সোনা একটি অত্যন্ত মূল্যবান ধাতু। এটির একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। আর্থিক মূল্যের দিক থেকে সোনা কে তুল্য মূল্য বিবেচনা করা হয়।
সোনা উচ্চ নমনীয় এবং একটি ঘন, উজ্জ্বল হলুদ ধাতু। এটি তাপ এবং বিদ্যুতের একটি দুর্দান্ত পরিবাহী, যা গহনা, ইলেকট্রনিক্স এবং দন্তচিকিৎসা সহ বিভিন্ন প্রয়োগে এটি কার্যকর করে তোলে।
আরও পড়ুন : প্রতিদিন হলুদ খেলে কি হয়?
ইতিহাস জুড়ে সোনা সম্পদ, শক্তি এবং মর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিশরীয়দের মতো প্রাচীন সভ্যতাগুলি, ভারতীয়রা গয়না, অলঙ্কার এবং অন্যান্য আলংকারিক সামগ্রী তৈরি করতে স্বর্ণ ব্যবহার করত।
সোনা একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প, এবং বাজারের চাহিদা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে এর মূল্য ওঠানামা করতে পারে।
আপনার স্মার্টফোনও সোনা আছে। আইফোন হলে তো কথাই নেই। সাধরণ স্মার্ট তৈরি করতেও লাগে সোনা। একটি স্মার্টফোনে সামান্য পরিমাণে সোনা থাকলেও গোটা বিশ্বে যত স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় তার হিসেব কষলে মোট সোনার পরিমাণটাও কম নয়।
একটি হিসেব বলছে, খনি থেকে তোলা এক টন কাঁচা সোনা থেকে যতটা ব্যবহারযোগ্য সোনা পাওয়া যায় তার থেকে বেশি সোনা পাওয়া যায় এক টন বাতিল করা স্মার্টফোন থেকে। তাও আবার ব্যাটারি বাদ দিয়ে ওজন করার পরে। রাষ্ট্রসংঘের ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট সংক্রান্ত রিপোর্টের দাবি, ৪১টি ফোন থেকে ১ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়।
সোনা খুব ভাল তড়িৎবাহী ধাতু। সেই কারণে, ফোনের চিপের ভিতরে সোনা ব্যবহার করা হয়। ভাল সিগন্যাল পাওয়ার জন্যও ফোনে সোনার ভূমিকা রয়েছে। শুধু সোনাই নয়, স্মার্টফোন তৈরি করতে রুপো এবং প্ল্যাটিনামও ব্যবহার করা হয়। তা হলে স্মার্টফোনের দাম বেশি হবে না কেন?
একটি আইফোনে ০.০০১২ আউন্স সোনা থাকে। এছাড়াও ০.০১২ আউন্স রুপো এবং ০.০০০০১২ আউন্স প্ল্যাটিনাম থাকে। এছাড়াও যথাক্রমে ৫ সেন্ট ও ১২ সেন্ট করে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহৃত হয়।