শীতের মরসুম ২০২৪ : ভালো জ্যাকেট, শীতের পোশাক খোঁজ করছেন কি?

শীত চলে এসেছে। কিছুদিন ধরেই হিম হিম আবহ টের পাওয়া যাচ্ছে । বড়দিনের দোরগোড়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়া কোথাও তো কুয়াশাঘেরা ঠান্ডা,  আবহাওয়াই জানান দিচ্ছে, শীত বুঝি জেঁকে ধরল। কাজেই আলমারি থেকে শীতের কাপড় নামানোর চিন্তাও শুরু হয়ে গেছে এবার। 



শহরের দিকে এখন শীতের কামড় টের পাওয়া শক্ত। অনেকেই তাই ভারী জ্যাকেট এড়িয়ে চলেন। যদি ক্যাজুয়াল সাজ বেশি পছন্দ হয় তবে সুতি, উল, নিট কাপড়ের তৈরি ফুলস্লিভ টি-শার্ট, ভারী হাইশোল্ডার জিপার টি-শার্ট পরতে পারেন।

শীতের একটা বড় সুবিধা হলো এ মৌসুমে সব পোশাকই পরা যায়। যে জামা পরে গ্রীষ্মে অস্বস্তি লাগে শীতে তা অনায়াসে চাদর, হুডি, ওভারকোট কিংবা জ্যাকেটের নিচে পরা যায়।

হাইশোল্ডার ভারী ফুলস্লিভ টি-শার্টে বড় আকারের বোতাম, হাতা বা নিচের দিকটায় নানা ধরনের কাটের চল এসেছে। কোনোটির সামনের দিকে চেনও থাকতে পারে। চাইলে ভেতরে পরতে পারেন রঙিন টি-শার্ট। সামনের চেন বা বোতাম খুলেও দেখাতে পারেন টি-শার্টের রঙের ঝলক।

 

শীতে কদর কমেনি জ্যাকেটের। জ্যাকেট মানেই আঁটসাঁট পোশাক ভাবা হতো। এখন বৈচিত্র্য এনেছে করডোরি জ্যাকেট, ক্রপ জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, লেদার, ক্যানভাস, টুইল কিংবা কটন জ্যাকেট। দামটা নাগালেই থাকে। জ্যাকেটের নকশার ক্ষেত্রেও এসেছে ভিন্নতা। আগে একরঙার চল থাকলেও এখন প্রিন্ট ও ফিগার মোটিফ তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়।


আবার সব বয়সের মানুষই হুডি পরছেন দেদার। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডি, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটারের পাশাপাশি গেঞ্জির কাপড়ের সামনে পকেটওয়ালা হুডিও পেতে পারেন। এখন হুডি টি-শার্টে নকশার বৈচিত্র্য চোখে পড়ছে বেশি। হুডিতে ফ্লোরাল প্রিন্ট, ফিগার কিংবা বিভিন্ন ডুডলও দেখা যাচ্ছে।


ডেনিমের পোশাকে আভিজাত্য টের পাওয়া যায়। ডেনিমের টপস, টিউনিক, জ্যাকেট, শ্রাগের সঙ্গে চলে হালকা শীতের জন্য উইন্ড ব্রেকার, শাল ও ডেনিম জ্যাকেট। সঙ্গে ডেনিমের প্যান্ট, টি-শার্ট, মোটা ফেব্রিকের শার্টও পরেন অনেকে। মেয়েদের মধ্যে এখন প্রচলন বেশি ঢোলা জিনসের। ব্যাগি, স্ট্রেট কাট, বুটকাট লেগ, ফ্লেয়ার জিনস বেশ কদর পাচ্ছে সব বয়সী নারীদের কাছে।


শীতের জন্য গরম পোশাক কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে আপনি বেঁচে যেতে পারেন চুলকানি, জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন সমস্যা থেকে।


শরীরের আকৃতি অনুযায়ী পোশাক কিনুন 


আগে নিজের শরীরের আকৃতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিন। কাউকে একটা গরম পোশাকে মানালেই যে সেটা আপনাকেও মানাবে, এমনটা হয় না। নানা স্টাইল পরখ করে দেখতে থাকুন। দৈর্ঘ্য, আকৃতি ও রঙের সঙ্গে মানায় কি না, সেটাই বড় কথা।


সবসময় চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যের মধ্যে থাকা বাজেটে স্টাইলিং করতে। আর হ্যাঁ, অনলাইন থেকে কেনাকাটার আগেও সাবধানতা অবলম্বন করুন। যদি কোনো গরম পোশাক অর্ডার করার পর সেটি আপনাকে না মানায় অথবা অন্য কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে যেন ফেরত দিতে পারেন সেটি দেখে টার্মস কন্ডিশন বুঝে কিনুন।


উপকরণ ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকরণ সেরা হয়ে থাকে। যদি ঠান্ডা হয় উল বা পালক, যদি ভেজা এবং বাতাস হয় তাহলে জল প্রতিরোধী এবং বায়ুরোধী কাপড় নির্বাচন করা উচিত। 

পোশাক এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে করে আবহাওয়ার সঙ্গে তা মানানসই হয়। এমন কিছু নয় যা আবহাওয়ার সঙ্গে যাবে না, হতে পারে সেগুলো সুন্দর। কিন্তু আরাম করে কখনোই সেগুলো পরিধান করতে পারবেন না এবং সম্ভবত এটির জন্য অনুশোচনা করতে হতে পারে।


শীতের পোশাক কেনার আগে কি করবেন :

পছন্দের দোকানে যাওয়ার আগে অনলাইন স্টোর গুলো ঘুরে নিন। Amazon, Flipcart, Messo, Myntra এই স্টোর গুলো দেখে নিতে পারেন। জ্যাকেট এর জন্য অন্য একটি সেরা স্টোর Decathlon। 

 এখন বহুজাতিক অনেক মল যেমন Jio, Tata Zudio, VMART, Smar-Bazar ইত্যাদি অনেক ভালো ও কম বাজেটের জ্যাকেট পেয়ে যাবেন। দোকানে বা মলে জিনিস দেখার পর প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে কিনে ফেলবেন না। দোকান থেকে বের হয়ে একটু হেঁটে বা কফি খেয়ে নিজের পছন্দের পোশাকটি আবার ট্রায়াল দিয়ে নিন। যদি তখনো মনে হয় ওই পোশাকেই মানাচ্ছে, তাহলে কিনে নিন। অনেক সময় দেখা যায়, প্রথম দেখাতে পছন্দ হলেও খানিক পর কম বাজেটের মধ্যে ওটার চেয়ে ভালো জিনিস পাওয়া যায়।


ভালো জ্যাকেট কেনার ক্ষেত্রে কি দেখবেন :

যে কোনো বাজার চলতি জ্যাকেট থেকে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জ্যাকেট কেনাই ভালো। বাজার চলতি জ্যাকেটের দামেই হয়। এক্ষেত্রে ৮০০/- টাকা ঠেকে ৩৫০০/- টাকা দাম হতে পারে। একটি জ্যাকেট শুধুমাত্র একটি শীতের মাত্র ২ থেকে ৩ মাসের জন্য নয়, সম্ভবত যাতে ৬ থেকে ৮ বছর চলে সেই হিসেবে কেনা উচিত। 


জ্যাকেটের সাইজ ঠিকঠাক দেখে নিতে হবে। এমন কোনো বড় সাইজ পছন্দ করলেন যাতে বেঢপ মনে হচ্ছে, আবার এমন কোনো সাইজ যেখানে নিজের হাত উপর দিকে উঠাতে কষ্ট হচ্ছে। 


ফুলস্ক্যাপ জ্যাকেটের ক্ষেত্রে হাতের গ্রিপের দিকে ইলাস্টিক থাকলে ভাল হয়।


জ্যাকেটের চেন যাতে স্মুথ হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।


জ্যাকেটের সাথে হুডি থাকলে অব্যশই শীতের সময় আলাদা অ্যাডভান্টেজ, এক্ষেত্রে আলাদা করে টুপি বহন করতে হবে না। হুডি রাউন্ড সেফ দড়ি বাধা থাকলে খুব ভালো হয়।


ভালো ব্র্যান্ডেড কোম্পানির জ্যাকেট 

অনলাইন বা মল বা দোকানে কিনতে পারেন :

Allen Solley (Rs. 1500/- to Rs. 2500/-)

Boldfit (Rs. 1200/- to Rs. 2000/-)

Breakbounce (Rs. 1200/- to Rs. 2500/-)

Columbia (Rs. 3600/- to Rs. 8600/-)

Dollar (Rs. 1200/- to Rs. 2000/-)

Duke (Rs. 1500/- to Rs. 3000/-)

Lee (Rs. 1500/- to Rs. 2500/-)

L'monte (Rs. 4500/- to Rs. 6500/-)

Nike (Rs. 6000/- to Rs. 8000/-)

Puma (Rs. 3000/- to Rs. 4000/-)

Wildcraft (Rs. 4500/- to Rs. 5500/-)

Woodland (Rs. 5000/- to Rs. 6000/-)

Wrangler (Rs. 2400/- to Rs. 4000/-)


প্রাকৃতিক রং দেখে জিনিস কিনুন 


কালো, নেভি ব্লু, ছাই, বাদামি—সাধারণত এ কয়েকটা রঙের গরম পোশাক বেশি কেনা হয়। রংগুলো সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে যায়। তবে যদি উজ্জ্বল রঙে যেতে চান তবে কয়েকবার ভেবে দেখুন। উজ্জ্বল রঙে মাঝেমধ্যে বোল্ড লুক দিয়ে থাকে। তবে শীতের জন্য কেনা পোশাকটিতে প্রাকৃতিক রংই মানায় বেশি। সাদা রঙের জ্যাকেট  কেনা থেকে এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো কারন কারণে অকারণে ময়লা বেশি হয়। 


কিছু মতামত:

- কেনার আগে নিজের পছন্দের পোশাকটি বন্ধু বা পরিবারে সদস্যদের শেয়ার করুন। তাদের মতামতও হতে পারে কাজের কাজ।


- শীতের কাপড় আলমারি থেকে বের করে সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, বছর ধরে বাক্সবন্দি থাকা অব্যবহৃত গরম কাপড়গুলোয় ভ্যাপসা ভাব থাকে। নেতিয়েও যায়। আলমারি থেকে বের করে সরাসরি গায়ে চাপানোটা স্বাস্থ্যসম্মতও নয়। কাজেই ব্যবহারের সময় ঘনিয়ে এলে পরিষ্কার করে নিন আগে, রোদে কিছুক্ষন ফেলে রেখে তারপর গায়ে দিতে পারেন।


- সোয়েটার ব্যবহারের আগে ধুয়ে নেওয়া ভালো। সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করে ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু বা easy মিশিয়ে এটি ধোয়া উচিত। সাদা কাপড়ের বেলায় সোয়েটার কখনোই ব্রাশ বা হাত দিয়ে ঘষে ধোয়া উচিত নয়। আর জলে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিলে ভালো হয়।


- ফ্লানেলের কাপড় ও অন্যান্য চাদরের ক্ষেত্রেও সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে না ধুয়ে শ্যাম্পু দিয়ে বা easy দিয়ে ধুলে উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে এবং ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রেখে একটু কচলে নিলেই ময়লা চলে যায়। বেশি ময়লা হলে হালকা গরম জল মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সামান্য কচলে নিতে পারেন।


- কোট আর লেদারের কাপড় ঘরে না ধুয়ে লন্ড্রিতে ড্রাই ক্লিন করিয়ে নিন। ব্যবহারের পর হালকাভাবে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।


- কাশ্মীরি ও পশমি চাদর ব্যবহারের আগে ভালোভাবে রোদ লাগিয়ে গায়ে দিতে হবে। এগুলো জল দিয়ে ধোয়া উচিত নয়। শুধু ড্রাইওয়াশ করাতে হয়।


- শীতে বেশি ময়লা হয় মোজা, টুপি ও মাফলার। এগুলো কিছুদিন পরপর সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।


যা মনে রাখতে হবে :

- উলের জামাকাপড় উল্টে নিয়ে তারপর আয়রন করুন।

- শীতের কাপড়ে ভুলেও কখনো পারফিউম দিয়ে রাখবেন না। তাহলে কাপড়ে দাগ পড়ে যাবে।

- ঘন ঘন শীতের পোশাক ধোবেন না। এতে পোশাক তার কোমলতা আর ঔজ্জ্বল্য হারায়।

- ঘামযুক্ত শীতের পোশাক আলমারিতে রাখবেন না। পোকার আক্রমণ হতে পারে।

- উলের পোশাক ঝুলিয়ে শুকাতে দেবেন না।

গতিধারা প্রকল্প ২০২৫ : সরকারি প্রকল্পে গাড়ি কিনে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৪ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পে সরকারি ভর্তুকিযুক্ত ঋণের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীগণ বাণিজ্যিক গাড়ি কিনে সেই গাড়ি থেকে আয় করতে পারবেন। ঋণ যে কোনো জাতীয় ব্যাংক, কোঅপারেটিভ ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়। যেকোনো ছোট বা বড় বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে এই প্রকল্পে। 


প্রকল্প গতিধারা : 

পরিবহন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার 

কারা আবেদন করতে পারবেন :

ক. যে কোন বছরের ১লা এপ্রিলের হিসেবে ঐ যুবক/যুবতীর কুড়ি বছরের বেশি কিন্তু ৪৫ বছরের কম হতে হবে। তবে তপশিলি জাতি, আদিবাসী ও ওবিসিদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩ বছরের ও ৫ বছরের ছাড় থাকে। 

খ. আবেদনকারী কে বেকার হিসেবে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত হতে হবে। 

গ. পরিবারিক মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার বেশি হবে না। 

ঘ. যুবশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তড়াও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে, তবে গতিধারায় আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পরেই যুবশ্রী প্রকল্পের ভাতা বন্ধ হতে পারে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও প্রাপ্য পরিষেবা :

বেকার এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত যুবক- যুবতীদের পরিবহন ক্ষেত্রে স্বনিযুক্তির সুযোগ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। 



নতুন সিনেমা কিভাবে পাবেন? ক্লিক করে জেনে নিন।

আবেদনকারী বাণিজ্যিক গাড়ি কিনলেই রাজ্য সরকারের পরিবহন বিভাগ মোট দামের ৩০% অথবা সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে দেবে এবং ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে না। 

এছাড়া সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও সমবায় ব্যাঙ্ক ছাড়াও প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ১৩টি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কর্পোরেশান (NBFC) থেকে গতিধারা প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে। 

এই প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কিনলে পরিবহন বিভাগের সহায়তায় পারমিট পেতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 

পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন কাঠামো উন্নয়ন নিগম এই প্রকল্পের কার্যকরী এজেন্সি হিসাবে কাজ করছে।

গতিধারা গতিধারা প্রকল্পের জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হবে:

জেলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক। জেলা পরিবহন দপ্তর আবেদনপত্র গ্রহণ করবে এবং আবেদনের ভিত্তিতে একটি লিস্ট বের করবে। 

এই প্রকল্পের ঋণ দেওয়া হবে শ্রম দপ্তর (লেবার ডিপার্টমেন্ট ) থেকে।

সজনে পাতার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এদিক ওদিক নানা জানা অজানা তথ্য

সজনে গাছটি ‘অলৌকিক গাছ’ হিসাবেও পরিচিত এবং এর একটি কারণ রয়েছে। গাছের পাতা, ফল, রস, তেল, শিকড়, বাকল, বীজ, শুঁটি ও ফুলের ঔষধি গুণ রয়েছে। গাছ থেকে উৎপাদিত পণ্যের অনেক ব্যবহার রয়েছে। এটি ‘ড্রামস্টিক ট্রি’ নামেও পরিচিত। এটি বেশিরভাগ এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়। সজনে পাতাকে অনেকে ‘মরিঙ্গা পাতা’ নামেও চেনে। আজকের আলোচনা সজনে পাতার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য।



১. ক. সজনে পাতা উচ্চ পুষ্টিতে ভরাঃ

সজনের পাতাগুলি পুষ্টির দিক থেকে খুব সমৃদ্ধ। এটি পুষ্টিগত মূল্যের দিক থেকে গাজর, কমলা এবং এমনকি দুধকে পিছনে ফেলে। পাতাগুলির ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে অনেকগুলি ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ তারা বহুমুখী এবং বিভিন্ন উপায়ে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এগুলিকে জুসে যোগ করা এবং ভাজা সবজি হিসাবে ব্যবহার করা হল, সবচেয়ে সাধারণ উপায়। যখন এগুলো প্রাকৃতিক আকারে খাওয়া হয়, তখন সজনে পাতার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

আরও পড়ুন : অকালে চুল পাকা আটকাবেন কিভাবে 

সজনে পাতার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ


২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধঃ


সজনে পাতা ভিটামিন এ, সি, বি১ (থায়ামিন), বি২ (রাইবোফ্লাভিন), বি৩ (নিয়াসিন), বি৬ এবং ফোলেট সমৃদ্ধ। এছাড়াও তারা ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ। এক কাপ পাতায় ২ গ্রাম প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম (RDA-এর ৮ শতাংশ), ভিটামিন B6 (RDA-এর ১৯ শতাংশ), আয়রন (RDA-এর ১১ শতাংশ), Riboflavin (RDA-এর ১১ শতাংশ) এবং ভিটামিন A (RDA-এর ৯ শতাংশ) থাকে। তাই এর উপকারিতা অনেক।


৩. অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধঃ


সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক। তাদের মধ্যে ১৮ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায় এবং তাদের প্রতিটিই আমাদের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।


৪. প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেঃ


প্রদাহ হল কীভাবে একটি শরীর স্বাভাবিক ভাবে ব্যথা এবং আঘাতের প্রতিক্রিয়া জানায়। আইসোথিওসায়ানেটের উপস্থিতির কারণে সজনে পাতাগুলি প্রদাহ বিরোধী প্রকৃতির। এতে নিয়াজিমিসিন রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের বিকাশে রাজত্ব করতে পরিচিত। ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অনেক অটোইমিউন রোগের মতো অনেক রোগের মূল কারণ হল প্রদাহ। আমরা যখন আঘাত বা সংক্রমণ ভোগ করি, তখন শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি পায়।

মূলত, এটি আঘাতের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রক্রিয়া। কিন্তু একটি ভুল জীবনধারা এবং একটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের কারণে শরীরে প্রদাহ বাড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। সজনে পাতা খাওয়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।


৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ


এই পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং পরিবেশে উপস্থিত ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। র‍্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট টাইপ 2 ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা এবং আলঝেইমারের মতো অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য দায়ী। সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে।

এতে রয়েছে Quercetin যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সজনে পাতায় উপস্থিত আরেকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। যা খাবারের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।


মহিলাদের উপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে তিন মাস ধরে নিয়মিত ১.৫ চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে রক্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


৬. রক্তে শর্করার মাত্রা কম করে :


দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। ডায়াবেটিস পরিবর্তে, হার্টের সমস্যা এবং শরীরের অঙ্গ ক্ষতি করতে পারে। এটি এড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ভাল। সজনে পাতা এর জন্য একটি নিখুঁত সম্পদ। কারণ এতে আইসোথিওসায়ানেটের উপস্থিতির কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে।


৭. কোলেস্টেরল কমায়ঃ


ওটস, ফ্ল্যাক্সসিড এবং বাদাম ছাড়াও, সজনে পাতা উচ্চ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিকার। কোলেস্টেরল হল মানুষের হৃদরোগের প্রধান কারণ এবং এই পাতা খাওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার বিরুদ্ধে যথেষ্ট উন্নতি দেখায়। Moringa oleifera সেই মাত্রা কমাতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা সাধারণত উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল অনুভব করেন, যা তাদের মেয়াদে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কি? এটি এক ধরনের ডায়াবেটিস যা গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রথম সনাক্ত করা হয় যাদের গর্ভবতী হওয়ার আগে ডায়াবেটিস ছিল না। সজনে পাতা অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।


৮. লিভার রক্ষা করেঃ


যাদের যক্ষ্মা আছে তারা সজনে পাতা থেকে প্রচুর উপকার পেতে পারে। কারণ এই পাতা যক্ষ্মাবিরোধী ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব কমায়। পাতা লিভারের কোষের মেরামতকে ত্বরান্বিত করে। পাতায় পলিফেনলের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা লিভারের অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এমনকি এটি কমাতে পারে। এগুলো লিভারে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায়।


লিভার হল রক্তের ডিটক্সিফিকেশন, চর্বি বিপাক এবং পুষ্টি শোষণের স্থান। লিভারের এনজাইমগুলি স্বাভাবিক থাকলেই এটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। সজনে পাতা এই লিভার এনজাইমগুলিকে স্থিতিশীল করে।


৯. আর্সেনিক বিষাক্ততা থেকে রক্ষা করেঃ


বিশ্বের অনেক জায়গায়, আর্সেনিক দূষণ একটি সাধারণ সমস্যা। আর্সেনিক অনেক খাদ্য সামগ্রী, বিশেষ করে ভাতের মাধ্যমে আমাদের সিস্টেমে তার পথ খুঁজে পেয়েছে। এই উপাদানটির দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার ক্যান্সার এবং হৃদরোগের বিকাশ ঘটাতে পারে। গবেষণাগারের প্রাণীদের উপর গবেষণায় দেখা গেছে যে সজনে পাতা আর্সেনিক বিষাক্ততার প্রভাব মোকাবেলা করে।


১০. পেটের জন্য ভালোঃ


সজনে পাতা হজমের সমস্যায় উপকারী। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, গ্যাস, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকায় সজনে বা মরিঙ্গা পাতা যোগ করা উচিত। পাতাগুলিতে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা হজমের ব্যাধিগুলির বিরুদ্ধে একটি আদর্শ প্রতিকার হিসেবে গড়ে তোলে। এমনকি পাতায় প্রচুর পরিমাণে বি ভিটামিন হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে।


১১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়ঃ


এই পাতা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের সমৃদ্ধ উৎস। এই দুটি উপাদানই হাড়ের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। যেহেতু মোরিঙ্গা পাতাগুলির একটি প্রদাহ-বিরোধী প্রকৃতি রয়েছে, তাই তারা আর্থ্রাইটিস মোকাবেলায় সহায়তা করে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্থ হাড়গুলিও নিরাময় করতে পারে। এই পাতা ওলিফেরা অস্টিওপোরোসিসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এবং হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখে।


১২. এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করেঃ


সজনে পাতা অ্যান্টিসেপটিক এবং অনেক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এগুলি ক্ষত নিরাময়ের জন্য উপকারী। ক্ষত, ছোটখাটো কাটা এবং পোড়া দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে কারণ তারা জমাট বাঁধার সময় কমায়।


১৩. স্তন্যপান করানোর উন্নতিঃ


ঐতিহ্যগত আয়ুর্বেদিক ওষুধে, মায়েদের স্তন্যপান বাড়াতে সজনে পাতা ব্যবহার করা হত। যেহেতু এগুলি প্রোটিন, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস। তাই মোরিঙ্গা পাতা খাওয়া মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।


১৪. ওজন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করেঃ


সজনে পাতা শরীরের চর্বি বার্ন বাড়ায়। এটি শক্তির মজুদ হ্রাস না করেই ব্যক্তিকে স্লিম করে। এটি ব্যক্তিকে প্রফুল্ল এবং পুষ্ট বোধ করায়। খাবারের লোভ কমায় এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। এগুলি কোলেস্টেরলও কম করে।


১৫. ত্বক এবং চুলের জন্য ভালোঃ


প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টির কারণে, এই পাতা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করে। এগুলি ত্বকে নমনীয়তা যোগ করে এবং চুলকে উজ্জ্বল করে। পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা কমায়। এতে প্রায় ৩০ টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শুধু তাই নয়, সজনে পাতার একটি পেস্ট মাথার ত্বকে লাগালে চুলে খুশকি কমে যায় এবং নিস্তেজ, প্রাণহীন চুলে প্রাণ ফিরে আসে। পাতা চুলের ফলিকলকেও শক্তিশালী করে। এগুলো ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্যও ভালো। এই কারণেই সজনে পাতা অনেক প্রসাধনীর অংশ। ত্বকের টোন উন্নত করে এবং বিশুদ্ধ প্রকৃতি ও থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে একটি উজ্জ্বলতা যোগ করে মুখে।


১৬. স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভালোঃ


অনেক স্নায়বিক ব্যাধি সজনে পাতা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফল দেখাতে পরিচিত। এই পাতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে এবং নিউরো-বর্ধক হিসাবে কাজ করে। ভিটামিন ই এবং সি এর উচ্চ ঘনত্ব নিউরাল অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। যাদের মাইগ্রেন আছে বা বারবার মাথাব্যথায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত মোরিঙ্গা পাতা খেতে হবে। এই পাতাগুলি মেজাজের ভারসাম্যকারী হিসাবেও কাজ করে কারণ তারা সেরোটোনিন, ডোপামিন এবং নোরাড্রেনালিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের উৎপাদনকে স্থিতিশীল করে। যা স্মৃতি, মেজাজ এবং উদ্দীপনা-প্রতিক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


১৭. ডিটক্সিফিকেশন জন্য ভালোঃ


সজনে পাতা প্রাকৃতিক ক্লিনজার এবং সিস্টেমকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এগুলো শরীরে শক্তির মাত্রাও বাড়ায়।


সম্ভাব্য খারাপ দিক: 


সজনে এবং এর পাতা সবার জন্য নাও হতে পারে। সাধারণত বেশিরভাগের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচিত হলেও, কিছু ছোটখাটো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা লক্ষ্য রাখতে হবে। বড় মাত্রায়, পাতা, বাকল, শিকড় এবং সজনে ফলের রেচক বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে, এর শিকড়, বাকল এবং নির্যাস জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের তাদের ডায়েটে সজনে পাতা বা পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

একইভাবে, বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের এই পাতা এড়ানো উচিত কারণ এটি অজানা যে কোন রাসায়নিক বা পদার্থ দুধের মাধ্যমে শিশুর কাছে যেতে পারে কিনা।

কিছু ক্ষেত্রে, পাতার গুঁড়োতে সুপারিশকৃত সহনীয় পরিমাণের চেয়ে বেশি সীসা পাওয়া গেছে, অনুগ্রহ করে আপনি শুধুমাত্র নামী কোম্পানি থেকে ব্যবহার করেন এমন কোনো নির্যাস উৎস করুন।

পরিশেষে, এটি সুপারিশ করা হয় যে রক্ত ​​পাতলা ব্যক্তিদেরও সজনে পাতা এড়ানো উচিত যদি না আপনি প্রথমে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেন। সমস্ত জিনিসের মতো, পরিমিতভাবে নেওয়া হলে এটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ হতে পারে, তাই সর্বদা সতর্কতার সাথে এটি ব্যবহার করুন।


উপসংহারঃ


সজনে পাতা পুষ্টির একটি শক্তিশালী পাঞ্চ প্রদান করে এবং একটি প্রদাহ বিরোধী প্রকৃতি আছে। এর সেলুলার-স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে মিলিত অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্যগুলি একে একটি ‘সুপারফুড’ করে তোলে। এটি প্রদাহজনক এনজাইম উৎপাদন এবং নিম্ন চিনির মাত্রা দমন করে। সমৃদ্ধ স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি কাটাতে এগুলিকে আপনার ডায়েটের একটি নিয়মিত অংশ করুন।