🌄 চারখোল, দার্জিলিং – অজানা পাহাড়ি স্বর্গ 🌿

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার কোলে লুকিয়ে আছে এক স্বপ্নময় পাহাড়ি গ্রাম — চারখোল (Charkhol)। কালিম্পং শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামটি এখন নতুনভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
পশ্চিমবঙ্গে SIR ২০২৫: ভোটার তালিকা পরিমার্জনের বিশেষ অভিযান ও তার প্রভাব
চারখোলের চারপাশে পাইন ও দোয়েল গাছে ঘেরা বন, সবুজ চা–বাগান, আর দূরে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের অপূর্ব দৃশ্য। এখানে সকালবেলায় মেঘের পর্দা ভেদ করে সূর্যের প্রথম আলো পড়ে আর সন্ধ্যায় আকাশ ভরে ওঠে নক্ষত্রে — যেন প্রকৃতির নিজস্ব কবিতা।
কালিম্পং শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়, বিশেষ করে সকালে ও সূর্যাস্তের সময়। স্থানীয় জনগণ মূলত নেপালি ও লেপচা সম্প্রদায়ভুক্ত, যাঁরা অতিথিপরায়ণ ও সংস্কৃতিমনা।
চারখোলে কয়েকটি সুন্দর হোমস্টে ও রিসোর্ট রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমী ও নিস্তব্ধতা খোঁজা ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ স্থান। চারখোলের আশেপাশে লোলেগাঁও, লাভা, এবং রিশপের মতো বিখ্যাত পর্যটনস্থল রয়েছে।
পরিষ্কার আকাশ, পাখির ডাক, চা-বাগানের সুবাস, আর দূরবর্তী পাহাড়ের নীলাভ দৃশ্য—সব মিলিয়ে চারখোল দার্জিলিংয়ের এক অনাবিষ্কৃত স্বর্গ।
স্থানীয় নেপালি ও লেপচা মানুষদের আতিথেয়তা চারখোল ভ্রমণের অন্যতম আনন্দ। এখানে রয়েছে কয়েকটি আরামদায়ক হোমস্টে ও রিসোর্ট, যেখানে আপনি নিরিবিলি পাহাড়ি জীবন উপভোগ করতে পারেন।
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে — লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, এবং কালিম্পং শহর। চারখোল থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য ও পাহাড়ি রাস্তার ভ্রমণ আপনাকে দেবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
📍 ভ্রমণ পরামর্শ:
চারখোল ভ্রমণের সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে এপ্রিল। রাস্তাঘাট ভালো, তাই গাড়িতে সহজেই পৌঁছানো যায় কালিম্পং থেকে।