জবর শীত। পারদ দিনকে দিন নামতেই থাকছে। শীতে জবুথবু। হাড়হিম শীতের আরাম যেমন লেপ-কাঁথা, তেমনি রুম হিটার। এখন বাজারে ও অনলাইন এ আকছার পাওয়া যায় রুম হিটার। সুতরাং আপনি কি শীতের শুরু থেকেই রুম হিটার ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন কি ?
রুম হিটার চটজলদি ঘর গরম করলেও নিয়মিত ব্যবহারে কিন্তু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ। তাই ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে।
প্রথমত, হিটার থেকে গরম বাতাস বেরিয়ে আসে। এর ফলে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায় ভীষণভাবে। এমনকী, ঘরের মধ্যের অক্সিজেন এর মাত্ৰা অনেকটাই কমে যায়। তাই, রুম হিটার ব্যবহারে যে নিয়মগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে-
Bhojpuri Song 2025: এটা ছাড়া শীতের পিকনিকে মজা পাওয়া যায় না।
আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘরে জল রাখুন
হিটার চালালে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, যা ত্বক ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে ঘরে একটি জলভর্তি পাত্র রাখতে হবে। আর্দ্রতা বজায় থাকবে। হিটার থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, তা ত্বককে অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়।
হিটারের কারণে অনিদ্রা, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনভেনশান হিটার, হ্যালোজেন হিটার অত্যাধিক ব্যবহারে ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন
হিটার ব্যবহারের সময় জানালা বা দরজা সামান্য হলেও খোলা রাখুন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। অক্সিজেনের ঘাটতি না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে হিটার থেকে দূরে থাকুন।
শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে। এই কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
আগুন থেকে রুম হিটার দূরে রাখুন
হিটারটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে কাপড়, কাগজ বা অন্য দাহ্য বস্তু কাছাকাছি না থাকে। হিটার চালানোর আগে নিশ্চিত করুন যে বৈদ্যুতিক সংযোগটি ঠিক আছে এবং হিটারটি নির্ধারিত তাপমাত্রায় কাজ করছে কিনা।
শিশু ও পোষ্যের থেকে দূরে রাখুন
রুম হিটার শিশু ও পোষ্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে রাখুন, যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। যে বাড়িতে গ্যাস হিটার বা এলপিজি হিটার বেশি ব্যবহার করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা যায়। এছাড়া কাশি, হাঁচি, বুকে ঘড়ঘড় শব্দ ও ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণ বেশি দেখা যায় এসব পরিবারেই। কারণ, এই হিটার থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেরোয়। যা ছোট ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলে।
রুম হিটার দীর্ঘ সময় না চালানো
রুম হিটার দীর্ঘ সময় চালাবেন না। অতিরিক্ত হিটার চালালে নানা সমস্যা হতে পারে। এছাড়া রুম হিটার নিয়মিত পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করুন, যাতে যান্ত্রিক কোনো গোলোযোগ না হয়।
প্রতিদিন হিটার ব্যবহারে যা হয়
কাশি, মাথাব্যথা, বমি বা গা গোলানো, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে, অ্যাজমার রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদি হিটার ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভালো। এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি শীতে আরামদায়ক এবং নিরাপদ থাকতে পারবেন।

