খাওয়ার পর দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্তি অনুভূতি বজায় রাখে। আরও কী, তুলাইপাঞ্জি চাল প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত, যা সেলিয়াক রোগ বা গ্লুটেন সহনশীলতা সমস্যাযুক্ত মানুষের জন্য উপযোগী।


কিছু গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়েছে যে, তুলাইপাঞ্জি চালের উপাদানগুলি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও কমিয়ে দিতে পারে। তবে, মনে রাখা উচিত যে তুলাইপাঞ্জি চালের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন। যে কোনো খাবারের মতো, এটি সুষম ডায়েটের অংশ হিসেবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।


উৎপাদনের সময় সীমা :

ঐতিহ্যগতভাবে, তুলাইপাঞ্জি অগাস্ট-ডিসেম্বর সময়কালে বর্ষা মৌসুমের পরে মধ্য-জমি থেকে উঁচু জমিতে এবং বিশেষ করে পাট কাটা ক্ষেতে কোনো সার ব্যবহার না করেই চাষ করা হয়। কম মাটির উর্বরতা এবং আর্দ্রতার চাপ সাধারণত ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে বিরাজ করে এবং সুগন্ধের পিছনে মূল কারণ বলে বিশ্বাস করা হয়। 


অজৈব সার সাধারণত এই চাল এর সুগন্ধ এবং অন্যান্য গুণগত মান কমিয়ে তোলে আর এই কারণে অজৈব সার তুলাইপাঞ্জি উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় না।


সাল অনুসারে ফলন :

বর্তমানের তথ্য অনুযায়ী খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর। উত্তর দিনাজপুরে জেলার একমাত্র নিজস্ব দেশি ধান তুলাইপাঞ্জি উৎপাদনে রেকর্ড উৎপাদন গড়লেন কৃষকরা। ২০২৪ সালের খারিফ মরশুমে সর্বাধিক বেশি তুলাইপাঞ্জির ফলন হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। 


শুধুমাত্র রায়গঞ্জ রায়গঞ্জ মহকুমার নির্দিষ্ট কৃষিজমিতে সুস্বাদু, সুগন্ধে অতুলনীয় তুলাইপাঞ্জি ধান চাষের সুযোগ সীমাবদ্ধ। জেলাজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে উচ্চ ফলনশীল আমন ধান চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ করেছিলেন ২২ হাজার ৩০০ কৃষক।  


২০২১ সালের থেকে অন্তত ৬ হাজার মেট্রিন টন বেশি তুলাইপাঞ্জি ধান উৎপাদন হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়, 


২০১৬- ১৭ অর্থবর্ষে মাত্র ৬ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ হত। 


২০১৮-১৯ সালে তার পরিমাণ বেড়ে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জির চাষ হয়। 


২০২০-২১ সালে ওই চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি আবাদ হয়েছিল। 


২০২১-২২ অর্থবর্ষে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। 


২০২১-এ ১৮ হাজার মেট্রিন টন তুলাইপাঞ্জি ফলন হয়েছিল। গত বছরের উৎপাদনকে পিছনে ফেলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিন টন, 


২০২৩- '২৪ সালে ৩০ হাজার মেট্রিক টন তুলাইপাঞ্জির ফলন হয়েছে। 


সম্প্রতি অর্থাৎ ২০২৫ সালে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন তুলাইপাঞ্জি ধান কৃষকের গোলায় উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।


রাজ্য সরকারের প্রকল্প :

সুগন্ধি ধান চাষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলার নিজস্ব তুলাইপাঞ্জি আবাদে কৃষকদের বিনামূল্যে তুলাইপাঞ্জির বীজ সরবরাহ করা হয়।


তুলাইপাঞ্জির চাহিদা গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রয়েছে। তাই জেলার রায়গঞ্জ এবং হেমতাবাদের চাষিদের তুলাইপাঞ্জি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলাইপাঞ্জির জমির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে ফলনও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 


জেলার কৃষি দপ্তর জানিয়েছে যদিও সেই সংখ্যা বাড়বে । জেলা কৃষি অধিকর্তাদের মত অনুযায়ী, 'সুগন্ধী ধান চাষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বাংলায় প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলার নিজস্ব তুলাইপাঞ্জি আবাদে কৃষকদের বিনামূল্যে তুলাইয়ের বীজ সরবরাহ করা হয়। তুলাইয়ের চাহিদা গোটা রাজ্যে রয়েছে। তাই জেলার রায়গঞ্জ এবং হেমতাবাদের চাষিদের তুলাইপাঞ্জি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। 


ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলাইয়ের জমির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে ফলনও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 'তুলাইপাঞ্জি ধানের জীববৈচিত্র্য যাতে কেউ চুরি করতে না পারে, সেই কারণে ২০১৭ সালে জিআই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তুলাইপাঞ্জি।' 


রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কর্ণজোড়া এলাকায় তুলাই ধান ভাঙার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। কৃষকদের এই ধান চাষে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক সুযোগসুবিধা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

Maha Kumbha Mela 2025 : এবারে চমকে দেবার মত বিশেষ কিছু তথ্য

 "কুম্ভমেলা" হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থযাত্রা, যা প্রতি ৩, ৬, ১২ এবং ১৪৪ বছরে একবার পালিত হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে পরিচিত। মেলাটি চারটি তীর্থস্থানে অনুষ্ঠিত হয়: প্রয়াগরাজ (যেখানে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলন), হরিদ্বার (গঙ্গা নদী), নাসিক (গোদাবরী নদী) এবং উজ্জয়িনী (শিপ্রা নদী)" (তথ্য : উইকিপেডিয়া )

আরও পড়ুন : ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ 



কুম্ভ মেলার প্রকারভেদ :

কুম্ভ মেলা চার প্রকারের হয় এগুলো হল কুম্ভ মেলা, অর্ধ কুম্ভ মেলা, পূর্ণ কুম্ভ মেলা এবং মহা কুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলার আয়োজন প্রতি তিন বছর অন্তর হয়। ১২ বছরে তিন বার কুম্ভ মেলা বসে। এই মেলা প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী তীরে বসে।


অর্ধ কুম্ভ মেলা ১২ বছরে দুবার হয় আর এই কুম্ভ মেলা কেবলমাত্র প্রয়াগরাজ ও হরিদ্বারে হয়।


পূর্ণ কুম্ভ মেলা প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী তীরে বসে জোতিষ গণনার মাধ্যমে ১২ বছরে একবার।


মহা কুম্ভ মেলা শুধুমাত্র প্রয়াগরাজেই আয়োজন করা হয় ১৪৪ বছর পর অর্থাৎ ১২ টি পূর্ণ কুম্ভের পর।

আরও পড়ুন : ভ্ৰমণ : চারখল 



২০২৫ এর মহাকুম্ভের সময় সীমা :

১৩ জানুয়ারি থেকে প্রয়াগরাজে মহা কুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলা এই বৃহত্তম ধর্মীয় মেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ পবিত্র সঙ্গমস্থলে ডুব দেবেন।

 

প্রয়াগরাজ : হোটেল ও ধর্মশালা :

এবারে কুম্ভ মেলা আসলে মহাকুম্ভ মেলা, আর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ শহরে ২১৮টি হোটেল, ২০৪টি গেস্ট হাউস এবং ধর্মশালা রয়েছে। প্রতিটি হোটেলেই তিল ধারণের কোনো জায়গা নেই প্রায়।


জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত হোটেলের রুমের দাম বহুগুণ বেড়েছে। যে হোটেল রুমগুলি ২৪ ঘণ্টায় ৭-৮ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, সেগুলি এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ হাজার টাকায়। তবে এই রেট শুধুমাত্র মৌনী মকর সংক্রান্তি, অমাবস্যা, বসন্ত পঞ্চমীর মতো বিশেষ স্নান উৎসবের জন্যই অত্যধিক বেশি।

আরও পড়ুন : ভ্রমণ : উত্তরবঙ্গের কালিপুর 


এই মেলা থেকে সরকারের আয় :

মহাকুম্ভ মেলা বিশ্বের বৃহত্তম অস্থায়ী শহরের সমতুল্য। যেখানে যেকোনও সময়ে একত্রে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।


প্রশাসনের হিসাব বলছে, মহাকুম্ভ মেলার এই বিরাট, বিপুল আয়োজনের মাধ্যমেই উত্তরপ্রদেশ 


 সরকারের প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে! 


সংবাদ সংস্থা আইএনএস-এর হিসাব অনুসারে, যদি মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থী ও ভক্তরা তাঁদের গড় খরচ বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করেন, তাহলেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের আয় এক লাফে বেড়ে দ্বিগুণ - প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা হবে! তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হলে সাধারণ এবং রিয়েল জিডিপি ১ শতাংশেরও বেশি বাড়বে।


এই মেলার সময়টায় বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পানীয় - যার মধ্যে রয়েছে প্যাকেট  বন্দি খাবার, জল, বিস্কুট, জুস এবং ভরপেট খাবার বা মিল - এই সবকিছুর বেচাকেনা করেই প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।


এছাড়াও, পুজোর সামগ্রী বেচা-কেনা করেও ভালোই লক্ষ্মীলাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের পণ্যের মধ্যে থাকছে - তেল, প্রদীপ, গঙ্গাজল, মূর্তি, লাঠি, ধর্মীয় বইপত্র প্রভৃতি। এসবের ব্যবসা করে আরও প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।

আরও পড়ুন : দেখুন উত্তরবঙ্গের তিস্তা বুড়ির নাচ 

আরও পড়ুন : ডুয়ার্স এ এবার হাতি কে স্নান করান সঙ্গে এলফির মজা নিন 


এছাড়াও রয়েছে পুণ্য়ার্থীদের যাতায়াত, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা সংক্রান্ত খরচপাতি ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যবসা। এসব থেকে অন্তত ১২,০০০ কোটি টাকা রোজগার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


পাশাপাশি, মহাকুম্ভ মেলার ফলে শুধুমাত্র পর্যটন ব্যবসার অধীনেই আরও ১৫,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হবে। এর মধ্য়ে রয়েছে - প্যাকেজ ট্যুর, গাইডের খরচ প্রভৃতি।


অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক পণ্য এবং ওষুধপত্র বিক্রি আরও প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা রোজগার হবে রাজ্যের।


অন্যদিকে, আধুনিক প্রযুক্তির প্রত্যক্ষ ব্যবহার করেও প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা রোজগার হবে। যার মধ্যে রয়েছে - ই-টিকেটিং, ডিজিট্যাল পেমেন্ট, ওয়াই-ফাই পরিষেবা, মোবাইল চার্জিং প্রভৃতি।


এছাড়াও, বিজ্ঞাপন ও বিপণনের মাধ্যমে আরও প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার কারবার হবে।


কুম্ভ ঘিরে পারদের মতো চড়েছে দাম। ভোপাল থেকে প্রয়াগরাজ যেতে বিমানের খরচ পড়ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই দাম পড়ছে ১৬ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গের লুপ ব্রিজ, এক দর্শনীয় স্থান 

২০১৯ এ অর্ধকুম্ভ মেলা থেকে কত আয় হয়েছিল :

২০১৯ সালে প্রয়াগরাজে যে অর্ধকুম্ভ মেলা হয়েছিল, তার ফলে রাজ্যের রোজগার হয়েছিল প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। সেবারের সেই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২৪ কোটি ভক্ত ও দর্শনার্থী।


আগ্রহী অন্যান্য দেশ :

কুম্ভ মেলা (Kumbh Mela) নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও এমনই তথ্য সামনে এসেছে। আসলে ট্রেন্ডিং টপিক সার্চের কুম্ভ মেলা নিয়ে যে দেশ সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছে সেটি হচ্ছে পাকিস্তান। শুধু পাকিস্তানই নয় এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাহরিন।


মহাকুম্ভ মেলায় আকর্ষণ :

মহাকুম্ভ মেলায় অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রে হর্ষা রিচারিয়া। তাঁর নানা ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছেন এই সাধ্বী। কে এই হর্ষা রিচারিয়া যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা? একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, অ্যাঙ্কর হয়ে উঠেছেন সাধ্বী…।


ভাইরাল গার্ল মোনালিসা 

মোনালিসা এবারের কুম্ভ মেলায় মালা বিক্রি করতে এসেছেন। তাঁর কয়রা চোখের এবং তাঁর সুন্দরতা নেটিজেনদের মুগ্ধ করেছে এবং যথারীতি তিনি ভাইরাল হয়েছেন। তাঁর অসংখ্য ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মাত করে রেখেছে। 


আবার কবে কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হবে?

প্রয়াগরাজের পরে কোথায় কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হবে?

প্রয়াগরাজের পরবর্তী কুম্ভ মেলা ২০২৭ সালে মহারাষ্ট্রের নাশিকে অনুষ্ঠিত হবে। এই কুম্ভ মেলা ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার শ্রাবণ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ শ্রাবণ পূর্ণিমা থেকে শুরু হবে, যা এক মাস স্থায়ী হবে। কুম্ভ মেলার প্রথম দিনে রাখিবন্ধন উৎসবও পালিত হবে। এই সময় লোকেরা গোদাবরী নদীর তীরে স্নান করে পবিত্র ডুব দেবেন। নাশিক ভারতের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শহর। নাশিকে ত্র্যম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গও রয়েছে।


২০২৮ সালে কোথায় কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হবে? 

নাশিকের পরবর্তী কুম্ভ মেলা ২০২৮ সালে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে অনুষ্ঠিত হবে। এই কুম্ভ মেলা চৈত্র মাসের পূর্ণিমা থেকে শুরু হবে অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকে। এই কুম্ভ মেলা বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা পর্যন্ত চলবে। এই সময় লোকেরা পবিত্র ক্ষিপ্রা নদীতে ডুব দেবেন। উজ্জয়িনী কুম্ভের সময় ক্ষিপ্রা নদীর রামঘাটে স্নান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। উজ্জয়িনীতে মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ স্থাপিত। এছাড়াও এখানে হরসিদ্ধি শক্তিপীঠও রয়েছে।


হরিদ্বারে কবে কুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে?

প্রয়াগরাজ, নাশিক এবং উজ্জয়িনী ছাড়াও হরিদ্বারেও প্রতি ১২ বছর অন্তর কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০৩৩ সালে হরিদ্বারে কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই কুম্ভ মেলা ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে, যা ১৫ মে পর্যন্ত চলবে। এক মাসব্যাপী এই কুম্ভ মেলায় লোকেরা পবিত্র গঙ্গা নদীতে স্নান করবেন। এটি পূর্ণ কুম্ভ হবে। হরিদ্বারকে ভগবান বিষ্ণুর নগরীও বলা হয়।


Kumbha Mela Bengali Article 

SMA Type 1: কৈলাস খের এর পর রূপম রানাঘাটের একরত্তি অশ্মিকার পাশে, আপনিও এগিয়ে আসুন|

স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA)

"স্পাইনাল পেশীবহুল অ্যাট্রোফি বিশ্বব্যাপী প্রতি 8,000 থেকে 10,000 জনের মধ্যে 1 জনকে প্রভাবিত করে।" - সূত্র: Medlineplus.gov


স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) টাইপ 1 একটি গুরুতর জেনেটিক অবস্থা যা শিশুদের প্রভাবিত করে। SMA1 নামক একটি জিনে সমস্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই জিনটি এমন একটি প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা মোটর নিউরনগুলির বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য, যা স্নায়ু কোষ যা পেশী নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রোটিন পর্যাপ্ত না হলে, মোটর নিউরনগুলি মারা যায়, এবং পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : শিশুর পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় 



রানাঘাটের অশ্মিকার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা 

রানাঘাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও অনামিকা দাসের ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে অশ্মিকা SMA টাইপ 1 এ আক্রান্ত। যার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা। https://www.impactguru.com/ সাইট টির মাধ্যমে অশ্মিকার চিকিৎসা করানোর জন্য ডোনেশন চাওয়া হয়েছে। 


অশ্মিকার বর্তমান অবস্থা : 

impactguru অশ্মিকার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেছে  এবং বলেছেন যে অশ্মিকা শীঘ্রই নিচের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।


- তার ঘাড় ধরে রাখার অক্ষমতা

- সমর্থন ছাড়া বসতে অক্ষমতা

- খাবার খেতে বা গিলতে অক্ষমতা 

- ঘুরতে না পারা

- এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়


এভাবেই টাইপ-1 এসএমএ অশ্মিকার মতো একটি সুন্দর শিশুকে কষ্ট দিচ্ছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার বিস্ময়কে ধন্যবাদ, এমনকি টাইপ-১ এসএমএর মতো নিষ্ঠুর অবস্থাও কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এখানেই রয়েছে টুইস্ট।


ফেসবুকে রূপম ইসলাম ও ফসিল টীমের আবেদন 

কিছুদিন আগে রানাঘাটে প্রোগ্রাম করার পর রূপম ইসলাম ও তাঁর ফসিল টীম ছোট মেয়েটি যাতে তাঁর ২য় বর্ষ জন্মদিন পালন করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এবং মেয়েটিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করতে Fund Raising এর জন্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা ফেসবুক ওয়ালে কি বলেছেন তুলে দেয়া হল :- 


"গতকাল আলাপ অশ্মিকার সঙ্গে, রানাঘাট শো-তে গিয়ে। আর কী অদ্ভুত সমাপতন, আমাদের জন্মদিন একই দিনে, অর্থাৎ আজ!  

 

আমরা সবাই মিলে, একসঙ্গে অশ্মিকা-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা তো জানাবই, এবং পরের জন্মদিন একসঙ্গে, আরও বড়ভাবে কাটানোর জন্য এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেব। আর তার জন্য দরকার আপনাদের সাহায্যের। কেন? কারণ, অশ্মিকা এক বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত, Spinal Muscular Atropy. চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ ওর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় আর মাত্র ৬ মাস।  আনতে হবে বিদেশ থেকে। আর ওষুধের দাম ১৬ কোটি টাকা (+ ট্যাক্স + জিএসটি)। এই দাম একার আয়ত্তের বাইরে হলেও, আমাদের সবার ছোট ছোট সাহায্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আয়ত্তের বাইরে নয়। তাই, সবার কাছে আমাদের এগিয়ে আসবার অনুরোধ থাকলো! #Fossils "


ডোনেশন লিঙ্ক: https://www.impactguru.com/fundraiser/help-aasmika-das

Pic Collected : Facebook


কৈলাস খের জীর আবেদন 

রূপম ইসলামের মত বলিউড বিখ্যাত গায়ক কৈলাস খের জী ও রানাঘাটে গান করতে এসে এই ছোট্ট একরত্তি মেয়েটিকে সকলের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন করেছেন। 


অশ্মিকার জন্য ফান্ড কিভাবে দিতে পারবেন 

ছোট ছোট করে আমরা যদিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তুলি তবে ১৬ কোটি টাকা তোলা খুব সহজেই সম্ভব হবে। এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ ওর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় আর মাত্র ৬ মাস আর আনতে হবে বিদেশ থেকে। আর ওষুধের দাম ১৬ কোটি টাকা (+ ট্যাক্স + জিএসটি)। ইমপ্যাক্টগুরু এই সাইটের ডোনেশন লিংক  থেকে UPI এর মাধ্যমে ডোনেশন করতে পারবেন। 


সমস্ত বাধা বিগ্ন পেরিয়ে অস্মিকা একদিন হেসে খেলে বড় হয়ে উঠবে এই আসায় আমরা সকলে অধীর অপেক্ষায় রইলাম। এই ব্লগ এর মাধ্যমে যদি সামান্য পরিমান ডোনাশন ছোট্ট মেয়েটির চিকিৎসার উদ্দেশে যায় তবে নিজেকে ধণ্য ও গর্বিত অনুভব করবো। 


এই পোস্ট এর কমেক্টের অপেক্ষায় #edik-odik, মন যা চায় 

Elfi 2025 : এবার হাতিদের স্নান করানো ও তাদের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দিচ্ছে বন দপ্তর

জঙ্গল ঘুরতে আসা আর তাঁর সঙ্গে জংলী হাতির দর্শন পাওয়া মানে সোনাই সোয়াগা। আর যদি খুব কাছ থেকে হাতির ছবি তোলার সুযোগ থাকে তবে যাত্রাটাই হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর। আর এই সুযোগই আসতে চলেছে।


সেলফি তোলার সুযোগ

হাতিদের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ কেবল মাত্র ২০ টাকায়। ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের সঙ্গে পর্যটকদের সেলফি তোলার এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে 'এলফি'।

আরও পড়ুন : ভ্রমণ : উত্তরবঙ্গের কালিপুর 


এলফি জোন 

বন্যপ্রাণ বিভাগের জেনি, হিলারি, মাধুরী, ডায়নার মতো কুনকি হাতিদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা কাটানোর ফাঁকে নিজের মুঠোফোনে নিজস্বী তোলার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। চলতি শীতের মরশুমেই ধূপঝোরার এই এলফি জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। 



ধূপঝোরায় বন্যপ্রাণ বিভাগের এলিফ্যান্ট ক্যাম্প রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকা কটেজগুলিও খুলে দেওয়া হয়েছে। ধূপঝোরায় এলিফ্যান্ট ক্যাম্পেই রয়েছে কুনকি হাতি আর মাত্র ২০ টাকায় হাতিদের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। 

আরও পড়ুন : ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ 

আরও পড়ুন : দেখুন উত্তরবঙ্গের তিস্তা বুড়ির নাচ 


ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের সঙ্গে পর্যটকদের সেলফি তোলার এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে 'এলফি'।


বন্যপ্রাণ বিভাগের জেনি, হিলারি, মাধুরী, ডায়নার মতো কুনকি হাতিদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা কাটানোর ফাঁকে নিজের মুঠোফোনে নিজস্বী তোলার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। 


চলতি শীতের মরশুমেই ধূপঝোরার এই এলফি জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। 

আরও পড়ুন : কলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রণ, সহজ উপায় 


এলফি জোনের খরচ 

বন দপ্তরের এই উদ্যোগ খুবই আকর্ষণীয় হবে। যে কোনও পর্যটক ধূপঝোরায় গিয়ে মাত্র ২০ টাকায় এন্ট্রি নিয়ে হাতিদের সঙ্গে পিলখানার সামনে থেকে সেলফি তুলতে পারবেন।' পিলখানার কাছে হাতিদের থেকে কিছুটা দূরত্বে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড, যাতে কুনকির সামনে কোনও পর্যটক যেতে না পারেন। এই ব্যারিকেডের মুখেই বেশ কয়েকটি সেলফি জোন। এলিফ্যান্ট ও সেলফি শব্দ দুটিকে মিলিয়ে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে 'এলফি জোন'। 

আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য, ইউরিক অ্যাসিড কি? কেন হয়? নিরাময় কিভাবে? 

আপাতত পিলখানার সামনে ব্যারিকেড ও এলফি জোন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে বন্যপ্রাণ বিভাগ। সকালের একটা নির্দিষ্ট সময় নাকি দুপুরের দিকে এলফি জোনে যাওয়ার অনুমতি মিলবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একসঙ্গে কতজন পর্যটক এলফি জোনে যেতে পারবেন, তাও খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে বন দপ্তর। 

আরও পড়ুন : দাঁতের ক্যাভিটির নিরাময় 


হাতিকে স্নান করানোর দৃশ্য

এছাড়াও গরুমারায় চালু হচ্ছে কুনকি হাতিদের 'বিউটি পার্লার'। চলতি মাস থেকেই হাতিকে স্নান করানোর দৃশ্য দেখতে পারবেন পর্যটকরা। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে।

ধুপঝোড়াতে হাতিকে স্নান করানোর দৃশ্য 


চলতি জানুয়ারি ২০২৫ থেকেই মূর্তি নদীতেই হাতিকে স্নান করানোর সময় পর্যটকরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি কুনকির গায়ে জল ছেটাতেও বাধা থাকবে না।' জঙ্গলে হাতির স্নান দেখা দুর্লভ ব্যাপার। কুনকি হাতিদের স্নানের দৃশ্য দেখাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

আরও পড়ুন : ভ্ৰমণ : চারখল 

বন দপ্তর সূত্রে খবর, মাহুতরা মূর্তি নদীতে সাবান মাখিয়ে হাতিকে স্নান করান, হাতির কান, পায়ের নখ পরিষ্কার করে থাকেন। 'সেই সমস্ত কিছুই বিউটি পার্লারের মতো। মূর্তি নদীতে ওই দৃশ্য এবার সকলেই দেখতে পারবেন। 


ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে পিলখানায় রয়েছে হিলারি, মাধুরী, জেনির মতো পোষা বা কুনকি হাতি। করোনার আগে এই কুনকিদের মূর্তি নদীতে স্নানের দৃশ্য দেখতে পেতেন পর্যটকরা। করোনাকালের পর থেকে এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা। অবশ্য সেই পরিষেবা ফের চালু হওয়ার খবরে পর্যটক মহল খুশি। 


লাটাগুড়িতে বেড়াতে আসা কলকাতার বিভিন্ন বাসিন্দা বলেন, 'হাতিকে স্নান করানো দেখতে মুখিয়ে আছি। পরিষেবা চালু হলে একবার এসে ওই অভিজ্ঞতা নিয়ে যাব।'

আরও পড়ুন : নতুন সিনেমা ফ্রি তে পেতে চান? টেলিগ্রাম জয়েন করুন

ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে 'বন্ধ থাকা ইকো কটেজগুলি চালু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পিলখানায় সেলফি তথা "এলফি' পয়েন্ট।



এলিফ্যান্ট সাফারি:

এলিফ্যান্ট সাফারিও চালু হবে। আসলে ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে ইকো ট্যুরিজম পরিষেবা চালু হতে চলেছে। সার্বিকভাবে এলিফ্যান্ট রাইডিং, সেলফি জোন, এলিফ্যান্ট বাথিং এই মাসেই চালু করা হবে।' 

আরও পড়ুন : পৃথিবীর সেরা হ্যাকার   

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ধূপঝোরাকে কেন্দ্র করে বন দপ্তরের নিত্যনতুন পরিকল্পনা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে। কুনকি হাতিকে স্নান করানোর অভিজ্ঞতা নেওয়ার বিষয়টা খুবই রোমাঞ্চকর। এই সিদ্ধান্তে পর্যটনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায় গতি আসবে। সবমিলিয়ে একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য।

আরও পড়ুন : বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যে ১০টি ভুল কখনই করবেন না

Bhojpuri Song 2025: এটা ছাড়া শীতের পিকনিকে মজা পাওয়া যায় না।

শীতের দিনের আমেজটাই আলাদা। কখনো কুয়াশা, কখনো রোদ। আর এখন উপযুক্ত সময় চড়ুইভাতী অর্থাৎ পিকনিক এর। পিকনিক! আর নাচ হবে না? কিন্ত ধামাকাদার গান তো দরকার, যাতে মনের সুখে কোমরটাকে ভালোভাবে দোলানো যায়। আছে! আছে! ভোজপুরি গান। একবার চালালেই নেশা ধরে যাবে। হিন্দির কিছুটা কাছাকাছি, কিন্তু ভাষা খুব বেশি বোঝার প্রয়োজন নেই, শুধু গানের বিট গুলো ধরে নেশার মত নাচতে থাকা। 


আরও পড়ুন : বিনামূল্যে ছবি ডাউনলোডের কিছু আদর্শ সাইট


ফাটাফাটি কিছু ভোজপুরি গানের তালিকা 

Song - Balamuwa Ke Ballam (2024)

Singer - Samar Singh, Neha Raj

Geet - Alok Yadav

Music - ADR Anand

Concept - Samar Modi

Director - Ashish Satyarthi

Project manager - Sonu Srivastava

Music Label - T-Series

আরও পড়ুন : হার্ট এর রোগ ও ধর্মীয় প্রভাব 

Meri Jalti Jawani Mange Pani Pani (2017)

Song - Jawani Mange Pani Pani

Artist - R C Aarshi Upadhyay

Writer - Ajay Hooda

Singer - Ruchika Jangid

Music - T R Music

Director - Pawan Gill 

Label - Mor Music Company

Special Thanks - Vikas Singhroha & Ramkesh Jiwanpurwala

Audio Studio - Mor Music Audio Recording Studio

Production House - Mor Digital Recording

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ 


Song : Tut Jai Palang Raja Ji (2022)

Singer : Khesari Lal Yadav, Indu Sonali

Music : Chhote Baba

Lyrics : Sumit Singh Chandravansh


Song :- Lolly Pop Lageli (2015)

Singer :- Pawan Singh

Writer :- Zahid Akhtar

Music :- Vinay Vinayak 


আরও পড়ুন : শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত 

Song - Kamar Kare Lach Lach (2023)

Singer / Actor - Neelkamal Singh

Feat- Shrishti Uttrakhandi

Lyrics - Krishna Sangam

Music - Shubham SBR

Composer - Neelkamal Singh 


Song : Dhani Ho Sab Dhan (2023)

Singer : Power Star Pawan Singh & Shivani Singh

Ft. : Queen Shalinee 

Lyrics : Ashutosh tiwari

Music :Priyanshu Singh


Song :- Apne Labhar Ko Dhokha Do (2023)

Singer :- Chand Jee & Shilpi Raj

Lyrics :- imran Bhai

Music Director :- Gaurav Roshan


Song:- Komor UP komor Down (2022)

SINGER - NEELKAMAL SINGH 

FEAT - SHRISHTI UTTRAKHANDI

STARRING - NEELKAMAL SINGH,FEAT - SHRISHTI UTTRAKHANDI

MUSIC - VINAY VINAYAK

LYRICS - ASHUTOSH TIWARI

Dooars Loop Bridge 2025 : জাতীয় সুরক্ষা ও পর্যটনের আকর্ষণ

ডুয়ার্সের বাগরাকোটে রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু, ভারতীয় সেনাবাহিনীর চীন সীমান্তে যাওয়ার এই রাস্তা জনগণের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু


রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু:

পশ্চিমবঙ্গ (ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য ) রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের জেলা জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে। যদিও সেতুটি  সর্বসাধারণের জন্য এখনও খুলে দেওয়া হয়নি। তবে রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ইতিমধ্যে বাগরাকোটে ভিড় জমাচ্ছেন ।


আরও পড়ুন : কেরাম খেলে রোজগার করুন 


লুপ সেতুর দূরত্ব :

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে প্রথম ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ - ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ১৮ কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা। বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। দু’টি ভাগে সেতু রয়েছে ৷ একটির দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার ও অপরটির ৫০০ মিটার।


লুপ সেতু কোথায় যুক্ত হচ্ছে :

বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা । আগামিদিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে। সেতু ও রাস্তাটি অনেকটা সাপের মতো একে বেঁকে যাওয়ার কারণে এই সেতু ও রাস্তার নাম অনেকে স্নেক রোড দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন : রভী তেজার ২০২৩ এর ছবি 

আরও পড়ুন : ২৫ দিনে পয়সা ডবল হেরাফিরী ৩ (২০২৫)


লুপ সেতু, রাস্তা ও জাতীয় সুরক্ষা :

শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা ধস বা প্রাকৃতিক অনেক কারণে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় । এর কারণ তিস্তার ভাঙন ও ধস। এতদিন ওটি ছিল সোনাবাহিনীর পরিবহণের একমাত্র রাস্তা । সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায়।


তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেই দিক থেকে বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে এবার থেকে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে । সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা থাকবে৷

আরও পড়ুন : বাস্তার ২০২৪, সুদীপ্ত সেনের চলচ্চিত্র 


সেভক বা 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা হবে এটি ৷ বাগরাকোট দিয়ে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হাসিমারা ও বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিকে যুক্ত করবে । একইসঙ্গে বাগরাকোট ডামডিম এলাকায় রেললাইনের উপর একটি বড় সেতুও তৈরি করা হচ্ছে । সব মিলিয়ে নাথুলা সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভারত সরকার এটি তৈরি করছে।



পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু:

বাগরাকোট থেকে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কটি ভারত-চিন সীমান্তে নাথুলা পর্যন্ত যাবে। পাহাড় কেটে রাস্তাটি 2018-2019 সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতীয় সড়কটির জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম ১৩ কিলোমিটার রাস্তার মাঝে বাগরাকোট চুইখিমে লুপ পুলটি তৈরি হয়েছে । বাগরাকোট থেকে চার কিলোমিটার দূরেই এই লুপ সেতুটি তৈরি হয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। 

আরও পড়ুন : সরকারি প্রকল্প - গতিধারায় গাড়ি কিনে রোজগার

লুপ সেতু থেকে প্রাকৃতিক নৈসর্গ উপভোগের সুযোগ পাবেন মানুষ। দু'পাশে চোখ রাখলেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হবে। চোখ বাড়ালেই দেখা যাবে নদী। বিশেষত সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় এক মায়াবী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অনেকের ধারণা, আগামিদিনে বাগরাকোটের অন্যতম ‘টুরিস্ট স্পট’ হয়ে উঠতে চলেছে লুপ সেতু।


কোন কোন জায়গা যুক্ত হচ্ছে :

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম, দাড়াগাও, বরবর হয়ে কাফের হয়ে কালিম্পং বাইপাস হয়ে আলগারা, ঋষি পেডং, রোরাথাং পাকয়াং এয়ারপোর্টের পাশ দিয়ে রানিপুল হয়ে ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় সড়কটি যাবে । ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি নির্মাণ করছে । জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পাকয়াং ও গ্যাংটক জেলাকে জুড়বে এই জাতীয় সড়কটি । এই জাতীয় সড়কটি প্রায় 200 কিলোমিটার লম্বা ।


লুপস্টার :

নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। কিন্তু তাতেই নেটদুনিয়ায় ‘সুপারস্টার’ হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লুপ সেতু। সেই সেতু দেখতে বাগরাকোটের আশপাশের এলাকা অনেকেই আসছেন। পর্যটকদের কেউ-কেউও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। তুলছেন সেলফি। বানাচ্ছেন রিল। আর সকলেই একটা কথা বলছেন, এই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা হবে। 


Maa ki Rasoi 2025: মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার

আগামী ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ মেলা, আর এই মেলাকে উদ্দেশ্য করে সাজো সাজো রব। এবছর ৪০ কোটির উপর ভক্ত এই মেলায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। বিভিন্ন ভক্তের জন্য বিভিন্ন সংস্থা যথারীতি খাদ্যের ব্যবস্থা করছে। 

উত্তরপ্রদেশে যৌথ রান্নাঘর প্রকল্পের সূচনা:

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভমেলা শুরুর মুখে শুক্রবার (১০/০১/২০২৫) প্রয়াগরাজে 'মা কি রসোই' নামে একটি যৌথ রান্নাঘর প্রকল্পের সূচনা করেছেন।


আরও পড়ুন : শীতের মরসুমে ভালো জ্যাকেট ও শীতের পোশাকের যত্ন নেবেন কিভাবে


খাবারের তালিকা:

পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ বাংলার 'মা ক্যান্টিন'-এর আদলে তৈরি ওই রান্নাঘর থেকে মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার দেওয়া হবে প্রত্যেককে।


খাবারের তালিকায় থাকছে ডাল, চারটি রুটি, তরকারি, ভাত, স্যালাড এবং একটি মিষ্টি।


সাহায্যকারী সংস্থা :

নন্দী সেবা সংস্থান,  মূলত আর্থিকভাবে দুর্বল গোষ্ঠীর মানুষের কথা ভেবে তৈরি এই রসুইঘর চালানোর দায়িত্বে রয়েছে । উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, যৌথ রান্নাঘরটি জনতার উদ্দেশে নিবেদিত হলেও আধুনিক রেস্তোরাঁয় যা যা থাকে, এতে তার সবকিছুই রয়েছে। 

আরও পড়ুন : পাটালি গুড় আর পুলি পিঠা পায়েস 

আরও পড়ুন : বলিউড ২০২৫ - কোন ছবি গুলো রিলিজ হতে চলেছে 


কোথায়?

রেস্তোরাঁটি বানানো হয়েছে প্রয়াগরাজের স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতাল চত্বরে। এই উদ্দেশ্য সাধনে প্রয়াগরাজ সফরের  দিনে হাসপাতালে গিয়ে 'মা কি রসোই'-এর প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।

আরও পড়ুন : হলুদের গুন আরও বাড়বে কোন জিনিস প্রয়োগ করলে 

একবারে কতজনের জন্য খাবার :

শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওই রান্নাঘর থেকে মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার দেওয়া হবে প্রত্যেককে। খাবারের তালিকায় থাকছে ডাল, চারটি রুটি, তরকারি, ভাত, স্যালাড এবং একটি মিষ্টি। এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রায় ২,০০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে তৈরি মা কি রসোই-এ একসঙ্গে ১৫০ জন বসে খেতে পারবেন। 


হাসপাতালে আসা হাজারো রোগীর পরিবারের লোকজনের পক্ষে এই রান্নাঘর সবচেয়ে কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই. উদ্যোগ কেবলমাত্র সাশ্রয়ী নয়, বরং দরিদ্র মানুষের জন্য এক বিশাল সহায়তা।

সর্বাধিক আয়কারী ভারতীয় সিনেমা ২০২৪ বড় বাজেটের ব্লকবাস্টার পুষ্পা ২, কাল্কি ২৮৯৮ এডি এবং স্ত্রী ২-কে ছাড়িয়ে গেছে

ভাবা যায়! মাত্র ৩ কোটি রুপি বাজেট আর বক্স অফিসে আয় ১৩১.১৮ কোটি টাকা। স্যাকনিল্ক এর তথ্য অনুযায়ী, সিনেমাটির লাভের হার সিনেমার বাজেটের প্রায় ৪৪ গুণ। কিছু সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমাটি ৯ কোটি রুপি বাজেটে তৈরি হয়েছিল। তবুও, এটি তার বাজেটের ১৪.৫ গুণ বেশি আয় করেছে।

আরও পড়ুন : সত্য ঘটনা - কাম চালু হে (২০২৫) রাজ পাল যাদভের মুভি 


বড় বাজেটের চলচ্চিত্রগুলোর বড় আয় সত্ত্বেও, ২০২৪ সালের সবচেয়ে লাভজনক ভারতীয় সিনেমা একটি ছোট বাজেটের প্রেমের গল্প। এই সিনেমাটি তার বাজেটের প্রায় ৪৪ গুণ লাভ করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ২০২৪ মুক্তিপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন ভাষায় স্ট্রিম করা এই সিনেমাটি ছোট বাজেটের ভারতীয় সিনেমার সাফল্যকে তুলে ধরেছে।


'প্রেমালু' (২০২৪)

মালায়ালম ভাষায় নির্মিত রোমান্টিক ড্রামা 'প্রেমালু' (২০২৪) সালের সবচেয়ে লাভজনক ভারতীয় সিনেমা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। লাভের হিসেবে এটি বড় বাজেটের ব্লকবাস্টার সিনেমা পুষ্পা ২, কাল্কি ২৮৯৮ এডি এবং স্ত্রী ২-কে ছাড়িয়ে গেছে।


বলিউডের সিনেমা স্ত্রী ২ আয় করেছে ৮৭৫ কোটি টাকা। ৬০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা মোট খরচের ১৪.৫ গুণ লাভ করেছে। যদিও কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর বাজেট ছিল ৯০ কোটি রুপি। 

Premalu Movie (2024) : edik-odik

আরও পড়ুন : স্বরস্বতী পূজার মন্ত্র ও বাগদেবীর আরাধনা

তবে প্রেমালুর লাভের হার একটি বিরল সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, বিশেষ করে কোনো বড় তারকা ছাড়াই একটি ছোট বাজেটের সিনেমা হিসেবে বিপুল লাভ করার জন্য।


গিরিশ এডি পরিচালিত প্রেমালু একটি রোমান্টিক ড্রামা। সিনেমায় তরুণ প্রেমের জটিলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। 


IMDB রেটিং : ৭. ৮/১০


সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত নাসলেন কে. গফুর এবং মমিতা বাইজু। সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঙ্গীত প্রতাপ, আখিলা ভার্গবন, শ্যাম মোহন, মীনাক্ষী রবীন্দ্রন, ম্যাথিউ থমাস এবং আলতাফ সালিম।


থিয়েটারে প্রেমালুর শুরুটা ধীরগতির হলেও জোরালো প্রচারের ফলে সিনেমার টিকেট বিক্রি বেড়ে যায়। প্রদর্শন শেষ হওয়ার পর এটি কেবল ২০২৪ সালের অন্যতম সর্বাধিক আয়কারী মালায়ালম সিনেমাই হয়নি, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা বনে যায়।


'সিক্রেট সুপারস্টার' সিনেমাও বাজেট অনুযায়ী সমান সাফল্য অর্জন করেছিল। ২০১৬ সালে ১৫ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত সিনেমাটি আয় করেছিল ৯১২.৭৫ কোটি রুপি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাইরা ওয়াসিম। তিনি পরবর্তীতে ১৯ বছর বয়সে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন।


এর বিপরীত, বড় বাজেটের সিনেমা পুষ্পা ২ বিশ্বব্যাপী ১,৮০০ কোটি রুপি আয় করলেও, লাভের হার ছিল ৩৫০ কোটি বাজেটের মাত্র পাঁচ গুণ। 


কাল্কি ২৮৯৮ এডি ১,২০০ কোটি রুপি আয় করলেও, ৬০০ কোটি রুপি বাজেটের দ্বিগুণ লাভ করেছে।


প্রেমালু ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে থিয়েটারে মুক্তি পায়। এপ্রিল থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটির স্ট্রিমিং শুরু হয়। 


ডিজনি+ হটস্টার সিনেমাটি মালায়ালম, তামিল এবং হিন্দি ভাষায় স্ট্রিম করছে। তেলুগু ভাষায় সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আহা-তে স্ট্রিম হচ্ছে।

মুভি টি ডাউনলোড (বিনামূল্যে) বা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।