ফেং শুই - মানিব্যাগের রং-ই নির্ধারণ করে ধনভাগ্য


পার্সের কোন রং কী প্রভাব ফেলে অর্থভাগ্যে, জানায় ফেং শুই।


প্রাচীন চিনা বাস্তুশাস্ত্র বা ফেং শুই মানুষের ধনভাগ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। মানবজীবনে রং ও বস্তু কী কী প্রভাব ফেলতে পারে, ফেং শুই-এর অন্যতম উপজীব্য। কেবল গৃহ বা অন্তঃপুর নয়, ফেং শুই মতে আপনার ওয়ালেট বা মানিব্যাগও প্রভাব ফেলে আপনার অর্থভাগ্যে। কারণ, ওয়ালেট হল সেই বস্তু, যা সম্পদকে আক্ষরিক অর্থেই ধারণ করে। সুতরাং, পার্স বা ওয়ালেট কেনার সময়ে সতর্ক থাকাটা একান্তভাবেই প্রয়োজন।

জেনে নিন কী বলছে ফেং শুই ওয়ালেট বা মানিব্যাগের রং সম্পর্কে—


ফেং শুই মতে, সোনালি, হলুদ, গোলাপি, সাদা, কালো— এই রংগুলির মধ্যে ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণের প্রবল ক্ষমতা রয়েছে। এই সব রংয়ের ওয়ালেট সৌভাগ্য এনে দেয়।
  • যাঁরা দ্রুত অর্থলাভ করতে চান, অর্থোপার্জনে ঝুঁকি নিতে পিছপা হন না, তাঁরা যেন ভুলেও সোনালি রংয়ের পার্স ব্যবহার না করেন। মনে রাখতে হবে, পুরো পার্সটির রং সোনালি না হয়ে যদি আংশিক সোনালিও হয়, তা হলেও এই পার্স থেকে দূরে থাকতে হবে চটজলদি আর্থিক সাফল্যের সন্ধানীদের। ধৈর্যশীলদের ক্ষেত্রে এই রংই সৌভাগ্যকে সূচিত করে।

  • গোলাপি রংয়ের পার্স মহিলাদের ক্ষেত্রে সৌভাগ্য এনে দেয়। গোলাপি রংটির সঙ্গে সম্পদবৃদ্ধির সংযোগ রয়েছে।

  • হলুদ পার্স অর্থভাগ্যে ঔজ্জ্বল্য এনে দেয়। চকচকে হলুদ পার্স এমন ক্ষেত্রে দ্রুত ফল দেয়। যদি তা না পাওয়া যায়, সাধারণ হলুদ রংও কাজে আসে।

  • কালো পার্স সব থেকে কমন। ফেং শুই মতে, কালো রংটি অত্যন্ত শক্তিশালী। অর্থ সঞ্চয়কে এই রং নিশ্চিত করে। একথাও বলে ফেং শুই, যদি কেউ অর্থসংকটে পড়েন, তিনি যেন তৎক্ষণাৎ কালো ওয়ালেট ব্যবহার শুরু করেন।

  • লাল ও নীল পার্স সম্পর্কে ফেং শুই সাবধানবাণী শোনায়। এমন রংয়ের ওয়ালেট বা পার্স নেগেটিভ এনার্জি নিয়ে আসে। লাল রং ‘আগুন’-এর প্রতীক। তা বহু কিছুর অস্তিত্বকেই ধ্বংস করে দেয়। সৌভাগ্যকেও লাল রং ধ্বংস করে। আর নীল রং ‘জল’-এর প্রতীক। এই রংও লালের মতো বিপজ্জনক। সৌভাগ্যকে ডোবাতে নীল রংয়ের জুড়ি নেই।

৮টি খাবার তাড়াতাড়ি চুল পেকে যাওয়া রোধ করে


বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকবেই কিন্তু তা বলে অল্প বয়সেই চুল পেকে গেলে তা অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়। বার্ধক্য এবং জিনগত কারণ ছাড়াও অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং শরীরে পুষ্টির অভাব থেকেও চুল পেকে যেতে পারে তাড়াতাড়ি। নিয়মিত স্ট্রেস-রিলিফ এক্সারসাইজ করলে এবং প্রয়োজনমতো ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার খেলে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নীচে রইল তেমনই ৯টি খাবারের কথা। এগুলি পাকা চুল রোধ করে যেমন পাশাপাশি স্ক্যাল্প ভাল রাখে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।


১. আখরোট—

আখরোটে থাকে প্রচুর পরিমাণ কপার বা তামা। এই তামাই চুলে মেলানিন উৎপন্ন করে, যার জেরে চুল থাকে কালো।

২. শেলফিশ—

যে কোনও খোলাযুক্ত সামুদ্রিক প্রাণী যেমন, অয়স্টার, চিংড়ি বা কাঁকড়ায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা-৩ চুলে পাক ধরা আটকায়। 

৩. লিভার—

প্রাণীজ লিভার বা মেটে ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ হয়। এই ভিটামিনটি যেমন রক্তাল্পতা দূর করে তেমনই চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে। 

৪. ব্রকোলি—

চুলে পাক ধরা আটকাতে শরীরে প্রয়োজন পরিমিত পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড যা প্রচুর অনুপাতে পাওয়া যায় ব্রকোলিতে। 

৫. সামুদ্রিক মাছ—

স্যামন, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলি প্রতিদিন বাজারে না পেলেও পমফ্রেট, ভেটকি, পারশে ইত্যাদি খেলেই চলেন।

৬. সূর্যমুখী বীজ—

সূর্যমুখী বীজের তেলে ভিটামিন ই, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে। রান্নায় তাই সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করা ভাল। এছাড়া এই তেল দিয়ে বাদামের পেস্ট তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগালেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৭. ডাল—

ডালেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি১২ এবং বি৯। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একবাটি ডাল রাখা খুবই জরুরি। 

৮. কাবলি ছোলা—

কাবলি ছোলা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ একটি খাবার। রোজ না হলেও সপ্তাহে দু’তিনদিন খেলেও উপকার হবে।