শিশুর ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক বাবা-মা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। যদিও
শারীরিক শাস্তি কিংবা মানসিক চাপ দেওয়া কোনো শিশুর জন্যই ভালো নয়। তাহলে
শিশুর পড়াশোনার উন্নতির উপায় কি? এ লেখায় রয়েছে কিছু দারুণ উপায়, যা
বাস্তবে মেনে চলতে পারলে সহজেই শিশুর পড়াশোনায় উন্নতি করা সম্ভব হবে।
১. আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা
আপনার শিশু কোন উপায়ে শিক্ষা গ্রহণে সবচেয়ে আনন্দ পায় তা জেনে নিন। অনেক শিশুই শিক্ষার পাশাপাশি গান, নাচ, অঙ্গভঙ্গি, অভিনয়, আঙুল গননা কিংবা ভিন্ন কোনো উপায়ে খুব ভালো শিখতে পারে। তাই আপনার শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কোনটি তা জানুন ও শিক্ষায় কাজে লাগান।
আপনার শিশু কোন উপায়ে শিক্ষা গ্রহণে সবচেয়ে আনন্দ পায় তা জেনে নিন। অনেক শিশুই শিক্ষার পাশাপাশি গান, নাচ, অঙ্গভঙ্গি, অভিনয়, আঙুল গননা কিংবা ভিন্ন কোনো উপায়ে খুব ভালো শিখতে পারে। তাই আপনার শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কোনটি তা জানুন ও শিক্ষায় কাজে লাগান।
২. শিক্ষা বিনিময়
শুধু পাঠ্যবইতেই শিশুকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। আপনার শিশু কোন কোন বিষয় শিখল তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে নিজের জ্ঞান থাকলে তাও তাকে জানান। এভাবে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে আপনার সন্তান সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারবে।
শুধু পাঠ্যবইতেই শিশুকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। আপনার শিশু কোন কোন বিষয় শিখল তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে নিজের জ্ঞান থাকলে তাও তাকে জানান। এভাবে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে আপনার সন্তান সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারবে।
৩. ইউটিউবে শিখুন
ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব শুধু বিনোদনের বিষয় নয়। ইউটিউবে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও। বহু মজার উপায়ে কঠিন সব সূত্র শিখতে চাইলে ইউটিউবে অনুসন্ধান করুন এবং আপনার সন্তানকে তা দেখান।
ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব শুধু বিনোদনের বিষয় নয়। ইউটিউবে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও। বহু মজার উপায়ে কঠিন সব সূত্র শিখতে চাইলে ইউটিউবে অনুসন্ধান করুন এবং আপনার সন্তানকে তা দেখান।
৪. নিজেও শিখুন
শুধু সন্তানকে শিক্ষা দিলেই হবে না, নিজেও শিখে নিন। সন্তানের সঙ্গে নিজে পড়াশোনা করুন। এতে সে দারুণ উৎসাহিত হবে।
শুধু সন্তানকে শিক্ষা দিলেই হবে না, নিজেও শিখে নিন। সন্তানের সঙ্গে নিজে পড়াশোনা করুন। এতে সে দারুণ উৎসাহিত হবে।
৫. বিভিন্ন মাধ্যম একত্রিত করুন
আপনার সন্তানের শিক্ষার জন্য শুধু একটি বই যদি বারবার পড়তে হয় তাহলে তা একঘেয়ে হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য একত্রিত করুন।
আপনার সন্তানের শিক্ষার জন্য শুধু একটি বই যদি বারবার পড়তে হয় তাহলে তা একঘেয়ে হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য একত্রিত করুন।
৬. সঠিক স্থান বাছুন
শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন সব বিষয় শিশুর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই পড়ার টেবিলটি এমন স্থানে বসান যেখানে রেডিও কিংবা টিভির মতো মনোযোগ নষ্ট করার উপাদান নেই।
শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন সব বিষয় শিশুর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই পড়ার টেবিলটি এমন স্থানে বসান যেখানে রেডিও কিংবা টিভির মতো মনোযোগ নষ্ট করার উপাদান নেই।
৭. উৎসাহ ও প্রশংসা
উৎসাহ ও প্রশংসার পেলে শিশু পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই সর্বদা তাদের উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। সামান্য উন্নতিতেই প্রশংসা করুন।
উৎসাহ ও প্রশংসার পেলে শিশু পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই সর্বদা তাদের উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। সামান্য উন্নতিতেই প্রশংসা করুন।
৮. ছাড় দিন
পড়াশোনার জন্য যখন শিশু ব্যস্ত তখন অন্যান্য বিষয়গুলোতে ছাড় দিন। পরীক্ষা সারাবছর থাকবে না, এ বিষয়টি নিজে মানুন এবং তাকেও জানিয়ে দিন।
পড়াশোনার জন্য যখন শিশু ব্যস্ত তখন অন্যান্য বিষয়গুলোতে ছাড় দিন। পরীক্ষা সারাবছর থাকবে না, এ বিষয়টি নিজে মানুন এবং তাকেও জানিয়ে দিন।
৯. সময় ভাগ করুন
কোনো রুটিন ছাড়া পড়াশোনা করলে তা সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। আবার শিশুদের সঠিকভাবে রুটিন মেনে চলা কঠিনও হতে পারে। তাই শিশুর জন্য পড়ার সময় ভাগ করে দেওয়া উচিত আপনারই।
কোনো রুটিন ছাড়া পড়াশোনা করলে তা সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। আবার শিশুদের সঠিকভাবে রুটিন মেনে চলা কঠিনও হতে পারে। তাই শিশুর জন্য পড়ার সময় ভাগ করে দেওয়া উচিত আপনারই।
১০. পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিন
শিশুর পড়াশোনার সহায়তার জন্য পুরো পরিবারকেই এগিয়ে আসা উচিত। বাসার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো, ডিনার টেবিলে অংকের সূত্র লাগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাকে পড়াশোনায় এগিয়ে নিতে পারবে।
শিশুর পড়াশোনার সহায়তার জন্য পুরো পরিবারকেই এগিয়ে আসা উচিত। বাসার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো, ডিনার টেবিলে অংকের সূত্র লাগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাকে পড়াশোনায় এগিয়ে নিতে পারবে।
১১. অগ্রগতি খেয়াল রাখুন
শিশুর পড়াশোনায় অগ্রগতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কোনো সময় সে অমনোযোগিতা বা অন্য কোনো কারণে পিছিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হবে।
শিশুর পড়াশোনায় অগ্রগতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কোনো সময় সে অমনোযোগিতা বা অন্য কোনো কারণে পিছিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হবে।