Madhyamik 2025 : এই কৌশল গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করলে সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ শনিবার পর্যন্ত। হাতে রয়েছে আর মাত্র কিছুদিন। ৮ দিন ধরে মোট আটটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শেষ দিনে হবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। 

এখন দেখে নেয়া যাক , রুটিন অনুযায়ী কোন পরীক্ষার আগে কতদিন ছুটি।


মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন:

১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (সোমবার)- বাংলা

১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার)- ইংরেজি

১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার) - গণিত

১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (সোমবার)- ইতিহাস

১৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার )- ভূগোল

১৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বুধবার)- জীবন বিজ্ঞান

২০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)- ভৌত বিজ্ঞান

২২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার)- ঐচ্ছিক বিষয়


ছাত্র ছাত্রী দের পরীক্ষা প্রস্তুতির সাথে সাথে একটা চিন্তা থাকে কিভাবে পরীক্ষার ফল ভালো করা যায়। কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল ভালো করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রতিদিনের পড়াশোনা ও তার পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করার। তাহলে অনেক কম পরিশ্রমেও সহজেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সফ্টড্রিংক ড্রিংক গ্রহণ করার পর বোতল ফেলে দিচ্ছেন? পেতে পারেন স্মার্টফোন।

সুতরাং সব বিষয়ে আগামী পরীক্ষায় বাজিমাত করতে হলে প্রতিদিনের কার্যপ্রণালী বা পরীক্ষা হলে নিচের সহজ কৌশল গুলি অবলম্বন করলে পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো হতে বাধ্য ।

Success mantra of Madhyamik 2023

সুন্দর উপস্থাপনা

বাংলায় প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে - 'প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুনবিচারী। অর্থাৎ পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতা যেন সৌন্দর্যপূর্ণ হয় যেন সহজেই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরিস্কার, পরিছন্ন হাতের লেখা, প্রয়োজন অনুযায়ী মার্জিন ছেড়ে লেখা, প্রতিটি উত্তরের মাঝে নিদিষ্ট ভাবে ছেড়ে লেখা ইত্যাদি একটি ভালো খাতার বৈশিষ্ট। চেষ্টা করতে হবে যাতে ভুল বানান বা অযথা লিখে খাতায় কাটা কাটি না করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পেলো হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 

সময় ব্যবস্থাপনা

এটা ভুল ধারণা যে প্রচুর লিখে অনেক নম্বর পাওয়া যায়। প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেইটুকু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেই সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায়। এতে সময় অপচয় কম হবে আর সময়ের অভাবে প্রশ্নত্তর না লিখে আসার সম্ভাবনাও আর থাকবে না।

২০২০ সালের আপনার মিস হয়ে যাওয়া কিছু বাংলা সিনেমা 

না দেখে লেখার অভ্যাস করা

যে কোনও লেখা বুঝে পরার পর, না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। আমরা যায় পড়ি না কেন, কখনো টা হুবহু মনে থাকে না। তাই প্রথম দিকে না দেখে লিখতে গেলে টা ভুলে ভরা হবে, কিন্তু প্রতিদিন অভ্যাস করলে একসময় নির্ভুল হবেই। কথায় আছে 'Practice makes a man perfect.


পড়াশোনার ধারাবাহিকতা

পড়াশোনা করার ধারাবাহিকতা ভীষণ দরকার। অল্প হলেও প্রতিদিন পড়তে হবে। হটাৎ করে পরীক্ষার আগে, দিন রাত এক করে পড়লেও ভালো ফলাফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিষয় ভিত্তিক বুঝে পর্বে হবে। বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণ বা অংকের মত বিষয় প্রতিদিন চর্চার মধ্যে রাখতে হবে, তবে ফুল মার্কস পাওয়া যাবে।


মাধ্যমিক পরীক্ষাজেনে নিন ২০১৫ সাল থেকে কারা প্রথম স্থান পেয়েছে

প্রশ্ন নির্বাচন

অল্প লিখে ভালো নাম্বার পাওয়ার অন্যতম পন্থা - যেমন কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে তা নির্বাচন করা। যেমন ধরা যাক প্রশ্নমান - ৫ - এরকম তিনটি প্রশ্ন রয়েছে - যাদের নম্বর বিভাজন ৩ রকমের। প্রথম টি পুরো ৫ নম্বরের, দ্বিতীয় টি - ( ১+ ৪) ও তৃতীয় টি (২+৩), এক্ষেত্রে তৃতীয় প্রশ্নটি চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ প্রশ্নের মান যত কম হবেব তত কম লিখতে হবে ও নম্বর কাটা যাওয়ার সুযোগ কমতে থাকবে।

ভারতের ২৫ টি বিভিন্ন উৎসব

সৃজনশীলতা.

নোট বই থেকে উত্তর মুখস্হ করে হুবহু লিখতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই কিছু শব্দ বাদ পরে যাওয়া খুব সাধারণ একটি ভুল - সেক্ষেত্রে লাইন টির অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো যদি নিজেদের মত করে গুছিয়ে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা যায়। এতে লেখার সৃজনশীলতা আসবে ও ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।

কালিম্পঙ এর নিরালায় কাগে  অন্য স্পট 

Offbeat Explorer Kaghey at Kalimpong

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি:

যে সকল ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে নিয়ম করে উপস্থিত থাকে ও ক্লাস লেকচার শোনে তারা অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ছেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফলাফল করে। কারণ ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক কঠিন বিষয় দীর্ঘক্ষন আলোচনার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বুঝিয়ে দেন, যা আত্মস্থ করতে পারলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

এই যুগে মহাপুরুষ মনীষীদের কিছু দরকারী বাণী এবং কেন প্রয়োজন |

গ্ৰুপ স্টাডি করা:

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি গুরুত্ব পূর্ণ টেকনিক। একটা সঙ্গে গ্রুপ করে পড়লে সে বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মে, ফলে পড়ার বিষয় যেমন সহজ হয়, তেমনি একে অপরকে প্রশ্নত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুশীলন করলে দীর্ঘদিন সেই উত্তর স্মৃতিতে গেথে থাকে। এতে শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।

কেদারনাথে সোনায় বাধানো গর্ভগৃহ

'To the point' লেখা

জ্ঞান মুলক প্রশ্নের (মান - ১) ক্ষেত্রে একটি পূর্ণ বাক্য উত্তর লিখলেই যথেষ্ট। আখ্যানধর্মী প্রশ্নের ( মান - ৩) ক্ষেত্রে দুটি প্যারায় উত্তর লিখতে হবে। অন্যদিকে রচনা ধর্মী প্রশ্নের (মান -৫) ক্ষেত্রে ৩টি প্যারা বাঞ্চনীয়।

২০১৯ সালের কিছু ভালো বাংলা সিনেমা

সঠিক পরিকল্পনা :- 

অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল পায় না, এর প্রধান কারণ হল সঠিক পরিকল্পনার অভাব। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে এবং সময়সূচি মেনে পড়াশোনাও করতে হবে। এই সময়সূচিতে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে পঠনপাঠন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি নিজ হাতে লিখে নিতে হবে। 


রিভিশনের ওপর গুরুত্ব দেয়া:- 

প্রতিদিন পড়ার পাশাপাশি যা আগে পড়া হয়েছে তা রিভিশন অবশ্যই করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরোনো পড়া রিভিশনের এর জন্য রাখতে হবে। রিভিশন যত বেশি করবে আত্মবিশ্বাস তত বৃদ্ধি পাবে এবং পুরোনো পড়াগুলো অনেক বেশি মনে থাকবে।


মক টেস্ট ও পুরোনো প্রশ্নপত্র অনুশীলন:- 

অনুশীলন পারফেকশন আনে। পড়াশোনা শুধুমাত্র মুখস্থ করলেই হবে না বুঝে মুখস্থ করে তা বারবার অনুশীলন করতে হবে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ও মক টেস্ট সমাধান করতে হবে। শুধু পড়ার চেয়ে লিখে অনুশীলন করলে বিষয়বস্তু বেশিদিন মনে থাকে। অনুশীলনের মাধ্যমে ভুলগুলি চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে। বাড়িতে পরীক্ষার মাধ্যমিক এর মতো পরিবেশ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের সাহায্য নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।


স্মৃতি ধরে রাখার কৌশল 

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একটি বিশেষ সমস্যা হল পড়া ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ার সময় মূল পয়েন্টগুলোকে মার্ক করতে হবে এবং বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রাখতে হবে। একনাগাড়ে এক ঘণ্টার বেশি পড়া যাবে না এবং যা পড়লে তা কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে আবার নতুন পড়ার দিকে এগোতে হবে।


মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা 

পড়ার মাঝে এবং কিছু সময় বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য ব্যয় করতে হবে। মাঝে মাঝে মন অশান্ত হয়ে উঠলে ধ্যানের মাধ্যমে কোনও মহাপুরুষ বা তুমি যাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ভক্তি করো তাঁর কথা ভাবতে হবে। দেখা যাবে মন শান্ত হয়ে গিয়েছে। কঠিন বিষয়বস্তুকে উদাহরণ মনে রাখার ক্ষেত্রে নিজেরাই ছড়া বানিয়ে বা কোনও বর্ণগুচ্ছ বানিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করা ও এই ধরনের অভ্যাস যে কোনও কঠিন জিনিসকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে সাহায্য করে। 


পরীক্ষার আগের মানসিক প্রস্তুতি 

পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বিরত রাখতে হবে । এখন পরীক্ষাথীদের একমাত্র কাজ পরিকল্পনার মাধ্যমে অধ্যয়ন করা। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা, নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষজন থেকে নিজেদের দূরে রাখা। সর্বোপরি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে কারণ নিজের ওপর বিশ্বাসই হচ্ছে জীবনে উন্নতি লাভের একমাত্র পথ। 


পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কোনও পড়া কক্ষনো পড়তে যাবে না শুধুমাত্র পুরোনো পড়াগুলোই রিভিশন হবে। বেশি রাত্রি পর্যন্ত না জেগে পরের দিন পরীক্ষা দিতে গেলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকবে এবং ১০০ শতাংশ পরীক্ষার হলে উজাড় করে দেয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নেই: