Madhyamik 2025 : এই কৌশল গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করলে সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ শনিবার পর্যন্ত। হাতে রয়েছে আর মাত্র কিছুদিন। ৮ দিন ধরে মোট আটটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। শেষ দিনে হবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। 

এখন দেখে নেয়া যাক , রুটিন অনুযায়ী কোন পরীক্ষার আগে কতদিন ছুটি।


মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন:

১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (সোমবার)- বাংলা

১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার)- ইংরেজি

১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার) - গণিত

১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (সোমবার)- ইতিহাস

১৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (মঙ্গলবার )- ভূগোল

১৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বুধবার)- জীবন বিজ্ঞান

২০ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)- ভৌত বিজ্ঞান

২২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ (শনিবার)- ঐচ্ছিক বিষয়


ছাত্র ছাত্রী দের পরীক্ষা প্রস্তুতির সাথে সাথে একটা চিন্তা থাকে কিভাবে পরীক্ষার ফল ভালো করা যায়। কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল ভালো করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় প্রতিদিনের পড়াশোনা ও তার পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করার। তাহলে অনেক কম পরিশ্রমেও সহজেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সফ্টড্রিংক ড্রিংক গ্রহণ করার পর বোতল ফেলে দিচ্ছেন? পেতে পারেন স্মার্টফোন।

সুতরাং সব বিষয়ে আগামী পরীক্ষায় বাজিমাত করতে হলে প্রতিদিনের কার্যপ্রণালী বা পরীক্ষা হলে নিচের সহজ কৌশল গুলি অবলম্বন করলে পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো হতে বাধ্য ।

Success mantra of Madhyamik 2023

সুন্দর উপস্থাপনা

বাংলায় প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে - 'প্রথমে দর্শনধারী, পরে গুনবিচারী। অর্থাৎ পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতা যেন সৌন্দর্যপূর্ণ হয় যেন সহজেই পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরিস্কার, পরিছন্ন হাতের লেখা, প্রয়োজন অনুযায়ী মার্জিন ছেড়ে লেখা, প্রতিটি উত্তরের মাঝে নিদিষ্ট ভাবে ছেড়ে লেখা ইত্যাদি একটি ভালো খাতার বৈশিষ্ট। চেষ্টা করতে হবে যাতে ভুল বানান বা অযথা লিখে খাতায় কাটা কাটি না করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পেলো হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 

সময় ব্যবস্থাপনা

এটা ভুল ধারণা যে প্রচুর লিখে অনেক নম্বর পাওয়া যায়। প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেইটুকু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেই সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায়। এতে সময় অপচয় কম হবে আর সময়ের অভাবে প্রশ্নত্তর না লিখে আসার সম্ভাবনাও আর থাকবে না।

২০২০ সালের আপনার মিস হয়ে যাওয়া কিছু বাংলা সিনেমা 

না দেখে লেখার অভ্যাস করা

যে কোনও লেখা বুঝে পরার পর, না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে। আমরা যায় পড়ি না কেন, কখনো টা হুবহু মনে থাকে না। তাই প্রথম দিকে না দেখে লিখতে গেলে টা ভুলে ভরা হবে, কিন্তু প্রতিদিন অভ্যাস করলে একসময় নির্ভুল হবেই। কথায় আছে 'Practice makes a man perfect.


পড়াশোনার ধারাবাহিকতা

পড়াশোনা করার ধারাবাহিকতা ভীষণ দরকার। অল্প হলেও প্রতিদিন পড়তে হবে। হটাৎ করে পরীক্ষার আগে, দিন রাত এক করে পড়লেও ভালো ফলাফল সম্ভব নয়। বিশেষ করে বিষয় ভিত্তিক বুঝে পর্বে হবে। বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণ বা অংকের মত বিষয় প্রতিদিন চর্চার মধ্যে রাখতে হবে, তবে ফুল মার্কস পাওয়া যাবে।


মাধ্যমিক পরীক্ষাজেনে নিন ২০১৫ সাল থেকে কারা প্রথম স্থান পেয়েছে

প্রশ্ন নির্বাচন

অল্প লিখে ভালো নাম্বার পাওয়ার অন্যতম পন্থা - যেমন কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে তা নির্বাচন করা। যেমন ধরা যাক প্রশ্নমান - ৫ - এরকম তিনটি প্রশ্ন রয়েছে - যাদের নম্বর বিভাজন ৩ রকমের। প্রথম টি পুরো ৫ নম্বরের, দ্বিতীয় টি - ( ১+ ৪) ও তৃতীয় টি (২+৩), এক্ষেত্রে তৃতীয় প্রশ্নটি চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ প্রশ্নের মান যত কম হবেব তত কম লিখতে হবে ও নম্বর কাটা যাওয়ার সুযোগ কমতে থাকবে।

ভারতের ২৫ টি বিভিন্ন উৎসব

সৃজনশীলতা.

নোট বই থেকে উত্তর মুখস্হ করে হুবহু লিখতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই কিছু শব্দ বাদ পরে যাওয়া খুব সাধারণ একটি ভুল - সেক্ষেত্রে লাইন টির অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো যদি নিজেদের মত করে গুছিয়ে সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করা যায়। এতে লেখার সৃজনশীলতা আসবে ও ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না।

কালিম্পঙ এর নিরালায় কাগে  অন্য স্পট 

Offbeat Explorer Kaghey at Kalimpong

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি:

যে সকল ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে নিয়ম করে উপস্থিত থাকে ও ক্লাস লেকচার শোনে তারা অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ছেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো ফলাফল করে। কারণ ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক কঠিন বিষয় দীর্ঘক্ষন আলোচনার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বুঝিয়ে দেন, যা আত্মস্থ করতে পারলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

এই যুগে মহাপুরুষ মনীষীদের কিছু দরকারী বাণী এবং কেন প্রয়োজন |

গ্ৰুপ স্টাডি করা:

ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি গুরুত্ব পূর্ণ টেকনিক। একটা সঙ্গে গ্রুপ করে পড়লে সে বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মে, ফলে পড়ার বিষয় যেমন সহজ হয়, তেমনি একে অপরকে প্রশ্নত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুশীলন করলে দীর্ঘদিন সেই উত্তর স্মৃতিতে গেথে থাকে। এতে শেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।

কেদারনাথে সোনায় বাধানো গর্ভগৃহ

'To the point' লেখা

জ্ঞান মুলক প্রশ্নের (মান - ১) ক্ষেত্রে একটি পূর্ণ বাক্য উত্তর লিখলেই যথেষ্ট। আখ্যানধর্মী প্রশ্নের ( মান - ৩) ক্ষেত্রে দুটি প্যারায় উত্তর লিখতে হবে। অন্যদিকে রচনা ধর্মী প্রশ্নের (মান -৫) ক্ষেত্রে ৩টি প্যারা বাঞ্চনীয়।

২০১৯ সালের কিছু ভালো বাংলা সিনেমা

সঠিক পরিকল্পনা :- 

অনেক সময় দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল পায় না, এর প্রধান কারণ হল সঠিক পরিকল্পনার অভাব। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে এবং সময়সূচি মেনে পড়াশোনাও করতে হবে। এই সময়সূচিতে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে পঠনপাঠন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি নিজ হাতে লিখে নিতে হবে। 


রিভিশনের ওপর গুরুত্ব দেয়া:- 

প্রতিদিন পড়ার পাশাপাশি যা আগে পড়া হয়েছে তা রিভিশন অবশ্যই করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরোনো পড়া রিভিশনের এর জন্য রাখতে হবে। রিভিশন যত বেশি করবে আত্মবিশ্বাস তত বৃদ্ধি পাবে এবং পুরোনো পড়াগুলো অনেক বেশি মনে থাকবে।


মক টেস্ট ও পুরোনো প্রশ্নপত্র অনুশীলন:- 

অনুশীলন পারফেকশন আনে। পড়াশোনা শুধুমাত্র মুখস্থ করলেই হবে না বুঝে মুখস্থ করে তা বারবার অনুশীলন করতে হবে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ও মক টেস্ট সমাধান করতে হবে। শুধু পড়ার চেয়ে লিখে অনুশীলন করলে বিষয়বস্তু বেশিদিন মনে থাকে। অনুশীলনের মাধ্যমে ভুলগুলি চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে। বাড়িতে পরীক্ষার মাধ্যমিক এর মতো পরিবেশ তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের সাহায্য নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।


স্মৃতি ধরে রাখার কৌশল 

প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একটি বিশেষ সমস্যা হল পড়া ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পড়ার সময় মূল পয়েন্টগুলোকে মার্ক করতে হবে এবং বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রাখতে হবে। একনাগাড়ে এক ঘণ্টার বেশি পড়া যাবে না এবং যা পড়লে তা কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে আবার নতুন পড়ার দিকে এগোতে হবে।


মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা 

পড়ার মাঝে এবং কিছু সময় বিনোদন ও শরীরচর্চার জন্য ব্যয় করতে হবে। মাঝে মাঝে মন অশান্ত হয়ে উঠলে ধ্যানের মাধ্যমে কোনও মহাপুরুষ বা তুমি যাকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ভক্তি করো তাঁর কথা ভাবতে হবে। দেখা যাবে মন শান্ত হয়ে গিয়েছে। কঠিন বিষয়বস্তুকে উদাহরণ মনে রাখার ক্ষেত্রে নিজেরাই ছড়া বানিয়ে বা কোনও বর্ণগুচ্ছ বানিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করা ও এই ধরনের অভ্যাস যে কোনও কঠিন জিনিসকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে সাহায্য করে। 


পরীক্ষার আগের মানসিক প্রস্তুতি 

পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বিরত রাখতে হবে । এখন পরীক্ষাথীদের একমাত্র কাজ পরিকল্পনার মাধ্যমে অধ্যয়ন করা। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা, নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষজন থেকে নিজেদের দূরে রাখা। সর্বোপরি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে কারণ নিজের ওপর বিশ্বাসই হচ্ছে জীবনে উন্নতি লাভের একমাত্র পথ। 


পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কোনও পড়া কক্ষনো পড়তে যাবে না শুধুমাত্র পুরোনো পড়াগুলোই রিভিশন হবে। বেশি রাত্রি পর্যন্ত না জেগে পরের দিন পরীক্ষা দিতে গেলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকবে এবং ১০০ শতাংশ পরীক্ষার হলে উজাড় করে দেয়া যাবে।

Ghost: বাংলার ভৌতিক চরিত্র, একা রাতে এই তথ্য পড়ার সময় আপনিও একবার পিছন ফিরে তাকাবেন!

কিছুদিন আগেই স্ত্রী-২ সিনেমা রিলিজ হয়েছিল, স্ত্রী-২ ভুতের চরিত্র সারকাটা অর্থাৎ মাথা কাটা, এই সারকাটা বা ভুলভুলাইয়ার মঞ্জুলিকার মত বাংলায় অসংখ্য ভৌতিক চরিত্র অর্থাৎ অশরীরী চরিত্র বর্তমান।



বাংলার লোকসাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করবার সময় প্রথমেই যা নজরে আসে তাহল বাংলার ভৌতিক লোককথা। এই ভৌতিক লোককথার গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ভুতুড়ে চরিত্র। বাংলার অসংখ্য লেখক এই ভৌতিক চরিত্র গুলোর উপর গল্প উপন্যাস লিখে গেছেন। 

আরও পড়ুন : ২০২৪ এ সর্বাধিক আয় করেছিল ভারতের যে সিনেমা 

ভূত হল এক ধরনের অতৃপ্ত আত্মা। প্রাচীন লোককথা থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পর যে সমস্ত মানুষের আত্মা শান্তি খুঁজে পাইনি পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়িয়েছে তারাই হল ভূত। শুধু তাই নয় লোকসাহিত্য এটাও বলা হয়েছে, জীবজন্তুর আত্মাও মৃত্যুর পরে মুক্তি না পেলে অশরিরীয় শক্তিতে পরিণত হয়। বাংলার ভৌতিক লোককথায় ভুত, দৈত্য- দানব এই চরিত্রগুলি খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। শুধুমাত্র প্রাচীনকালে নয় বর্তমান সময়কালের রূপকথার গল্পেও এই চরিত্রগুলির বিবরণ পাওয়া যায়।


ভারতীয় লোকসাহিত্যে অনেক প্রকার ভুতূরে চরিত্রের প্রকাশ পাওয়া যায়। সেই সম্পর্কে নিম্নে কিছু ধারণা প্রদান করা হলো-


ডাইনি: 

লোকসাহিত্য থেকে জানা যায়, ডাইনি কোন আত্মা নয় এরা মৃত বা জীবিত দুধরনের হতে পারে। এরা  সাধারণত  জীবিত বৃদ্ধা নারী যারা ডাইনিবিদ্যায় পারদর্শী। এরা নিজেদের বৃদ্ধা রুপ লুকিয়ে যুবতী রূপ ধারণ করে থাকে এবং গ্রামগঞ্জের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্বীকার করে। এই শিশুদের তুলে এনে হত্যা করে এরা তাদের রক্ত মাংস খেয়ে দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।


ব্রহ্মদৈত্য: 

প্রাচীনকালের অতি পরিচিত এক ধরনের ভূতুড়ে চরিত্র হলো ব্রহ্মদৈত্য। লোককথায় জানা যায়, ব্রহ্মদৈত্য হল অভিশাপগ্রস্ত ব্রাহ্মণের অতৃপ্ত আত্মা। সাধারণত এরা ধুতি ও পৈতা পরিধান করে থাকে এবং সমাজে এদেরকে পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এরা অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির হয়। বহু দুঃখী মানুষকে সাহায্য করে থাকে এবং বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করে।


দেও: 

এমন এক ধরনের ভূত যারা নদীতে বা

জলাশয় বসবাস করে। লোকমুখে শোনা যায়, এরা লোকজনকে জলে ডুবিয়ে মারে।


পেত্নি: 

প্রাচীন  ভৌতিক লোককথার একটি জনপ্রিয় চরিত্র হল পেত্নি । এরা হল নারীদের অতৃপ্ত আত্মা । লোককথা অনুসারে যেসমস্ত নারীরা বেঁচে থাকার সময় নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কোনটাই পূরণ করতে পারিনি। বিয়ের আগেই কোনো দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এবং তারা নিজেদের জীবনে কোনো খারাপ কাজ করবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সে সমস্ত নারীদের আত্মা মৃত্যুর পরেও মুক্তি না পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়ায়, এরাই পেত্নী নামে পরিচিত।


পেত্নীরা খুব বদমেজাজী হয়। এরা নিজের রূপ ও আকার বদলাতে পারে, এমনকি পুরুষের রূপ ধারণ করতে পারে। এরা সেইসব মানুষদের পছন্দ করে না যারা সুখে শান্তিতে বেঁচে আছে।


গেছো ভূত: 

গেছো  শব্দটি এসেছে গাছ থেকে। এমন কিছু ভূত রয়েছে যারা গাছে বাস করে তাদের বলা হয় গেছো ভূত।


বুকে চোখ: 

এই ধরনের প্রেতাত্মার কোন মাথা থাকে না। এদের বুকে একটিমাত্র চোখ থাকে এবং এরা মানুষের স্বপ্নে এসে ভয় দেখায়। এমনকি এই ভূতেরা রাতের একাকী মুহূর্তে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে।


পিশাচ: 

পিশাচ এক ধরনের দানব। এরা কোন আত্মা নয় দেহধারী শয়তান। এরা মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে। প্রাচীন লোককথা অনুসারে  এরা প্রায় এক হাজার, এক রাত্রি বেঁচে থাকে।


বোবা: 

রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে মানুষের উপর ভর করে এমন প্রেতাত্মার নাম বোবা। সাধারণত চিৎ হয়ে শুলে নাকি বোবা সহজে মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। এই সময় মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মানুষের বিকৃত স্বরে গোঙাতে থাকে এবং সহজে তাকে জাগিয়ে তোলা যায় না। এই সময় মানুষের  শরীরও  অসাড় হয়ে পড়ে।


মামদো ভুত: 

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, মামদো হলো মৃত মুসলমানদের আত্মা। মামদো ভূতের  শ্রেণীভূক্ত পেতাত্মা। এটি পুরুষ ভূত, এই ভূত বাতাসে মিশে থাকে এবং লোকালয়ের আশেপাশে কোন গাছ গাছরা আশ্রয় নেয়। এরা মানুষকে বিপদে ফেলতে এবং অনিষ্ট করতে অনেক আনন্দ পেয়ে থাকে।


টাকরা-টাকরি: 

লোককথায় টাকরা- টাকরি নামক এক অশরিরীয় প্রেতাত্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা ছোট ছোট শিশুদের ধরে খেয়ে ফেলে বলে  দীর্ঘদিন ধরে  প্রচলিত রয়েছে।


জিন: 

জিন জাতিতে হলো মুসলিম। এরা এক অশরীরী  ও শয়তান। এদের কোন রোগ নেই এরা অন্ধকারে  সবার অন্তরালে বাস করে। আরবি জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো অদৃশ্য বা গুপ্ত। এরা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে যেমন জিন-শয়তান, এরা শয়তানের বংশধর যারা ভগবানের আদেশ অমান্য করে খারাপ পথ বেছে নেয় এবং মানুষের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। এরা বিভিন্ন রূপও ধারণ করতে পারে।      


দ্বিতীয় হল ক্কারিন, এরা মানুষের মনে পাপের সঞ্চার ঘটায়। এরপর রয়েছে খাসিব, এরা নোংরা স্থানে থাকে এবং মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। 


লোককথা অনুসারে, কিছু ভালো জিনও রয়েছে। যারা মানুষের সাহায্য করে থাকে কিন্তু খারাপ জিন অনেক বেশি ক্ষতি করা হয়। এরা খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং সহজেই মানুষকে বশ করে নিতে পারে। এদের কোন রুপ বা আকার থাকেনা, কিছু অদ্ভুত শব্দের মাধ্যমে এরা  মানুষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।


ভূতুড়ে আলো: 

রাতের অন্ধকারে খোলা স্থানে ও জলাভূমির কাছাকাছি কোন স্থানে এই ধরনের আলো দেখতে পাওয়া যায়। মাটি থেকে একটু উপরে এই আলোগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকে। এই আলোগুলি  নিজেদের আকার রং বদলাতে পারে। এরা কখনো ধীরে আবার কখনো খুব দ্রুত গতিতে যাত্রা করে। যে মানুষেরা এই আলোগুলির পিছু নেয়  তারা আর কখনো ফিরে আসে না।


সুন্দরবন ও রাজস্থানে এই আলো প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, এই আলোর জন্যে বহু জেলেরা তাদের প্রাণ হারিয়েছে।


জুজু: 

এটি  হল স্ত্রীভূত। জুজু আসলে বৃদ্ধা  পিশাচ। লৌকিক কাহিনী অনুসারে, এরা ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যায়।


বেতাল: 

হিন্দু লোককাহিনী মতে, বেতাল একটি অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন প্রাণী। এটি  আত্মা বিশেষ  যার কোন মৃত্যু নেই, সে যে কারোর শরীরে ভর করতে পারে। 


বেতাল শ্মশান ঘাটে ঘুরে বেড়ায় এবং মৃত মানুষের শরীরে নিজেদের বাসা তৈরি করে। এরা সাধারণত গাছে উল্টো ঝুলে থাকে। রাজা বিক্রমাদিত্যের গল্পেও বেতাল চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।


কানাভুলো: 

এই শ্রেণীর ভূতেরা পথিকের গন্তব্য ভুলিয়ে দেয় এবং কোন নির্জন, অচেনা এলাকায় তাদের নিয়ে আসে। এদের জন্য কখনো কখনো মানুষের একই পথ দিয়ে বারবার যাত্রা করে ও ঘুরপাঁক খেতে থাকে। এরা তাদের শিকারকে পছন্দমত স্থানে নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করে। এই ভুতেরা নির্জন এলাকায় মানুষকে আক্রমন করে। এই ধরনের ভূতেদের  রাতে গ্রামের মাঠের ধারে এবং পথের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। 


ঝেয়ো পেত্নী: 

এই পেত্নীরা নিজেদের ঝাউগাছ লুকিয়ে রাখে। এরা পথযাত্রীদের নানাভাবে অত্যাচারিত করে।


ভরসন্ধ্যাবেলায় কোন পথিক একা একা ঝাউবন বেরোবার সময় তাদের এই পেত্নীরা গাছের সবচাইতে   উচু ডালে চড়িয়ে দেয়। 


ডাকিনী: 

ডাইনী বুড়িদের একশ্রেণীর মধ্যে হলে ডাকিনী। এরা পুকুর ধারে কোন নারকেল বা তাল গাছে বাস করে। ডাকিনী পাতিহাঁস খেতে খুব পছন্দ করে। এদের অন্যতম একটি অভ্যাস হলো, এরা দিনে দুপুরে মেয়েদের রুপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।


মেছোভুত: 

মেছো শব্দটি বাংলা মাছ শব্দ থেকে এসেছে। মেছো ভূতেরা মাছ খেতে খুব পছন্দ করে, এরা সাধারণত গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে যেখানে বেশি পাওয়া যায় সেসব স্থানে বাস করে।


মেছোভুত নির্জন স্থানে মাছ বহনকারী ব্যক্তিদের আক্রমণ করে, মাছ ছিনিয়ে নেয় আবার কখনো কখনো তাদের পিছু নিয়ে ফেলে। এরা জেলেদের নৌকা থেকে মাছ চুরি করে খেয়ে নেয়।


চোরাচুন্নি: 

প্রাচীন কাহিনী অনুসারে, চোরাচুন্নি হলো এমন কোনো অতৃপ্ত  আত্মা যারা  জীবিত অবস্থায় চুরির কাজে নিযুক্ত ছিল। মৃত্যুর পর কোন চোরেরা মুক্তি না পেলে তারাই চোরাচুন্নি তে পরিণত হয়।

                           

চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির হয় এরা মানুষের অনিষ্ট করতে থাকে। কথিত আছে, পূর্ণিমা রাতে এরা মানুষের বাড়িতে ঢুকে ক্ষতি সাধন করে। এদের হাত থেকে বাঁচতে গঙ্গাজল এর ব্যবস্থা করা হয় বাড়িতে।


কিচনি: 

কিচনি হলো জলের এক অলৌকিক জীব। এরা বদ্ধ পুকুর এবং জলাশয় বসবাস করে। যে স্থানের জল বেশি গভীর হয় সেখানে কিচনি থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। লোককথায় জানা যায়, কিচনির অনেক লম্বা কালো ঘন চুল থাকে।


বেঘোভূত: 

লোককাহিনী অনুসারে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, যেসব মানুষের মৃত্যু বাঘের আক্রমণের কারণে হয়েছে তাদের অতৃপ্ত আত্মারাই রুপ নেয় বেঘোভূতের।


বেঘোভূতেরা বনে আগত মধু সংগ্রহকারীদের পথ ভুলিয়ে বাঘের কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং তাদের ভয় দেখানোর জন্য কখনো কখনো বাঘের স্বরে ডেকে ওঠে। সাধারণত সুন্দরবন এলাকায় এ ধরনের ভূতের উপদ্রব বেশি প্রচলিত।


নিশি: 

ভূতেদের মধ্যে অন্যতম হলো নিশি এরা নির্জন এলাকায় মানুষ কে একা পেয়ে আক্রমণ করে। নিশি গভীর রাতে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে তার শিকারকে তাদের প্রিয়জনের কন্ঠে ডাক দেয় এবং ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার চেষ্টা করে। যে মানুষেরা নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে তাদের আর কোনদিনও দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে মনে করে, কিছু তান্ত্রিক প্রতিশোধের জন্য নিশিকে ব্যবহার করে থাকে। তবে লোককথা থেকে জানা যায়, নিশি কখনোই কোন মানুষকে দুবারের বেশী ডাকতে পারেনা।


স্কন্ধকাটা: 

এরা হলো এক অলৌকিক জীব। এরা মাথাবিহীন হয়ে থাকে এবং এলাকা বিশেষে এরা বিভিন্ন নামে পরিচিত। এরা হলো সেইসব মানুষের আত্মা যাদের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনায় মাথা কাটা পড়ার কারণে হয়েছে। এই শ্রেণীর ভূতেরা সবসময় তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায় এবং অন্যান্য মানুষকে আক্রমণ করে নিজের দাসে পরিণত করে। শুধু তাই নয় তাদেরকেও তার মাথা খোঁজার কাজে লাগায়। এরা পথের পাশে কোন গর্তে ঝোপেঝাড়ে বাস করে।