দাঁতের ক্যাভিটি

 
দাঁতের ক্যাভিটি

দাঁতের ক্যাভিটির সমস্যা হল দাঁতে পোকা ধরার সমস্যা। দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং দাঁতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে খাবার খাওয়ার সময় অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হয়। এছাড়াও ক্যাভিটি যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে রুট ক্যানেল না করানো ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু ক্যাভিটির সমস্যা থেকে আমরা চাইলেই মুক্তি পেতে পারি। একটু সতর্কতাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।


আসুন জেনে নিই দাঁতের ক্যাভিটির সমস্যা প্রতিরোধে জরুরি কিছু করণীয়:

১) নিয়মিত ব্রাশ, ফ্লস এবং অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখুন। দাঁতের পাশাপাশি নজর দিন জিভের দিকেও। নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন জিভ।

২) চিনিযুক্ত ক্যান্ডি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যতোটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং যদি একেবারেই না খেয়ে থাকতে না পারেন তবে এই ধরনের খাবার যা দাঁতে লেগে থাকার সম্ভাবনা বেশি খাওয়ার পরপরই দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

৩) অতিরিক্ত স্টার্চ ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন চিপস, পাউরুটি, পাস্তা এবং অন্যান্য ক্র্যাকার থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্যাভিটির সমস্যাও দূরে থাকবে।

৪) যে সকল কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকসে অনেক বেশি মাত্রার চিনি, ফসফরাস এবং কার্বনেশন যৌগ রয়েছে তা একেবারেই পান করবেন না। এর পরিবর্তে তাজা ফলের রস পান করুন। এবং অবশ্যই ফলের রস পানের পর মুখ পরিষ্কার রাখুন।

৫) বাচ্চাদের নরম দাঁতে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়। তাই বাচ্চাদের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। বাচ্চাদের নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করতে দিন এবং টুথপিক ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রতি ৩ মাস পরপর বাচ্চাদের ব্রাশ বদলে দিন।

৬) দাঁতের ডাক্তারের কাছে সচরাচর যাওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু একটু কষ্ট করে হলেও বছরে দুবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে চেকআপ করান এবং দাঁতের যে কোনো সমস্যা অবহেলা না করে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

কোলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রণে সকালে খালিপেটে ভেজানো বাদাম