প্রয়োজনীয় বার্তা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রয়োজনীয় বার্তা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

Winter 2026: হারহিম শীতে রুম হিটার ব্যবহার করছেন? কিছু সতর্কতা


জবর শীত। পারদ দিনকে দিন নামতেই থাকছে। শীতে জবুথবু। হাড়হিম শীতের আরাম যেমন লেপ-কাঁথা, তেমনি রুম হিটার। এখন বাজারে ও অনলাইন এ আকছার পাওয়া যায় রুম হিটার। সুতরাং আপনি কি শীতের শুরু থেকেই রুম হিটার ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন কি ? 


রুম হিটার চটজলদি ঘর গরম করলেও নিয়মিত ব্যবহারে কিন্তু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ। তাই ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। 



প্রথমত, হিটার থেকে গরম বাতাস বেরিয়ে আসে। এর ফলে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায় ভীষণভাবে। এমনকী, ঘরের মধ্যের অক্সিজেন এর মাত্ৰা অনেকটাই কমে যায়। তাই, রুম হিটার ব্যবহারে যে নিয়মগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে- 


Bhojpuri Song 2025 Bhojpuri Song 2025: এটা ছাড়া শীতের পিকনিকে মজা পাওয়া যায় না।

আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘরে জল রাখুন 

হিটার চালালে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, যা ত্বক ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে ঘরে একটি জলভর্তি পাত্র রাখতে হবে। আর্দ্রতা বজায় থাকবে। হিটার থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, তা ত্বককে অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। 


হিটারের কারণে অনিদ্রা, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনভেনশান হিটার, হ্যালোজেন হিটার অত্যাধিক ব্যবহারে ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। 


বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন 

হিটার ব্যবহারের সময় জানালা বা দরজা সামান্য হলেও খোলা রাখুন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। অক্সিজেনের ঘাটতি না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে হিটার থেকে দূরে থাকুন। 


শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে। এই কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। 


আগুন থেকে রুম হিটার দূরে রাখুন 

হিটারটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে কাপড়, কাগজ বা অন্য দাহ্য বস্তু কাছাকাছি না থাকে। হিটার চালানোর আগে নিশ্চিত করুন যে বৈদ্যুতিক সংযোগটি ঠিক আছে এবং হিটারটি নির্ধারিত তাপমাত্রায় কাজ করছে কিনা।


শিশু ও পোষ্যের থেকে দূরে রাখুন 

রুম হিটার শিশু ও পোষ্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখুন, যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। যে বাড়িতে গ্যাস হিটার বা এলপিজি হিটার বেশি ব্যবহার করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা যায়। এছাড়া কাশি, হাঁচি, বুকে ঘড়ঘড় শব্দ ও ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণ বেশি দেখা যায় এসব পরিবারেই। কারণ, এই হিটার থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেরোয়। যা ছোট ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলে।


রুম হিটার দীর্ঘ সময় না চালানো 

রুম হিটার দীর্ঘ সময় চালাবেন না। অতিরিক্ত হিটার চালালে নানা সমস্যা হতে পারে। এছাড়া রুম হিটার নিয়মিত পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করুন, যাতে যান্ত্রিক কোনো গোলোযোগ না হয়। 


প্রতিদিন হিটার ব্যবহারে যা হয় 

কাশি, মাথাব্যথা, বমি বা গা গোলানো, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে, অ্যাজমার রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদি হিটার ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভালো। এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি শীতে আরামদায়ক এবং নিরাপদ থাকতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গে SIR ২০২৫: ভোটার তালিকা পরিমার্জনের বিশেষ অভিযান ও তার প্রভাব

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় SIR (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) আতঙ্কের কারণে বেশ কয়েকজন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা থেকে বোঝা যায় এই আতঙ্কের প্রভাব কতটা গভীর। 


ভোটার তালিকা হালনাগাদে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া ও প্রভাব বিশ্লেষণ



SIR আতঙ্কে মৃত্যুর কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:


জলপাইগুড়ির নরেন্দ্রনাথ রায় নামের এক বৃদ্ধ ব্যক্তি SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আতঙ্কে দিনরাত মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।


হুগলির শেওড়াফুলিতে ৪৯ বছর বয়সী যৌনকর্মী বিতি দাস আত্মহত্যা করেছেন, তার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। তার মৃত্যুর পেছনে SIR আতঙ্কের কারণ হিসেবে উল্লেখ আছে, যদিও পারিবারিক অশান্তি সম্পর্কিত কারণও তদন্তাধীন।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির শাহীনের পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ও স্ত্রীর নাম না থাকার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিন্তিত ছিলেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, পরিবার জানিয়েছে SIR আতঙ্কে তাঁর মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।


বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিমান প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারের অভিযোগ তিনি SIR আতঙ্কে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।


মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ৫৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী তারক সাহা আত্মহত্যা করেছেন। তার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন


জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার লালুরাম বর্মণও SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ।


এসব মৃত্যুর ফলে রাজ্যজুড়ে SIR আতঙ্ক নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে এবং অনেকেই এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করছেন। এই আতঙ্কে মানুষ শুধুমাত্র মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও প্রভাবিত হচ্ছেন, যা উদ্বেগজনক অবস্থা তৈরি করেছে।

 

বিভিন্ন জেলায় অন্তত সাত থেকে আটজনের মৃত্যুর খবর SIR আতঙ্কের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে জানা গেছে, যার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ও হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রধান।


SIR (বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া) চালু হওয়ার পর, বহু মানুষ—বিশেষ করে যাঁদের পুরোনো ভোটার তালিকায় নাম নেই বা যারা প্রমাণপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন—তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।


"প্রতিটি ভোটার, প্রতিটি ভোট গর্বের অধিকার"


আতঙ্ক ও প্রভাব :

SIR ঘোষণার পর থেকে বহু এলাকায় রাতারাতি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায়, যেখান থেকে বহু মানুষ বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর সামনে এসেছে।


আতঙ্কের প্রভাবে বারবার আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। বহু জায়গায় আত্মহত্যার ঘটনা ও মানসিক অবসাদ বেড়েছে, বিশেষ করে যাঁদের নাম তালিকায় নেই বা যাঁরা নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত নথি জোগাড় করতে পারছেন না।


স্থানীয় মতে, অনেক বাংলাদেশি পরিবার এলাকাগুলি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের মধ্যে ব্যাপক ভয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।


আতঙ্কের জেরে কিছু পরিবার দিনের পর দিন ঘুমাতে পারছেন না, কেউ কেউ কাজ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ আত্মঘাতী হচ্ছেন এমন ঘটনাও হচ্ছে।


রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কএক পক্ষ অভিযোগ তুলেছে, SIR চালুর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে—এতে অনেকের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকে মানসিক চাপ বাড়ছে, যার ফলে চরম সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন অনেকে।


অন্য পক্ষের দাবি—এই আতঙ্কের রাজনীতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এবং এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।


মানুষের উদ্বেগ পরিচয়পত্র ও নথি সংশ্লিষ্ট জটিলতা, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই—এইসব কারণেই জনমানসে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক প্রবল হয়ে উঠেছে।


আতঙ্ক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, দিনমজুর, গৃহকর্মী, শিক্ষক, বৃদ্ধ—সকলের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। 


SIR আতঙ্ক' তাই শুধুমাত্র নথিজটিলতা বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়, মানুষের মধ্যে গভীর মানসিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলার ছবি তুলে ধরছে—যার বাস্তব প্রতিফলন পশ্চিমবঙ্গের বহু অঞ্চলে দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।


SIR এর কাজ:

SIR হল ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া। এতে ভোটারদের মধ্যে থাকা ভুল তথ্য ঠিক করা, নতুন ভোটার যোগ এবং মিথ্যা বা মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়। 


SIR-এর সময়: 

ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ 'Enumeration Form' বিলি করা হয়।

ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা হালনাগাদ করা হয়। যাদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাদের আলাদা ফর্ম দেওয়া হয় এবং নাম অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। 


বহুমাত্রিক তথ্য যেমন জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে SIR কাজ দ্রুতগতির আর সফলভাবে চলছে এবং এতে প্রধানত শিক্ষকরা BLO হিসেবে কাজ করছে।


BLO (Booth Level Officer) এর কাজ:

BLO হল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কর্মী যিনি ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন এবং ভোটার তালিকা সঠিক রাখার দায়িত্বে থাকেন।


BLO'র কাজের মধ্যে রয়েছে: 

ভোটার তালিকা যাচাই ও সংশোধন করা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করা। 

ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ এবং ভুল তথ্য সংশোধনে সাহায্য করা।

ভোটারদের ভোটার তালিকায় নতুন করে নাম কল করার কাজে সহায়তা করা।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সময় পোলিং বুথে সহায়তা প্রদান।

ভোটারদের মধ্যে ভোটিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।


সার্বিকভাবে SIR হলো ভোটার তালিকা পরিমার্জনের একটি বিস্তৃত কাজ, আর BLO তার মাঠ পর্যায়ের কর্মী যিনি SIR প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে গৃহীত তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোটারদের সহায়তা পর্যন্ত কাজ করেন।


SIR প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম ভরাট করার নিয়ম নিম্নরূপ:


এনুমারেশন ফর্ম কী? এনুমারেশন ফর্ম হলো একটি তথ্য সংগ্রহ ফরম, যার মাধ্যমে ভোটারের ব্যক্তিগত ও পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


এনুমারেশন ফর্ম ভরাটের ধাপ: 


ফর্মে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে লিখুন।


ভোটারের ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য যেমন ভোটার আইডি নম্বর, পুরোনো ভোটার তালিকায় নাম থাকলে সেটিও উল্লেখ করুন।


আধার নম্বর এবং অন্যান্য পরিচয় পত্র সম্পর্কিত তথ্য দিন।


বর্তমান ঠিকানা এবং পূর্বের ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন, বিশেষ করে যদি ঠিকানা বদল হয়ে থাকে।পরিবারের সদস্যদের তথ্য দাখিল করুন, যা পরিবারভিত্তিক যাচাই প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।


ফর্মে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য এড়িয়ে যাবেন, কারণ ভুল তথ্য পুনরায় সংশোধন কঠিন হতে পারে।


ফর্মে যেকোনো সংশয় থাকলে স্থানীয় BLO বা ভোট অফিসার থেকে সাহায্য নিতে পারেন।


ফর্ম পূরণের সহায়তা:


এনুমারেশন ফর্ম পূরণে BLO বা স্থানীয় ভোট অফিসার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা করবেন। তারা ফর্ম সরবরাহ করবেন এবং তথ্য সঠিক ভরাট হচ্ছে কিনা তাও খেয়াল রাখবেন।


পশ্চিমবঙ্গে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ার শুরু, শেষ এবং অন্যান্য প্রধান তারিখগুলি নিম্নরূপ:


SIR এর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয় ৪ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে। এই দিন থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহ শুরু করেন।


ফর্ম বিতরণ ও পূরণের শেষ তারিখ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫। এর মধ্যে সকল ভোটারকে ফর্ম পূরণ করে BLO-দের কাছে জমা দিতে হবে।


খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে।


৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ, দাবী ও আপত্তি ছাড়ার সময়কাল থাকবে।


অভিযোগ যাচাই বাছাই এবং শুনানির প্রক্রিয়া চলবে ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত।


চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ এ। এই তালিকা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ভিত্তি হবে।


সারসংক্ষেপে, পশ্চিমবঙ্গের SIR প্রক্রিয়াটি ৪ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হবে, যেখানে ভোটার তালিকার সংশোধন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।


এখানে SIR প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত একটি সাধারণ এনুমারেশন ফর্মের নমুনার বিবরণ দেওয়া হলো যেটি ভোটারদের তথ্য যাচাই ও হালনাগাদের জন্য পূরণ করতে হয়:


SIR এনুমারেশন ফর্ম নমুনা (সংক্ষিপ্ত বিবরণ)

1. ভোটার বা আবেদনকারীর নাম

2. ভোটার আইডি কার্ড নম্বর (EPIC)

3. জন্ম তারিখ (দিন/মাস/বছর)

4. আধার নম্বর (ঐচ্ছিক) :

5. মোবাইল নম্বর:

6. পিতার বা অভিভাবকের নাম ও ভোটার আইডি নম্বর (যদি থাকে)

7. মাতার নাম ও ভোটার আইডি নম্বর (যদি থাকে)

8. স্বামী বা পত্নীর নাম ও ভোটার আইডি নম্বর (যদি থাকে)

৯. ঠিকানা (বর্তমান ও পূর্ববর্তী)

১০. ভোটার তালিকায় নামের অবস্থান (পার্ট নম্বর, সিরিয়াল নম্বর, এসি নম্বর)

১১. ভোটারের ছবি (আঠালো করে পেস্ট করার জন্য)

১২. স্বাক্ষর অথবা বাম আঙ্গুলের ছাপ

১৩. অনুরোধকারী বা পরিবারের অন্য সদস্যের স্বাক্ষর (যদি ভোটার নিজে ফর্ম পূরণ না করেন)

১৪. BLO-এর (Booth Level Officer) যাচাই ও স্বাক্ষর


এই ফর্ম পূরণের সময় আবেদনকারীকে ভোটার সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং প্রমাণ পত্র (জন্ম সনদ, আধার, পাসপোর্ট ইত্যাদি) সংযোজন করতে হতে পারে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় এই ফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


আপনি ভারতের নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের CEO ওয়েবসাইট থেকে এই ফর্মের PDF ডাউনলোড করতে পারেন। যেমন: Election Commission of India - Voter ফর্মুস জেলার CEO অফিসের অফিসিয়াল সাইট গুলোর উদাহরণ ফর্ম লিংক: SIR Enumeration Form Annexure-III (Sample): ceoandaman.nic.in এর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী SIR Voter Enumeration Form PDF (42KB) - theni.nic.in সাইটে পাওয়া যায় এই ফরম্যাট সাধারণত ভোটারদের বাড়িতে BLO দ্বারা সরবরাহ করা হয় এবং অনলাইনে সাবমিশন সুবিধাও থাকছে অনেক জায়গায়।

২০০২ সালের ভোটার তালিকা এখানে ক্লিক করে সংগ্রহ করুন 

ভোটার তালিকা (Voter List)

ভোটার তালিকা সংশোধন (Voter List Revision)

ভোটার নাম অন্তর্ভুক্তি (Voter Inclusion)

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision)

ভোটার এনুমারেশন (Voter Enumeration)

ভোটাধিকার (Voting Rights)

নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

ভোটার ফর্ম পূরণ (Voter Form Filling)

ভোটার তালিকা আপডেট (Voter List Update)

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন (West Bengal Election)

ভোটার সচেতনতা (Voter Awareness)

ভোটার পরিচয় (Voter Identity)

নির্বাচন প্রক্রিয়া (Election Process)

ভোটার নথি (Voter Documents)

ভোটার নাম ফিল্টার (Voter Name Verification)

Y

Madhyamik 2025 : এই কৌশল গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করলে সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ শনিবার পর্যন্ত। হাতে রয়েছে আর মাত্র কিছুদিন। ৮ দিন ধরে মোট আটটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শেষ দিনে হবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। 

এখন দেখে নেয়া যাক , রুটিন অনুযায়ী কোন পরীক্ষার আগে কতদিন ছুটি।


মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন:

১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (সোমবার)- বাংলা

১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার)- ইংরেজি

১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার) - গণিত

১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (সোমবার)- ইতিহাস

১৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার )- ভূগোল

১৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বুধবার)- জীবন বিজ্ঞান

২০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)- ভৌত বিজ্ঞান

২২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার)- ঐচ্ছিক বিষয়


ছাত্র ছাত্রী দের পরীক্ষা প্রস্তুতির সাথে সাথে একটা চিন্তা থাকে কিভাবে পরীক্ষার ফল ভালো করা যায়। কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল ভালো করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রতিদিনের পড়াশোনা ও তার পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করার। তাহলে অনেক কম পরিশ্রমেও সহজেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সফ্টড্রিংক ড্রিংক গ্রহণ করার পর বোতল ফেলে দিচ্ছেন? পেতে পারেন স্মার্টফোন।

সুতরাং সব বিষয়ে আগামী পরীক্ষায় বাজিমাত করতে হলে প্রতিদিনের কার্যপ্রণালী বা পরীক্ষা হলে নিচের সহজ কৌশল গুলি অবলম্বন করলে পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো হতে বাধ্য ।

Success mantra of Madhyamik 2023

সুন্দর উপস্থাপনা

বাংলায় প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে - 'প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুনবিচারী। অর্থাৎ পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতা যেন সৌন্দর্যপূর্ণ হয় যেন সহজেই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরিস্কার, পরিছন্ন হাতের লেখা, প্রয়োজন অনুযায়ী মার্জিন ছেড়ে লেখা, প্রতিটি উত্তরের মাঝে নিদিষ্ট ভাবে ছেড়ে লেখা ইত্যাদি একটি ভালো খাতার বৈশিষ্ট। চেষ্টা করতে হবে যাতে ভুল বানান বা অযথা লিখে খাতায় কাটা কাটি না করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পেলো হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 

সময় ব্যবস্থাপনা

এটা ভুল ধারণা যে প্রচুর লিখে অনেক নম্বর পাওয়া যায়। প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেইটুকু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেই সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায়। এতে সময় অপচয় কম হবে আর সময়ের অভাবে প্রশ্নত্তর না লিখে আসার সম্ভাবনাও আর থাকবে না।

২০২০ সালের আপনার মিস হয়ে যাওয়া কিছু বাংলা সিনেমা 

না দেখে লেখার অভ্যাস করা

যে কোনও লেখা বুঝে পরার পর, না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। আমরা যায় পড়ি না কেন, কখনো টা হুবহু মনে থাকে না। তাই প্রথম দিকে না দেখে লিখতে গেলে টা ভুলে ভরা হবে, কিন্তু প্রতিদিন অভ্যাস করলে একসময় নির্ভুল হবেই। কথায় আছে 'Practice makes a man perfect.


পড়াশোনার ধারাবাহিকতা

পড়াশোনা করার ধারাবাহিকতা ভীষণ দরকার। অল্প হলেও প্রতিদিন পড়তে হবে। হটাৎ করে পরীক্ষার আগে, দিন রাত এক করে পড়লেও ভালো ফলাফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিষয় ভিত্তিক বুঝে পর্বে হবে। বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণ বা অংকের মত বিষয় প্রতিদিন চর্চার মধ্যে রাখতে হবে, তবে ফুল মার্কস পাওয়া যাবে।


মাধ্যমিক পরীক্ষাজেনে নিন ২০১৫ সাল থেকে কারা প্রথম স্থান পেয়েছে

প্রশ্ন নির্বাচন

অল্প লিখে ভালো নাম্বার পাওয়ার অন্যতম পন্থা - যেমন কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে তা নির্বাচন করা। যেমন ধরা যাক প্রশ্নমান - ৫ - এরকম তিনটি প্রশ্ন রয়েছে - যাদের নম্বর বিভাজন ৩ রকমের। প্রথম টি পুরো ৫ নম্বরের, দ্বিতীয় টি - ( ১+ ৪) ও তৃতীয় টি (২+৩), এক্ষেত্রে তৃতীয় প্রশ্নটি চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ প্রশ্নের মান যত কম হবেব তত কম লিখতে হবে ও নম্বর কাটা যাওয়ার সুযোগ কমতে থাকবে।

ভারতের ২৫ টি বিভিন্ন উৎসব

সৃজনশীলতা.

নোট বই থেকে উত্তর মুখস্হ করে হুবহু লিখতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই কিছু শব্দ বাদ পরে যাওয়া খুব সাধারণ একটি ভুল - সেক্ষেত্রে লাইন টির অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো যদি নিজেদের মত করে গুছিয়ে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা যায়। এতে লেখার সৃজনশীলতা আসবে ও ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।

কালিম্পঙ এর নিরালায় কাগে  অন্য স্পট 

Offbeat Explorer Kaghey at Kalimpong

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি:

যে সকল ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে নিয়ম করে উপস্থিত থাকে ও ক্লাস লেকচার শোনে তারা অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ছেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফলাফল করে। কারণ ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক কঠিন বিষয় দীর্ঘক্ষন আলোচনার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বুঝিয়ে দেন, যা আত্মস্থ করতে পারলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

এই যুগে মহাপুরুষ মনীষীদের কিছু দরকারী বাণী এবং কেন প্রয়োজন |

গ্ৰুপ স্টাডি করা:

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি গুরুত্ব পূর্ণ টেকনিক। একটা সঙ্গে গ্রুপ করে পড়লে সে বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মে, ফলে পড়ার বিষয় যেমন সহজ হয়, তেমনি একে অপরকে প্রশ্নত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুশীলন করলে দীর্ঘদিন সেই উত্তর স্মৃতিতে গেথে থাকে। এতে শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।

কেদারনাথে সোনায় বাধানো গর্ভগৃহ

'To the point' লেখা

জ্ঞান মুলক প্রশ্নের (মান - ১) ক্ষেত্রে একটি পূর্ণ বাক্য উত্তর লিখলেই যথেষ্ট। আখ্যানধর্মী প্রশ্নের ( মান - ৩) ক্ষেত্রে দুটি প্যারায় উত্তর লিখতে হবে। অন্যদিকে রচনা ধর্মী প্রশ্নের (মান -৫) ক্ষেত্রে ৩টি প্যারা বাঞ্চনীয়।

২০১৯ সালের কিছু ভালো বাংলা সিনেমা

সঠিক পরিকল্পনা :- 

অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল পায় না, এর প্রধান কারণ হল সঠিক পরিকল্পনার অভাব। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে এবং সময়সূচি মেনে পড়াশোনাও করতে হবে। এই সময়সূচিতে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে পঠনপাঠন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি নিজ হাতে লিখে নিতে হবে। 


রিভিশনের ওপর গুরুত্ব দেয়া:- 

প্রতিদিন পড়ার পাশাপাশি যা আগে পড়া হয়েছে তা রিভিশন অবশ্যই করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরোনো পড়া রিভিশনের এর জন্য রাখতে হবে। রিভিশন যত বেশি করবে আত্মবিশ্বাস তত বৃদ্ধি পাবে এবং পুরোনো পড়াগুলো অনেক বেশি মনে থাকবে।


মক টেস্ট ও পুরোনো প্রশ্নপত্র অনুশীলন:- 

অনুশীলন পারফেকশন আনে। পড়াশোনা শুধুমাত্র মুখস্থ করলেই হবে না বুঝে মুখস্থ করে তা বারবার অনুশীলন করতে হবে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ও মক টেস্ট সমাধান করতে হবে। শুধু পড়ার চেয়ে লিখে অনুশীলন করলে বিষয়বস্তু বেশিদিন মনে থাকে। অনুশীলনের মাধ্যমে ভুলগুলি চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে। বাড়িতে পরীক্ষার মাধ্যমিক এর মতো পরিবেশ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের সাহায্য নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।


স্মৃতি ধরে রাখার কৌশল 

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একটি বিশেষ সমস্যা হল পড়া ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ার সময় মূল পয়েন্টগুলোকে মার্ক করতে হবে এবং বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রাখতে হবে। একনাগাড়ে এক ঘণ্টার বেশি পড়া যাবে না এবং যা পড়লে তা কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে আবার নতুন পড়ার দিকে এগোতে হবে।


মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা 

পড়ার মাঝে এবং কিছু সময় বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য ব্যয় করতে হবে। মাঝে মাঝে মন অশান্ত হয়ে উঠলে ধ্যানের মাধ্যমে কোনও মহাপুরুষ বা তুমি যাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ভক্তি করো তাঁর কথা ভাবতে হবে। দেখা যাবে মন শান্ত হয়ে গিয়েছে। কঠিন বিষয়বস্তুকে উদাহরণ মনে রাখার ক্ষেত্রে নিজেরাই ছড়া বানিয়ে বা কোনও বর্ণগুচ্ছ বানিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করা ও এই ধরনের অভ্যাস যে কোনও কঠিন জিনিসকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে সাহায্য করে। 


পরীক্ষার আগের মানসিক প্রস্তুতি 

পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বিরত রাখতে হবে । এখন পরীক্ষাথীদের একমাত্র কাজ পরিকল্পনার মাধ্যমে অধ্যয়ন করা। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা, নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষজন থেকে নিজেদের দূরে রাখা। সর্বোপরি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে কারণ নিজের ওপর বিশ্বাসই হচ্ছে জীবনে উন্নতি লাভের একমাত্র পথ। 


পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কোনও পড়া কক্ষনো পড়তে যাবে না শুধুমাত্র পুরোনো পড়াগুলোই রিভিশন হবে। বেশি রাত্রি পর্যন্ত না জেগে পরের দিন পরীক্ষা দিতে গেলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকবে এবং ১০০ শতাংশ পরীক্ষার হলে উজাড় করে দেয়া যাবে।

Ghost: বাংলার ভৌতিক চরিত্র, একা রাতে এই তথ্য পড়ার সময় আপনিও একবার পিছন ফিরে তাকাবেন!

কিছুদিন আগেই স্ত্রী-২ সিনেমা রিলিজ হয়েছিল, স্ত্রী-২ ভুতের চরিত্র সারকাটা অর্থাৎ মাথা কাটা, এই সারকাটা বা ভুলভুলাইয়ার মঞ্জুলিকার মত বাংলায় অসংখ্য ভৌতিক চরিত্র অর্থাৎ অশরীরী চরিত্র বর্তমান।



বাংলার লোকসাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করবার সময় প্রথমেই যা নজরে আসে তাহল বাংলার ভৌতিক লোককথা। এই ভৌতিক লোককথার গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ভুতুড়ে চরিত্র। বাংলার অসংখ্য লেখক এই ভৌতিক চরিত্র গুলোর উপর গল্প উপন্যাস লিখে গেছেন। 

আরও পড়ুন : ২০২৪ এ সর্বাধিক আয় করেছিল ভারতের যে সিনেমা 

ভূত হল এক ধরনের অতৃপ্ত আত্মা। প্রাচীন লোককথা থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পর যে সমস্ত মানুষের আত্মা শান্তি খুঁজে পাইনি পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়িয়েছে তারাই হল ভূত। শুধু তাই নয় লোকসাহিত্য এটাও বলা হয়েছে, জীবজন্তুর আত্মাও মৃত্যুর পরে মুক্তি না পেলে অশরিরীয় শক্তিতে পরিণত হয়। বাংলার ভৌতিক লোককথায় ভুত, দৈত্য- দানব এই চরিত্রগুলি খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। শুধুমাত্র প্রাচীনকালে নয় বর্তমান সময়কালের রূপকথার গল্পেও এই চরিত্রগুলির বিবরণ পাওয়া যায়।


ভারতীয় লোকসাহিত্যে অনেক প্রকার ভুতূরে চরিত্রের প্রকাশ পাওয়া যায়। সেই সম্পর্কে নিম্নে কিছু ধারণা প্রদান করা হলো-


ডাইনি: 

লোকসাহিত্য থেকে জানা যায়, ডাইনি কোন আত্মা নয় এরা মৃত বা জীবিত দুধরনের হতে পারে। এরা  সাধারণত  জীবিত বৃদ্ধা নারী যারা ডাইনিবিদ্যায় পারদর্শী। এরা নিজেদের বৃদ্ধা রুপ লুকিয়ে যুবতী রূপ ধারণ করে থাকে এবং গ্রামগঞ্জের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বীকার করে। এই শিশুদের তুলে এনে হত্যা করে এরা তাদের রক্ত মাংস খেয়ে দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।


ব্রহ্মদৈত্য: 

প্রাচীনকালের অতি পরিচিত এক ধরনের ভূতুড়ে চরিত্র হলো ব্রহ্মদৈত্য। লোককথায় জানা যায়, ব্রহ্মদৈত্য হল অভিশাপগ্রস্ত ব্রাহ্মণের অতৃপ্ত আত্মা। সাধারণত এরা ধুতি ও পৈতা পরিধান করে থাকে এবং সমাজে এদেরকে পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এরা অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির হয়। বহু দুঃখী মানুষকে সাহায্য করে থাকে এবং বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করে।


দেও: 

এমন এক ধরনের ভূত যারা নদীতে বা

জলাশয় বসবাস করে। লোকমুখে শোনা যায়, এরা লোকজনকে জলে ডুবিয়ে মারে।


পেত্নি: 

প্রাচীন  ভৌতিক লোককথার একটি জনপ্রিয় চরিত্র হল পেত্নি । এরা হল নারীদের অতৃপ্ত আত্মা । লোককথা অনুসারে যেসমস্ত নারীরা বেঁচে থাকার সময় নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কোনটাই পূরণ করতে পারিনি। বিয়ের আগেই কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এবং তারা নিজেদের জীবনে কোনো খারাপ কাজ করবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সে সমস্ত নারীদের আত্মা মৃত্যুর পরেও মুক্তি না পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়ায়, এরাই পেত্নী নামে পরিচিত।


পেত্নীরা খুব বদমেজাজী হয়। এরা নিজের রূপ ও আকার বদলাতে পারে, এমনকি পুরুষের রূপ ধারণ করতে পারে। এরা সেইসব মানুষদের পছন্দ করে না যারা সুখে শান্তিতে বেঁচে আছে।


গেছো ভূত: 

গেছো  শব্দটি এসেছে গাছ থেকে। এমন কিছু ভূত রয়েছে যারা গাছে বাস করে তাদের বলা হয় গেছো ভূত।


বুকে চোখ: 

এই ধরনের প্রেতাত্মার কোন মাথা থাকে না। এদের বুকে একটিমাত্র চোখ থাকে এবং এরা মানুষের স্বপ্নে এসে ভয় দেখায়। এমনকি এই ভূতেরা রাতের একাকী মুহূর্তে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে।


পিশাচ: 

পিশাচ এক ধরনের দানব। এরা কোন আত্মা নয় দেহধারী শয়তান। এরা মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে। প্রাচীন লোককথা অনুসারে  এরা প্রায় এক হাজার, এক রাত্রি বেঁচে থাকে।


বোবা: 

রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে মানুষের উপর ভর করে এমন প্রেতাত্মার নাম বোবা। সাধারণত চিৎ হয়ে শুলে নাকি বোবা সহজে মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। এই সময় মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মানুষের বিকৃত স্বরে গোঙাতে থাকে এবং সহজে তাকে জাগিয়ে তোলা যায় না। এই সময় মানুষের  শরীরও  অসাড় হয়ে পড়ে।


মামদো ভুত: 

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, মামদো হলো মৃত মুসলমানদের আত্মা। মামদো ভূতের  শ্রেণীভূক্ত পেতাত্মা। এটি পুরুষ ভূত, এই ভূত বাতাসে মিশে থাকে এবং লোকালয়ের আশেপাশে কোন গাছ গাছরা আশ্রয় নেয়। এরা মানুষকে বিপদে ফেলতে এবং অনিষ্ট করতে অনেক আনন্দ পেয়ে থাকে।


টাকরা-টাকরি: 

লোককথায় টাকরা- টাকরি নামক এক অশরিরীয় প্রেতাত্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা ছোট ছোট শিশুদের ধরে খেয়ে ফেলে বলে  দীর্ঘদিন ধরে  প্রচলিত রয়েছে।


জিন: 

জিন জাতিতে হলো মুসলিম। এরা এক অশরীরী  ও শয়তান। এদের কোন রোগ নেই এরা অন্ধকারে  সবার অন্তরালে বাস করে। আরবি জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো অদৃশ্য বা গুপ্ত। এরা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে যেমন জিন-শয়তান, এরা শয়তানের বংশধর যারা ভগবানের আদেশ অমান্য করে খারাপ পথ বেছে নেয় এবং মানুষের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। এরা বিভিন্ন রূপও ধারণ করতে পারে।      


দ্বিতীয় হল ক্কারিন, এরা মানুষের মনে পাপের সঞ্চার ঘটায়। এরপর রয়েছে খাসিব, এরা নোংরা স্থানে থাকে এবং মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। 


লোককথা অনুসারে, কিছু ভালো জিনও রয়েছে। যারা মানুষের সাহায্য করে থাকে কিন্তু খারাপ জিন অনেক বেশি ক্ষতি করা হয়। এরা খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং সহজেই মানুষকে বশ করে নিতে পারে। এদের কোন রুপ বা আকার থাকেনা, কিছু অদ্ভুত শব্দের মাধ্যমে এরা  মানুষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।


ভূতুড়ে আলো: 

রাতের অন্ধকারে খোলা স্থানে ও জলাভূমির কাছাকাছি কোন স্থানে এই ধরনের আলো দেখতে পাওয়া যায়। মাটি থেকে একটু উপরে এই আলোগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকে। এই আলোগুলি  নিজেদের আকার রং বদলাতে পারে। এরা কখনো ধীরে আবার কখনো খুব দ্রুত গতিতে যাত্রা করে। যে মানুষেরা এই আলোগুলির পিছু নেয়  তারা আর কখনো ফিরে আসে না।


সুন্দরবন ও রাজস্থানে এই আলো প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, এই আলোর জন্যে বহু জেলেরা তাদের প্রাণ হারিয়েছে।


জুজু: 

এটি  হল স্ত্রীভূত। জুজু আসলে বৃদ্ধা  পিশাচ। লৌকিক কাহিনী অনুসারে, এরা ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যায়।


বেতাল: 

হিন্দু লোককাহিনী মতে, বেতাল একটি অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন প্রাণী। এটি  আত্মা বিশেষ  যার কোন মৃত্যু নেই, সে যে কারোর শরীরে ভর করতে পারে। 


বেতাল শ্মশান ঘাটে ঘুরে বেড়ায় এবং মৃত মানুষের শরীরে নিজেদের বাসা তৈরি করে। এরা সাধারণত গাছে উল্টো ঝুলে থাকে। রাজা বিক্রমাদিত্যের গল্পেও বেতাল চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।


কানাভুলো: 

এই শ্রেণীর ভূতেরা পথিকের গন্তব্য ভুলিয়ে দেয় এবং কোন নির্জন, অচেনা এলাকায় তাদের নিয়ে আসে। এদের জন্য কখনো কখনো মানুষের একই পথ দিয়ে বারবার যাত্রা করে ও ঘুরপাঁক খেতে থাকে। এরা তাদের শিকারকে পছন্দমত স্থানে নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করে। এই ভুতেরা নির্জন এলাকায় মানুষকে আক্রমন করে। এই ধরনের ভূতেদের  রাতে গ্রামের মাঠের ধারে এবং পথের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। 


ঝেয়ো পেত্নী: 

এই পেত্নীরা নিজেদের ঝাউগাছ লুকিয়ে রাখে। এরা পথযাত্রীদের নানাভাবে অত্যাচারিত করে।


ভরসন্ধ্যাবেলায় কোন পথিক একা একা ঝাউবন বেরোবার সময় তাদের এই পেত্নীরা গাছের সবচাইতে   উচু ডালে চড়িয়ে দেয়। 


ডাকিনী: 

ডাইনী বুড়িদের একশ্রেণীর মধ্যে হলে ডাকিনী। এরা পুকুর ধারে কোন নারকেল বা তাল গাছে বাস করে। ডাকিনী পাতিহাঁস খেতে খুব পছন্দ করে। এদের অন্যতম একটি অভ্যাস হলো, এরা দিনে দুপুরে মেয়েদের রুপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।


মেছোভুত: 

মেছো শব্দটি বাংলা মাছ শব্দ থেকে এসেছে। মেছো ভূতেরা মাছ খেতে খুব পছন্দ করে, এরা সাধারণত গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে যেখানে বেশি পাওয়া যায় সেসব স্থানে বাস করে।


মেছোভুত নির্জন স্থানে মাছ বহনকারী ব্যক্তিদের আক্রমণ করে, মাছ ছিনিয়ে নেয় আবার কখনো কখনো তাদের পিছু নিয়ে ফেলে। এরা জেলেদের নৌকা থেকে মাছ চুরি করে খেয়ে নেয়।


চোরাচুন্নি: 

প্রাচীন কাহিনী অনুসারে, চোরাচুন্নি হলো এমন কোনো অতৃপ্ত  আত্মা যারা  জীবিত অবস্থায় চুরির কাজে নিযুক্ত ছিল। মৃত্যুর পর কোন চোরেরা মুক্তি না পেলে তারাই চোরাচুন্নি তে পরিণত হয়।

                           

চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির হয় এরা মানুষের অনিষ্ট করতে থাকে। কথিত আছে, পূর্ণিমা রাতে এরা মানুষের বাড়িতে ঢুকে ক্ষতি সাধন করে। এদের হাত থেকে বাঁচতে গঙ্গাজল এর ব্যবস্থা করা হয় বাড়িতে।


কিচনি: 

কিচনি হলো জলের এক অলৌকিক জীব। এরা বদ্ধ পুকুর এবং জলাশয় বসবাস করে। যে স্থানের জল বেশি গভীর হয় সেখানে কিচনি থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। লোককথায় জানা যায়, কিচনির অনেক লম্বা কালো ঘন চুল থাকে।


বেঘোভূত: 

লোককাহিনী অনুসারে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, যেসব মানুষের মৃত্যু বাঘের আক্রমণের কারণে হয়েছে তাদের অতৃপ্ত আত্মারাই রুপ নেয় বেঘোভূতের।


বেঘোভূতেরা বনে আগত মধু সংগ্রহকারীদের পথ ভুলিয়ে বাঘের কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং তাদের ভয় দেখানোর জন্য কখনো কখনো বাঘের স্বরে ডেকে ওঠে। সাধারণত সুন্দরবন এলাকায় এ ধরনের ভূতের উপদ্রব বেশি প্রচলিত।


নিশি: 

ভূতেদের মধ্যে অন্যতম হলো নিশি এরা নির্জন এলাকায় মানুষ কে একা পেয়ে আক্রমণ করে। নিশি গভীর রাতে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে তার শিকারকে তাদের প্রিয়জনের কন্ঠে ডাক দেয় এবং ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করে। যে মানুষেরা নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে তাদের আর কোনদিনও দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে মনে করে, কিছু তান্ত্রিক প্রতিশোধের জন্য নিশিকে ব্যবহার করে থাকে। তবে লোককথা থেকে জানা যায়, নিশি কখনোই কোন মানুষকে দুবারের বেশী ডাকতে পারেনা।


স্কন্ধকাটা: 

এরা হলো এক অলৌকিক জীব। এরা মাথাবিহীন হয়ে থাকে এবং এলাকা বিশেষে এরা বিভিন্ন নামে পরিচিত। এরা হলো সেইসব মানুষের আত্মা যাদের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনায় মাথা কাটা পড়ার কারণে হয়েছে। এই শ্রেণীর ভূতেরা সবসময় তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায় এবং অন্যান্য মানুষকে আক্রমণ করে নিজের দাসে পরিণত করে। শুধু তাই নয় তাদেরকেও তার মাথা খোঁজার কাজে লাগায়। এরা পথের পাশে কোন গর্তে ঝোপেঝাড়ে বাস করে।

রায়গঞ্জের তুলাইপাঞ্জি চাল অতুলনীয় স্বাদ ও সুগন্ধির জন্য বিশ্ব বাজারে সমাদৃত, কি এর গুণাবলী? কত চাষ হয়?

"তুলাইপাঞ্জি" নামটি দুটি বাংলা শব্দ থেকে এসেছে: “তুলাই” যার অর্থ কোমল বা হালকা এবং “পাঞ্জি” যার অর্থ চাল। এই জাতটির একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এটি শতাব্দী ধরে পশ্চিমবঙ্গে চাষ করা হয়ে আসছে, যার বৈশিষ্ট্যগুলি স্থানীয় রন্ধনপ্রথায় অঙ্গীভূত হয়েছে।


Pic: Amazon

তুলাইপাঞ্জিকে 'অ-বাসমতি সুগন্ধি চাল' হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এটির গড় দৈর্ঘ্য 5.5 মিমি, দৈর্ঘ্য/প্রস্থ অনুপাত 3.4 এবং প্রসারণ অনুপাত 1.6 সহ মাঝারি-লম্বা সরু দানা রয়েছে। 


এই জিআই ট্যাগ করা প্রাচীন লোক চাল 2012 লন্ডন অলিম্পিকে আমাদের অপরাজেয় রন্ধন সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেছিল! তুলার (তুলন) মতো সুগন্ধি এবং নরম, এটাই তুলাইপাঞ্জির অর্থ এবং স্বাদ। এর সুগন্ধি এই অ-বাসমতী ভাতকে পুলাও, ভাজা ভাত, বিরিয়ানি এবং পিঠে, পায়েশের মতো মিষ্টান্ন এবং স্থানীয় সুস্বাদু খাবারের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ করে তোলে। আমরা প্রায়শই এটি আমাদের রোজের চাল (আমাদের প্রতিদিনের চাল) হিসাবেও ব্যবহার করি।


রান্না করা ভাত খুব সুস্বাদু, গঠনে ভালো, চেহারায় উজ্জ্বল, উচ্চ অ্যামাইলোসকন্টেন্টের কারণে আঠালো নয় এবং ভঙ্গুর। তুলাইপাঞ্জিতে রয়েছে অ্যামাইলোজ- ২৮.৩%, প্রোটিন-৭.৩%। 


সম্প্রতি, তুলাইপাঞ্জি চাল তার বিশেষ সুগন্ধ এবং স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগত উপকারিতার জন্যও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এটি বিশেষত বাংলা রন্ধনশৈলীতে ব্যবহৃত হয়, যেমন পিঠে (চাল কেক) এবং পায়েস (মিষ্টি চালের পুডিং)।


এই চালটি তার মৃদু, বাদামী স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত, যা যে কোনও রান্নায় যোগ করলে তা উন্নত হয়ে ওঠে।


তুলাইপাঞ্জি চালের উপকারিতা:

তুলাইপাঞ্জি চালের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা স্বাস্থ্য-conscious মানুষদের জন্য এটি একটি ভালো পছন্দ করে তোলে। এটি থায়ামিন, নাইসিন, ভিটামিন B6, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। 


চালটিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক, যার ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এছাড়াও, এর উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট পাচন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।


তুলাইপাঞ্জি চালের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এর নিম্ন গ্লাইসেমিক সূচক। যেসব খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম, তা ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করা বাড়ানোর হার ধীর হয়। এর ফলে, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে এবং খাওয়ার পর দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্তি অনুভূতি বজায় রাখে। আরও কী, তুলাইপাঞ্জি চাল প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত, যা সেলিয়াক রোগ বা গ্লুটেন সহনশীলতা সমস্যাযুক্ত মানুষের জন্য উপযোগী।


কিছু গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়েছে যে, তুলাইপাঞ্জি চালের উপাদানগুলি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও কমিয়ে দিতে পারে। তবে, মনে রাখা উচিত যে তুলাইপাঞ্জি চালের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন। যে কোনো খাবারের মতো, এটি সুষম ডায়েটের অংশ হিসেবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।


উৎপাদনের সময় সীমা :

ঐতিহ্যগতভাবে, তুলাইপাঞ্জি অগাস্ট-ডিসেম্বর সময়কালে বর্ষা মৌসুমের পরে মধ্য-জমি থেকে উঁচু জমিতে এবং বিশেষ করে পাট কাটা ক্ষেতে কোনো সার ব্যবহার না করেই চাষ করা হয়। কম মাটির উর্বরতা এবং আর্দ্রতার চাপ সাধারণত ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে বিরাজ করে এবং সুগন্ধের পিছনে মূল কারণ বলে বিশ্বাস করা হয়। 


অজৈব সার সাধারণত এই চাল এর সুগন্ধ এবং অন্যান্য গুণগত মান কমিয়ে তোলে আর এই কারণে অজৈব সার তুলাইপাঞ্জি উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় না।


সাল অনুসারে ফলন :

বর্তমানের তথ্য অনুযায়ী খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর। উত্তর দিনাজপুরে জেলার একমাত্র নিজস্ব দেশি ধান তুলাইপাঞ্জি উৎপাদনে রেকর্ড উৎপাদন গড়লেন কৃষকরা। ২০২৪ সালের খারিফ মরশুমে সর্বাধিক বেশি তুলাইপাঞ্জির ফলন হয়েছে উত্তর দিনাজপুরে। 


শুধুমাত্র রায়গঞ্জ রায়গঞ্জ মহকুমার নির্দিষ্ট কৃষিজমিতে সুস্বাদু, সুগন্ধে অতুলনীয় তুলাইপাঞ্জি ধান চাষের সুযোগ সীমাবদ্ধ। জেলাজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে উচ্চ ফলনশীল আমন ধান চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ করেছিলেন ২২ হাজার ৩০০ কৃষক।  


২০২১ সালের থেকে অন্তত ৬ হাজার মেট্রিন টন বেশি তুলাইপাঞ্জি ধান উৎপাদন হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়, 


২০১৬- ১৭ অর্থবর্ষে মাত্র ৬ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ হত। 


২০১৮-১৯ সালে তার পরিমাণ বেড়ে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জির চাষ হয়। 


২০২০-২১ সালে ওই চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে তুলাইপাঞ্জি আবাদ হয়েছিল। 


২০২১-২২ অর্থবর্ষে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। 


২০২১-এ ১৮ হাজার মেট্রিন টন তুলাইপাঞ্জি ফলন হয়েছিল। গত বছরের উৎপাদনকে পিছনে ফেলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিন টন, 


২০২৩- '২৪ সালে ৩০ হাজার মেট্রিক টন তুলাইপাঞ্জির ফলন হয়েছে। 


সম্প্রতি অর্থাৎ ২০২৫ সালে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন তুলাইপাঞ্জি ধান কৃষকের গোলায় উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।


রাজ্য সরকারের প্রকল্প :

সুগন্ধি ধান চাষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলার নিজস্ব তুলাইপাঞ্জি আবাদে কৃষকদের বিনামূল্যে তুলাইপাঞ্জির বীজ সরবরাহ করা হয়।


তুলাইপাঞ্জির চাহিদা গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে রয়েছে। তাই জেলার রায়গঞ্জ এবং হেমতাবাদের চাষিদের তুলাইপাঞ্জি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলাইপাঞ্জির জমির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে ফলনও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 


জেলার কৃষি দপ্তর জানিয়েছে যদিও সেই সংখ্যা বাড়বে । জেলা কৃষি অধিকর্তাদের মত অনুযায়ী, 'সুগন্ধী ধান চাষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বাংলায় প্রকল্প চালু হয়েছে। জেলার নিজস্ব তুলাইপাঞ্জি আবাদে কৃষকদের বিনামূল্যে তুলাইয়ের বীজ সরবরাহ করা হয়। তুলাইয়ের চাহিদা গোটা রাজ্যে রয়েছে। তাই জেলার রায়গঞ্জ এবং হেমতাবাদের চাষিদের তুলাইপাঞ্জি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। 


ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে তুলাইয়ের জমির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে ফলনও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 'তুলাইপাঞ্জি ধানের জীববৈচিত্র্য যাতে কেউ চুরি করতে না পারে, সেই কারণে ২০১৭ সালে জিআই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তুলাইপাঞ্জি।' 


রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কর্ণজোড়া এলাকায় তুলাই ধান ভাঙার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। কৃষকদের এই ধান চাষে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক সুযোগসুবিধা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

SMA Type 1: কৈলাস খের এর পর রূপম রানাঘাটের একরত্তি অশ্মিকার পাশে, আপনিও এগিয়ে আসুন|

স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA)

"স্পাইনাল পেশীবহুল অ্যাট্রোফি বিশ্বব্যাপী প্রতি 8,000 থেকে 10,000 জনের মধ্যে 1 জনকে প্রভাবিত করে।" - সূত্র: Medlineplus.gov


স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) টাইপ 1 একটি গুরুতর জেনেটিক অবস্থা যা শিশুদের প্রভাবিত করে। SMA1 নামক একটি জিনে সমস্যার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই জিনটি এমন একটি প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা মোটর নিউরনগুলির বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য, যা স্নায়ু কোষ যা পেশী নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রোটিন পর্যাপ্ত না হলে, মোটর নিউরনগুলি মারা যায়, এবং পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : শিশুর পড়ায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় 



রানাঘাটের অশ্মিকার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা 

রানাঘাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও অনামিকা দাসের ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে অশ্মিকা SMA টাইপ 1 এ আক্রান্ত। যার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা। https://www.impactguru.com/ সাইট টির মাধ্যমে অশ্মিকার চিকিৎসা করানোর জন্য ডোনেশন চাওয়া হয়েছে। 


অশ্মিকার বর্তমান অবস্থা : 

impactguru অশ্মিকার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেছে  এবং বলেছেন যে অশ্মিকা শীঘ্রই নিচের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।


- তার ঘাড় ধরে রাখার অক্ষমতা

- সমর্থন ছাড়া বসতে অক্ষমতা

- খাবার খেতে বা গিলতে অক্ষমতা 

- ঘুরতে না পারা

- এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়


এভাবেই টাইপ-1 এসএমএ অশ্মিকার মতো একটি সুন্দর শিশুকে কষ্ট দিচ্ছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার বিস্ময়কে ধন্যবাদ, এমনকি টাইপ-১ এসএমএর মতো নিষ্ঠুর অবস্থাও কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এখানেই রয়েছে টুইস্ট।


ফেসবুকে রূপম ইসলাম ও ফসিল টীমের আবেদন 

কিছুদিন আগে রানাঘাটে প্রোগ্রাম করার পর রূপম ইসলাম ও তাঁর ফসিল টীম ছোট মেয়েটি যাতে তাঁর ২য় বর্ষ জন্মদিন পালন করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এবং মেয়েটিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করতে Fund Raising এর জন্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা ফেসবুক ওয়ালে কি বলেছেন তুলে দেয়া হল :- 


"গতকাল আলাপ অশ্মিকার সঙ্গে, রানাঘাট শো-তে গিয়ে। আর কী অদ্ভুত সমাপতন, আমাদের জন্মদিন একই দিনে, অর্থাৎ আজ!  

 

আমরা সবাই মিলে, একসঙ্গে অশ্মিকা-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা তো জানাবই, এবং পরের জন্মদিন একসঙ্গে, আরও বড়ভাবে কাটানোর জন্য এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নেব। আর তার জন্য দরকার আপনাদের সাহায্যের। কেন? কারণ, অশ্মিকা এক বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত, Spinal Muscular Atropy. চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ ওর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় আর মাত্র ৬ মাস।  আনতে হবে বিদেশ থেকে। আর ওষুধের দাম ১৬ কোটি টাকা (+ ট্যাক্স + জিএসটি)। এই দাম একার আয়ত্তের বাইরে হলেও, আমাদের সবার ছোট ছোট সাহায্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আয়ত্তের বাইরে নয়। তাই, সবার কাছে আমাদের এগিয়ে আসবার অনুরোধ থাকলো! #Fossils "


ডোনেশন লিঙ্ক: https://www.impactguru.com/fundraiser/help-aasmika-das

Pic Collected : Facebook


কৈলাস খের জীর আবেদন 

রূপম ইসলামের মত বলিউড বিখ্যাত গায়ক কৈলাস খের জী ও রানাঘাটে গান করতে এসে এই ছোট্ট একরত্তি মেয়েটিকে সকলের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন করেছেন। 


অশ্মিকার জন্য ফান্ড কিভাবে দিতে পারবেন 

ছোট ছোট করে আমরা যদিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তুলি তবে ১৬ কোটি টাকা তোলা খুব সহজেই সম্ভব হবে। এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ ওর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় আর মাত্র ৬ মাস আর আনতে হবে বিদেশ থেকে। আর ওষুধের দাম ১৬ কোটি টাকা (+ ট্যাক্স + জিএসটি)। ইমপ্যাক্টগুরু এই সাইটের ডোনেশন লিংক  থেকে UPI এর মাধ্যমে ডোনেশন করতে পারবেন। 


সমস্ত বাধা বিগ্ন পেরিয়ে অস্মিকা একদিন হেসে খেলে বড় হয়ে উঠবে এই আসায় আমরা সকলে অধীর অপেক্ষায় রইলাম। এই ব্লগ এর মাধ্যমে যদি সামান্য পরিমান ডোনাশন ছোট্ট মেয়েটির চিকিৎসার উদ্দেশে যায় তবে নিজেকে ধণ্য ও গর্বিত অনুভব করবো। 


এই পোস্ট এর কমেক্টের অপেক্ষায় #edik-odik, মন যা চায় 

Bhojpuri Song 2025: এটা ছাড়া শীতের পিকনিকে মজা পাওয়া যায় না।

শীতের দিনের আমেজটাই আলাদা। কখনো কুয়াশা, কখনো রোদ। আর এখন উপযুক্ত সময় চড়ুইভাতী অর্থাৎ পিকনিক এর। পিকনিক! আর নাচ হবে না? কিন্ত ধামাকাদার গান তো দরকার, যাতে মনের সুখে কোমরটাকে ভালোভাবে দোলানো যায়। আছে! আছে! ভোজপুরি গান। একবার চালালেই নেশা ধরে যাবে। হিন্দির কিছুটা কাছাকাছি, কিন্তু ভাষা খুব বেশি বোঝার প্রয়োজন নেই, শুধু গানের বিট গুলো ধরে নেশার মত নাচতে থাকা। 

বিহারের ভোজপুরি গান – লোকসংগীতের প্রাণধারা

বিহার ভারতের এক সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক রাজ্য, যার সংগীত ঐতিহ্যের মধ্যে ভোজপুরি গান (Bhojpuri Song) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই গান শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং ভোজপুরি ভাষাভাষী মানুষের জীবন, অনুভূতি ও সমাজের প্রতিফলন। ভোজপুরি ভাষা মূলত বিহারের পশ্চিমাঞ্চল, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

ভোজপুরি গান প্রাচীন লোকসংগীতের ধারাকে ধারণ করে গড়ে উঠেছে। কৃষিকাজ, বিবাহ, উৎসব, প্রেম, বিচ্ছেদ, সমাজজীবন—সব কিছুই এই গানের মূল বিষয়। বিয়ের সময় “সোহর” গান, চাষাবাদের সময় “কাঁরাহা” গান, এবং উৎসবে “ফাগ” বা “চৈত” গান গাওয়া হয়, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

আধুনিক যুগে ভোজপুরি সংগীত আরও বহুমাত্রিক হয়েছে। আজ ভোজপুরি গান শুধু গ্রামীণ অঞ্চলে নয়, সারা ভারতের সংগীতপ্রেমীদের কাছেও জনপ্রিয়। মনোজ তিওয়ারি, পবন সিং, খেসারি লাল যাদব, রিতেশ পাণ্ডে, অন্তরা সিং প্রিয়াঙ্কা, ও শিল্পী দেবী–এর মতো শিল্পীরা ভোজপুরি গানে নতুন মাত্রা এনেছেন। তাঁদের গানে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র, পপ সংগীতের ধারা এবং সিনেমার প্রভাব যুক্ত হয়েছে।

ভোজপুরি সিনেমা শিল্পের সাফল্যের পেছনেও এই গানগুলির ভূমিকা অসামান্য। প্রায় প্রতিটি ভোজপুরি চলচ্চিত্রে ৪–৫টি গান থাকে, যা দর্শকদের মনোরঞ্জনের প্রধান আকর্ষণ। “लॉलीपॉप लागेलू” বা “छठी मईया के गीत”–এর মতো গানগুলি আজ সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে।

তবে, এই আধুনিকীকরণের মধ্যেও লোকসংগীতের মূল সুর আজও অক্ষুণ্ণ আছে। বিহারের গ্রামীণ নারী-পুরুষ এখনো মাঠে, উৎসবে, বা আঙ্গিনায় বসে দলবদ্ধভাবে গেয়ে ওঠেন ভোজপুরি গান। এতে প্রেম, বেদনা, আনন্দ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের এক অনন্য মিশেল দেখা যায়।

ভোজপুরি গান আজ শুধু বিহারের নয়, গোটা উত্তর ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভাষা ভিন্ন হলেও সংগীতই পারে হৃদয়কে এক সুরে বাঁধতে।

আরও পড়ুন : বিনামূল্যে ছবি ডাউনলোডের কিছু আদর্শ সাইট


ফাটাফাটি কিছু ভোজপুরি গানের তালিকা 

Song - Balamuwa Ke Ballam (2024)

Singer - Samar Singh, Neha Raj

Geet - Alok Yadav

Music - ADR Anand

Concept - Samar Modi

Director - Ashish Satyarthi

Project manager - Sonu Srivastava

Music Label - T-Series

আরও পড়ুন : হার্ট এর রোগ ও ধর্মীয় প্রভাব 

Meri Jalti Jawani Mange Pani Pani (2017)

Song - Jawani Mange Pani Pani

Artist - R C Aarshi Upadhyay

Writer - Ajay Hooda

Singer - Ruchika Jangid

Music - T R Music

Director - Pawan Gill 

Label - Mor Music Company

Special Thanks - Vikas Singhroha & Ramkesh Jiwanpurwala

Audio Studio - Mor Music Audio Recording Studio

Production House - Mor Digital Recording

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ 


Song : Tut Jai Palang Raja Ji (2022)

Singer : Khesari Lal Yadav, Indu Sonali

Music : Chhote Baba

Lyrics : Sumit Singh Chandravansh


Song :- Lolly Pop Lageli (2015)

Singer :- Pawan Singh

Writer :- Zahid Akhtar

Music :- Vinay Vinayak 


আরও পড়ুন : শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত 

Song - Kamar Kare Lach Lach (2023)

Singer / Actor - Neelkamal Singh

Feat- Shrishti Uttrakhandi

Lyrics - Krishna Sangam

Music - Shubham SBR

Composer - Neelkamal Singh 


Song : Dhani Ho Sab Dhan (2023)

Singer : Power Star Pawan Singh & Shivani Singh

Ft. : Queen Shalinee 

Lyrics : Ashutosh tiwari

Music :Priyanshu Singh


Song :- Apne Labhar Ko Dhokha Do (2023)

Singer :- Chand Jee & Shilpi Raj

Lyrics :- imran Bhai

Music Director :- Gaurav Roshan


Song:- Komor UP komor Down (2022)

SINGER - NEELKAMAL SINGH 

FEAT - SHRISHTI UTTRAKHANDI

STARRING - NEELKAMAL SINGH,FEAT - SHRISHTI UTTRAKHANDI

MUSIC - VINAY VINAYAK

LYRICS - ASHUTOSH TIWARI

Dooars Loop Bridge 2025 : জাতীয় সুরক্ষা ও পর্যটনের আকর্ষণ

ডুয়ার্সের বাগরাকোটে রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু, ভারতীয় সেনাবাহিনীর চীন সীমান্তে যাওয়ার এই রাস্তা জনগণের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু


রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু:

পশ্চিমবঙ্গ (ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য ) রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের জেলা জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বাগরাকোটে। যদিও সেতুটি  সর্বসাধারণের জন্য এখনও খুলে দেওয়া হয়নি। তবে রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ইতিমধ্যে বাগরাকোটে ভিড় জমাচ্ছেন ।


আরও পড়ুন : কেরাম খেলে রোজগার করুন 


লুপ সেতুর দূরত্ব :

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে প্রথম ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ - ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম ১৮ কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা। বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। দু’টি ভাগে সেতু রয়েছে ৷ একটির দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার ও অপরটির ৫০০ মিটার।


লুপ সেতু কোথায় যুক্ত হচ্ছে :

বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। বাগরাকোট থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে সামান্য গেলেই নতুন ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের এই রাস্তা । আগামিদিনে সেনার ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া বা যাতায়াতের জন্য এটি মূল রাস্তা হতে চলেছে। সেতু ও রাস্তাটি অনেকটা সাপের মতো একে বেঁকে যাওয়ার কারণে এই সেতু ও রাস্তার নাম অনেকে স্নেক রোড দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন : রভী তেজার ২০২৩ এর ছবি 

আরও পড়ুন : ২৫ দিনে পয়সা ডবল হেরাফিরী ৩ (২০২৫)


লুপ সেতু, রাস্তা ও জাতীয় সুরক্ষা :

শিলিগুড়ি থেকে সেভক হয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এতদিন ছিল বাংলা ও সিকিমের লাইফ লাইন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ওই রাস্তা ধস বা প্রাকৃতিক অনেক কারণে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় । এর কারণ তিস্তার ভাঙন ও ধস। এতদিন ওটি ছিল সোনাবাহিনীর পরিবহণের একমাত্র রাস্তা । সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায়।


তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সেই দিক থেকে বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে এবার থেকে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে । সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা থাকবে৷

আরও পড়ুন : বাস্তার ২০২৪, সুদীপ্ত সেনের চলচ্চিত্র 


সেভক বা 10 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা হবে এটি ৷ বাগরাকোট দিয়ে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হাসিমারা ও বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিকে যুক্ত করবে । একইসঙ্গে বাগরাকোট ডামডিম এলাকায় রেললাইনের উপর একটি বড় সেতুও তৈরি করা হচ্ছে । সব মিলিয়ে নাথুলা সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভারত সরকার এটি তৈরি করছে।



পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু:

বাগরাকোট থেকে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়কটি ভারত-চিন সীমান্তে নাথুলা পর্যন্ত যাবে। পাহাড় কেটে রাস্তাটি 2018-2019 সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতীয় সড়কটির জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম ১৩ কিলোমিটার রাস্তার মাঝে বাগরাকোট চুইখিমে লুপ পুলটি তৈরি হয়েছে । বাগরাকোট থেকে চার কিলোমিটার দূরেই এই লুপ সেতুটি তৈরি হয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। 

আরও পড়ুন : সরকারি প্রকল্প - গতিধারায় গাড়ি কিনে রোজগার

লুপ সেতু থেকে প্রাকৃতিক নৈসর্গ উপভোগের সুযোগ পাবেন মানুষ। দু'পাশে চোখ রাখলেই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হবে। চোখ বাড়ালেই দেখা যাবে নদী। বিশেষত সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় এক মায়াবী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অনেকের ধারণা, আগামিদিনে বাগরাকোটের অন্যতম ‘টুরিস্ট স্পট’ হয়ে উঠতে চলেছে লুপ সেতু।


কোন কোন জায়গা যুক্ত হচ্ছে :

জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোট থেকে চুইখিম, দাড়াগাও, বরবর হয়ে কাফের হয়ে কালিম্পং বাইপাস হয়ে আলগারা, ঋষি পেডং, রোরাথাং পাকয়াং এয়ারপোর্টের পাশ দিয়ে রানিপুল হয়ে ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় সড়কটি যাবে । ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড 717 নম্বর জাতীয় সড়কটি নির্মাণ করছে । জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, পাকয়াং ও গ্যাংটক জেলাকে জুড়বে এই জাতীয় সড়কটি । এই জাতীয় সড়কটি প্রায় 200 কিলোমিটার লম্বা ।


লুপস্টার :

নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। কিন্তু তাতেই নেটদুনিয়ায় ‘সুপারস্টার’ হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লুপ সেতু। সেই সেতু দেখতে বাগরাকোটের আশপাশের এলাকা অনেকেই আসছেন। পর্যটকদের কেউ-কেউও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। তুলছেন সেলফি। বানাচ্ছেন রিল। আর সকলেই একটা কথা বলছেন, এই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা হবে। 


Maa ki Rasoi 2025: মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার

আগামী ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ মেলা, আর এই মেলাকে উদ্দেশ্য করে সাজো সাজো রব। এবছর ৪০ কোটির উপর ভক্ত এই মেলায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। বিভিন্ন ভক্তের জন্য বিভিন্ন সংস্থা যথারীতি খাদ্যের ব্যবস্থা করছে। 

উত্তরপ্রদেশে যৌথ রান্নাঘর প্রকল্পের সূচনা:

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভমেলা শুরুর মুখে শুক্রবার (১০/০১/২০২৫) প্রয়াগরাজে 'মা কি রসোই' নামে একটি যৌথ রান্নাঘর প্রকল্পের সূচনা করেছেন।


আরও পড়ুন : শীতের মরসুমে ভালো জ্যাকেট ও শীতের পোশাকের যত্ন নেবেন কিভাবে


খাবারের তালিকা:

পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ বাংলার 'মা ক্যান্টিন'-এর আদলে তৈরি ওই রান্নাঘর থেকে মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার দেওয়া হবে প্রত্যেককে।


খাবারের তালিকায় থাকছে ডাল, চারটি রুটি, তরকারি, ভাত, স্যালাড এবং একটি মিষ্টি।


সাহায্যকারী সংস্থা :

নন্দী সেবা সংস্থান,  মূলত আর্থিকভাবে দুর্বল গোষ্ঠীর মানুষের কথা ভেবে তৈরি এই রসুইঘর চালানোর দায়িত্বে রয়েছে । উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, যৌথ রান্নাঘরটি জনতার উদ্দেশে নিবেদিত হলেও আধুনিক রেস্তোরাঁয় যা যা থাকে, এতে তার সবকিছুই রয়েছে। 

আরও পড়ুন : পাটালি গুড় আর পুলি পিঠা পায়েস 

আরও পড়ুন : বলিউড ২০২৫ - কোন ছবি গুলো রিলিজ হতে চলেছে 


কোথায়?

রেস্তোরাঁটি বানানো হয়েছে প্রয়াগরাজের স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতাল চত্বরে। এই উদ্দেশ্য সাধনে প্রয়াগরাজ সফরের  দিনে হাসপাতালে গিয়ে 'মা কি রসোই'-এর প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।

আরও পড়ুন : হলুদের গুন আরও বাড়বে কোন জিনিস প্রয়োগ করলে 

একবারে কতজনের জন্য খাবার :

শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ওই রান্নাঘর থেকে মাত্র ৯ টাকায় পেটভরা খাবার দেওয়া হবে প্রত্যেককে। খাবারের তালিকায় থাকছে ডাল, চারটি রুটি, তরকারি, ভাত, স্যালাড এবং একটি মিষ্টি। এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রায় ২,০০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে তৈরি মা কি রসোই-এ একসঙ্গে ১৫০ জন বসে খেতে পারবেন। 


হাসপাতালে আসা হাজারো রোগীর পরিবারের লোকজনের পক্ষে এই রান্নাঘর সবচেয়ে কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই. উদ্যোগ কেবলমাত্র সাশ্রয়ী নয়, বরং দরিদ্র মানুষের জন্য এক বিশাল সহায়তা।

Swaraswati Puja 2025 : জেনে নিন বাগদেবীর পুজো মুহূর্ত থেকে পুজো মন্ত্র

বাঙালি সারাবছরই কোনো না কোনো উৎসবের অঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আর স্বরস্বতী পূজো মানেই ছেলে মেয়েদের বই খাতা মায়ের চরণে দিয়ে দু একদিনের জন্য হই হুল্লোড় করা। কচি থেকে বড়, মেয়েদের শাড়ী আর ছেলেদের পাঞ্জাবী পড়ার বাহার। স্বরস্বতী পূজো মানেই সারাদিন আড্ডা, স্কুল কলেজে ও অন্য জায়গায় ঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া গান বাজনা। 

Swaraswati Puja 2025 Edik-Odik


হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে, দেবী সরস্বতীর কাছে বুদ্ধি এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই দিনে বিশেষ পুজো করেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। 


২০২৫ সালে সরস্বতী পুজোর দিনক্ষণ 

২০২৫ সালে সরস্বতী পুজোর জন্য ৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট সময় থাকবে। সরস্বতী পুজো মুহূর্ত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৯ টা ১৪ মিনিট থেকে ১২ টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। 

আরও পড়ুন : ২০২৪ এ সর্বাধিক আয় করেছিল ভারতের যে সিনেমা 


প্রচলিত হিন্দু রীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে, সরস্বতী পুজোর দিনটি শিশুদের শিক্ষা ও বিদ্যা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি শুরু করার জন্য একটি অত্যন্ত শুভ দিন বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এই পবিত্র দিনটি ব্যবসা, স্কুল প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি নতুন কাজ শুরু করার জন্যও শুভ বলে বিবেচিত হয়।

Bag Devi Aradhana 2025


পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী পালিত হয়। 


এবছর কখন পূজা তিথি :

২০২৫ সালে, মাঘ পঞ্চমী তিথি ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৯ টা ১৪ মিনিট থেকে শুরু হবে, যা পরের দিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৬ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এ বছর ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সরস্বতী পুজো উদযাপিত হবে। এই দিনে জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীর পুজো করা হয়। মা সরস্বতীর একটি নাম হলশ্রী, তাই এই দিনটিকে শ্রী পঞ্চমীও বলা হয়।

আরও পড়ুন : সরকারি প্রকল্প - মা কি রসই ২০২৫


বসন্ত পঞ্চমীর তাৎপর্য: 

বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীকে অবুঝ মুহূর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, অর্থাৎ এটি বছরের সেই বিশেষ দিনগুলির মধ্যে একটি, যেদিন পঞ্চাঙ্গের দিকে না তাকিয়ে যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে। এই দিনে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিশেষভাবে অনুকূল থাকে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন, চাঁদও একটি শুভ অবস্থানে থাকে, যা মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি নিয়ে আসে। এই দিনে হলুদ কাপড় বাধ্যতামূলকভাবে পরিধান করা হয়, যা বৃহস্পতি গ্রহের প্রতীক এবং যা জ্ঞান, শুভ ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে।


বসন্ত পঞ্চমীর দিন থেকে ঋতু পরিবর্তন হয় এবং ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটে। গাছ এর পুরানো পাতা ঝরে নতুন অঙ্কুর গজায়। কোকিলের তান আর মহুয়া ও অন্যান্য ফুলের সুবাসে গোটা পরিবেশ মুখরিত থাকে। তাই বসন্ত পঞ্চমীকে বলা হয়েছে প্রকৃতির উৎসব। এই দিন থেকে, সূর্যের রশ্মি শক্তিশালী হতে শুরু করে যাতে কনক ফসল অর্থাৎ গম সোনার মতো পাকে এবং গৃহ ধন-শস্যে ভরে যায়। ক্ষেতে হলুদ সরিষা ফুলের সৌন্দর্য বসন্ত পঞ্চমীর হলুদ রঙের প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গের লুপ ব্রিজ, এক দর্শনীয় স্থান 


হিন্দু ধর্মে, বসন্ত পঞ্চমী একটি উৎসব যা জ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির সঙ্গমের প্রতীক। এটি একটি নতুন সূচনা এবং জ্ঞান অর্জনের দিন। বসন্ত পঞ্চমীর শুধু ধর্মীয় নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকেও তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনটি জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীকে উৎসর্গ করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২৫ সালের বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজো কখন, এই দিনের ধর্মীয় ও জ্যোতিষশাস্ত্রীয় তাৎপর্য কী এবং পুজোর শুভ সময় কখন জেনে নিন। 


জেনে নেয়া যাক স্বরস্বতী পূজার কিছু মন্ত্র 


পুস্পাঞ্জলি মন্ত্র

ওঁ ভদ্র কাল্যই নমঃ নিত্যং 

সরস্বতঃই নমঃ নমোঃ 

বেদ বেদান্ত বেদাঙ্গ 

বিদ্যাস্থানিভ্য 


এবচ এসঃ সবচন্দনঃ 

পুষ্প বিল্বপ্ত্র পুস্পাঞ্জলি 

ওঁ ঔঁ শ্রী শ্রী সরস্বতঃই নমঃ নমোঃ।। 


প্রনাম মন্ত্র

জয় জয় দেবি চরাচর সারে, 

কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে 

বীণা পুস্তক রঞ্জিত হস্তে 

ভগবতি ভারতি দেবি নমোহস্তুতে ।।


ওঁ সরস্বতি মহাভাগে 

বিদ্যে কমললোচনে 

বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি 

বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে।।


কোন ফুলে দেবী স্বরস্বতীর পূজা হয় :

প্রতি বছর বসন্ত কালেই পড়ে স্বরস্বতী পুজোর তিথি। আর বছরের এই সময়েই বিশেষত রাঙা হয়ে ফোটে পলাশ ফুল। তাই মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীকে এই পলাশ ফুল অর্পণ করার রীতি যুগ যুগ ধরে।

আরও পড়ুন : শীতের পিকনিক সঙ্গে কোন ভোজপুরি গান বাজাবেন?

পলাশ ফুল সরস্বতী পুজোর অন্যতম প্রধান উপচার। সরস্বতী পুজোতে পলাশ ফুল দিতেই হয়!।


পলাশ ফুলের উপকারিতা 

পলাশ ফুল অনেক জায়গায় তেসু নামেও পরিচিত। পলাশ ফুলেরও অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। পলাশ গাছের ফুল, বীজ এবং শিকড় থেকে ওষুধ তৈরি করা হয় এবং এটি আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।