শীত ও শীতের জ্যাকেট
ডিসেম্বর শেষ শুরু হতে চললো, সামনে আসছে নতুন বছর, ২০২৬। বাংলার বুকে হালকা হালকা ঠান্ডা উঠতে শুরু করেছে। বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে শীত এমন একটি ঋতু, যা আমাদের জীবনযাত্রায় বিশেষ আনন্দ ও পরিবর্তন আনে। সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে মার্চের প্রথম পর্যন্ত শীতের প্রভাব দেখা যায়। সকালবেলায় কুয়াশায় ঢাকা মাঠ, শিশিরে ভেজা ঘাস, আর উত্তরের হিমেল হাওয়া—সব মিলে প্রকৃতির এক অনন্য রূপ ধারণ করে। যদিও শীত অনেকের কাছে প্রিয় সময়, তবুও এই সময়ের ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই আসে শীতের অন্যতম সঙ্গী—জ্যাকেট।
নামি কোম্পানির কিছু দামি জ্যাকেট :
অনলাইন বা মল বা দোকানে কিনতে পারেন :
Allen Solley (Rs. 1500/- to Rs. 2500/-)
Boldfit (Rs. 1200/- to Rs. 2000/-)
Jack & Jones (Rs. 1200/- to Rs. 2500/-)
Columbia (Rs. 3600/- to Rs. 8600/-)
Dollar (Rs. 1200/- to Rs. 2000/-)
Duke (Rs. 1500/- to Rs. 3000/-)
Lee (Rs. 1500/- to Rs. 2500/-)
L'monte (Rs. 4500/- to Rs. 6500/-)
Nike (Rs. 6000/- to Rs. 8000/-)
Puma (Rs. 3000/- to Rs. 4000/-)
Wildcraft (Rs. 4500/- to Rs. 5500/-)
Woodland (Rs. 5000/- to Rs. 6000/-)
Wrangler (Rs. 2400/- to Rs. 4000/-)
২০২৫-২০২৬ শীতের জ্যাকেট ট্রেন্ড
জ্যাকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় রং কোনগুলো
স্বল্প বাজেটের মধ্যে জ্যাকেট:
কিছুদিন আগে বাজারে গিয়ে দেখলাম ফুটপাতের উপরে ঢেলে জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে, দাম ৫০০ টাকা প্রতি পিস। ভিড় ভালোই ছিল, কিন্তু খুঁত খুঁতে মন কোথাও কোয়ালিটি এর সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় না। তাই অনলাইন ঘাটা ঘাঁটি শুরু করলাম। Messho থেকে বর্তমান সময়ের ট্রেন্ডিং জ্যাকেট খুব সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে, নিচে কিছু জ্যাকেটের লিংক দিয়ে দেয়া হল, ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। আসা করি পছন্দ হবে। Meesho থেকে (৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে।) Meesho Link
শীতের জ্যাকেটের প্রয়োজনীয়তা:
শীতের জ্যাকেট কেবল সাধারণ পোশাক নয়, বরং এটি আমাদের শরীরের উষ্ণতা রক্ষার এক কার্যকর মাধ্যম। ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে নানা অসুখ-বিসুখের ঝুঁকি বাড়ে, যেমন সর্দি, কাশি বা জ্বর। জ্যাকেট শরীরকে ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে, সেই সঙ্গে আরামও দেয়। আগে শীতের পোশাক বলতে মূলত সোয়েটার, চাদর ও কম্বল বোঝানো হতো। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রায় জ্যাকেট এক অপরিহার্য পোশাক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
জ্যাকেটের ধরন:
জ্যাকেটের ধরন আজকাল নানা রকম—কটনের, উলের, লেদারের, এমনকি জলরোধী নাইলনের জ্যাকেটও পাওয়া যায়। পাহাড়ি বা তীব্র ঠান্ডা এলাকায় মানুষ যেখানে দিব্যি থার্মাল জ্যাকেট পরে থাকে, শহুরে জীবনে সাদামাটা ফ্যাশনেবল জ্যাকেট যথেষ্ট আরাম দেয়। অনেক জ্যাকেটের সঙ্গে হুড বা ক্যাপ যুক্ত থাকে, যা মাথা ও কান ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে। আবার কেউ কেউ রঙিন, ট্রেন্ডি জ্যাকেট পরেন ফ্যাশনের অংশ হিসেবে। আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে শীতের জ্যাকেট স্টাইলের এক প্রতীকও বটে।
জ্যাকেটের আকর্ষণীয় ইতিহাস:
জ্যাকেটের ইতিহাসও বেশ আকর্ষণীয়। ইউরোপে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শত শত বছর আগে থেকেই এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এ পোশাকটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় আবহাওয়ায় যখন ঠান্ডা কম থাকে, তখনও ফ্যাশনের অংশ হিসেবে অনেকেই জ্যাকেট পরতে ভালোবাসে। এর ব্যবহার এখন কেবল শীতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; অনেকেই হালকা জ্যাকেট ব্যবহার করে মোটরবাইক চালানোর সময় বা রাতে বাইরে বেরোলে।
শীতের জ্যাকেটের আকর্ষণ:
গ্রামের দিকে শীত পড়লেই মানুষজন আগুন জ্বালিয়ে আলাপ-আলোচনা করার এক বিশেষ রীতি দেখা যায়। এটা বড়োই আনন্দ ও সুখকর একটা দৃশ্য। তখন সবাই গায়ে জ্যাকেট, চাদর বা মোটা কাপড় জড়িয়ে বসে থাকে। শহরে শীতের সকাল মানেই উলের পোশাকে সাজানো মানুষ, হাতে গরম চা বা কফির কাপ। এই সময়েই শীতের জ্যাকেট মানুষের চেহারায় আনে এক উজ্জ্বল সৌন্দর্য।
২০২৫-২০২৬ শীতের জ্যাকেট ট্রেন্ড:
লেদার জ্যাকেটের প্রত্যাবর্তন বিশেষভাবে অ্যাভিয়েটর এবং বম্বার স্টাইল, যা ইন্ডিয়ান স্কিন টোনের সাথে ক্যামেল, ক্রিম, নেভি, অলিভ এবং বার্গান্ডি কালারে লেয়ারিংয়ের জন্য উপযোগী।
সোয়েড এবং অ্যানোরাক জ্যাকেট রেইনি দিনের জন্য স্পোর্টি লুক দেয়, সাথে সোয়েটার ওয়েস্ট এবং টেক্সচার্ড নিটস ট্রেন্ডিং।
ইন্ডিয়ায় বাজেট-ফ্রেন্ডলি হুডি-স্টাইল এবং প্রিমিয়াম চাইনিজ ওভারকোট মডার্ন ডিজাইনে জনপ্রিয়, বিশেষ করে Myntra, Flipkart-এ
ইন্ডিয়ান কনটেক্সটে ট্রেন্ডইন্ডিয়ার মাইল্ড ঠান্ডায় লেয়ারিং ফর্মুলা যেমন থার্মাল+নিট+জ্যাকেট কাজ করে, সলিড কালার এবং মিনিমালিস্ট ডিজাইন স্ট্রিটওয়্যারে চলছে।
শীতের জ্যাকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় রং কোনগুলো ২০২৫-২৬
২০২৫-২৬ শীতের জ্যাকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় রংগুলো হলো: ক্যামেল, ক্রিম, নেভি, অলিভ, বার্গান্ডি, এবং ক্লাসিক ব্ল্যাক। এই রংগুলো আধুনিক এবং গতানুগতিক উভয় ধরনের পোশাকে সহজে মানিয়ে যায় এবং স্ট্রিট ফ্যাশনে বেশ ট্রেন্ডি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া সাদামাটা এবং নরম রং যেমন গ্রে ও মাটিরসুরতিও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যা বিভিন্ন ধরনের লেয়ারিংয়ের সঙ্গে পরতে সুবিধাজনক।
পরিশেষে:
সব শেষে বলা যায়, শীতের সৌন্দর্য যেমন মন ছুঁয়ে যায়, তেমনি এর শীতল কামড়ও অবহেলা করা যায় না। তাই শীতের আনন্দ উপভোগ করতে হলে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। সেই যত্নের অন্যতম অংশ হলো যথাযথ শীতের পোশাক পরা—বিশেষ করে একটি উষ্ণ ও আরামদায়ক জ্যাকেট। শীতের সকালের কুয়াশা, দুপুরের রোদ আর সন্ধ্যার হিমেল হাওয়া তখন আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে একটি জ্যাকেটের আশ্রয়ে।




