শীত পড়ছে! আসছে ২০২৬ সাল এখন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবেন যেসব খাবারের মাধ্যমে

যে খাবার যেভাবে খাবেন 


টমেটো:

টমেটোতে থাকা উপাদান ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা, সতেজ ও মসৃন করে। টমেটো মূলত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি পুষ্টিকর ফল/সবজি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, হৃদ্‌স্বাস্থ্য, ত্বক ও চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। সকালে খালি পেটে টমেটোর রস পান করুন। এছাড়া টমেটোর রস চালের গুঁড়ি দিয়ে মুখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রকৃতির টোনার হিসেবে কাজ করে। 



গাজর :

ইজের কোষ দেহনের, ত্বক পরিমাৎ উজ্জ্বল করা ও ত্বকের শুভতা কমাতে সহায্য করে। 


(প্রতিদিন রাসায়নিকযুক্ত চিকিৎসা বা সাপ্লিমেন্টের পেছনে ছুটছেন? সেসব ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। )

- ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে  

- সেল রিজেনারেশন বাড়িয়ে ত্বকের টোন ও টেক্সচার উন্নত করে ।

- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে ত্বককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে ।

- ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বালা কমায়, হাইড্রেটেড রাখে ।

- প্রাকৃতিক সূর্য সুরক্ষা প্রদান করে, রোদে পোড়া বা ট্যান কমাতে সাহায্য করে।  

- বার্ধক্যজনিত সমস্যা যেমন বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা কমিয়ে তরুণত্ব ধরে রাখে।  

- ব্রণ ও দাগ কমাতে সাহায্য করে। 

- ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে কোলাজেন উৎপাদন উজ্জীবিত করে। 

- ত্বকের ডিটক্সিফিকেশন এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।  

- গাজরের তেলের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।  

সকালে এক থেকে দুটি গাজরের রস পান করুন। এছাড়া গাজর সেদ্ধ করে সবজির সঙ্গে বা স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন।


পেঁপে:

পেঁপেতে থাকা এঞ্জাইম পাপেইন প্রোটিন ভাঙ্গতে সাহায্য করে, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। এছাড়া পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাসিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায়, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং ত্বক ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও পেঁপে উপকারী ভূমিকা পালন করে। এই সব কারণেই পেঁপে স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই কার্যকরী ফল।


 নিয়মিত তাজা পেঁপে খাওয়ার পাশাপাশি পেপের পেশী মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মতো রেখে জল অমোদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


লেবু :

লেবু ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। লেবু ত্বককে উজ্জ্বল করে, ব্রণ ও পিম্পল কমায়, ছিদ্র শক্ত করে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কক্ষে সৃজন বাড়ায়। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও উপকারী, কারণ লেবু অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া লেবু বয়সের দাগ, কালো দাগ হালকা করতে এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা বার্ধক্যরোধক হিসেবে কাজ করে। তবে সরাসরি ব্যবহারে সতর্কতা থাকতে হবে কারণ লেবু সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে খুশকিতে পড়তে পারে 


লেবুর ত্বকের উপকারিতা সংক্ষেপে:

- ত্বক উজ্জ্বল করেব্রণ ও পিম্পল কমায়

- ছিদ্র শক্ত করে এবং তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে

- মৃত ত্বক এক্সফোলিয়েট করে

- বয়সের দাগ ও কালো দাগ হালকা করে

-কোলাজেন বৃদ্ধি করে, বার্ধক্যরোধে সাহায্য করে


ব্যবহারের সতর্কতা:

লেবুর রস খুব বেশি ব্যবহারে ত্বকে জ্বালা বা শুষ্কতা হতে পারে 

সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করার আগে সতর্কতা জরুরিলেবুর রসকে জল বা মিশ্রণের মাধ্যমে পাতলা করে ব্যবহার করা উচিত।


আপনি যদি লেবু ত্বকে ব্যবহার করতে চান, তবে প্রথমে ছোট অংশে পরীক্ষা করে দেখুন এবং প্রয়োজনে ত্বকের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


মুখে লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া স্যালাড বা ভাল যেকোনও সবজির ওপর লেবুর বস দিয়ে খেতে পারেন। 


হলুদ 

হলুদ হলুদ ত্বকের ব্রণ নিস্তেজতা কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনের হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি দুধে একটু হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন, যা স্বাস্থ্য ও ত্বক উভয়ের জন্য ভালো। এছাড়া হলুদ ও দইয়ের সঙ্গে মাখিয়ে ব্যবহার করা যায়।


ত্বকের উপরে হলুদের উপকারের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

-প্রদাহ কমায় এবং ফুসকুড়ি দূর করে

-ত্বককে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে

-ময়িশ্চারাইজ করে ও শুষ্ক ত্বক নরম করে

-ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ত্বকের সংক্রমণ কমায়

-ক্ষত বা দাগ দ্রুত সেরে ত্বক মসৃণ করে

-উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের রঙ উন্নত করে

-বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে

-ত্বকের তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে

-মেলানিন কমিয়ে ব্রণ রোধে সহায়ক


এই সুবিধাগুলো হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর জন্য সম্ভব হয়।



পালংশাক: 

পলাশকে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। 


এটি স্যালাড সুপ্, স্মৃদিতে মিশিয়ে খাওয়া যায় । 


ত্বকের উপর পালং শাকের উপকারের তালিকা নিম্নরূপ:

-ত্বককে নরম ও মসৃণ করে

-অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে 

-বয়সের ছাপ কমায়

-প্রদাহ কমিয়ে ত্বকের লালচে ভাব দূর

- করেময়শ্চারাইজ করে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে

-ত্বকের দাগ ও বিবর্ণতা কমাতে সহায়ক

-গ্লো বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে

-ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে

-ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে

-সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে


এই সুবিধাগুলো পালং শাকের সমৃদ্ধ ভিটামিন, মিনারেল, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে সম্ভব হয়।


সত্যি বলতে, এই শীতের দিনে হয়েক সবজি পাতে রাখতে হবে। তাহলেই অনেকটা চিন্তা মুক্তি সম্ভব।

ليست هناك تعليقات: