পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৪ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পে সরকারি ভর্তুকিযুক্ত ঋণের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীগণ বাণিজ্যিক গাড়ি কিনে সেই গাড়ি থেকে আয় করতে পারবেন। ঋণ যে কোনো জাতীয় ব্যাংক, কোঅপারেটিভ ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়। যেকোনো ছোট বা বড় বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে এই প্রকল্পে।
প্রকল্প গতিধারা :
পরিবহন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কারা আবেদন করতে পারবেন :
ক. যে কোন বছরের ১লা এপ্রিলের হিসেবে ঐ যুবক/যুবতীর কুড়ি বছরের বেশি কিন্তু ৪৫ বছরের কম হতে হবে। তবে তপশিলি জাতি, আদিবাসী ও ওবিসিদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩ বছরের ও ৫ বছরের ছাড় থাকে।
খ. আবেদনকারী কে বেকার হিসেবে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত হতে হবে।
গ. পরিবারিক মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার বেশি হবে না।
ঘ. যুবশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তড়াও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে, তবে গতিধারায় আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পরেই যুবশ্রী প্রকল্পের ভাতা বন্ধ হতে পারে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও প্রাপ্য পরিষেবা :
বেকার এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত যুবক- যুবতীদের পরিবহন ক্ষেত্রে স্বনিযুক্তির সুযোগ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
নতুন সিনেমা কিভাবে পাবেন? ক্লিক করে জেনে নিন।
আবেদনকারী বাণিজ্যিক গাড়ি কিনলেই রাজ্য সরকারের পরিবহন বিভাগ মোট দামের ৩০% অথবা সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে দেবে এবং ওই অর্থ ফেরত দিতে হবে না।
এছাড়া সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও সমবায় ব্যাঙ্ক ছাড়াও প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ১৩টি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কর্পোরেশান (NBFC) থেকে গতিধারা প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কিনলে পরিবহন বিভাগের সহায়তায় পারমিট পেতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন কাঠামো উন্নয়ন নিগম এই প্রকল্পের কার্যকরী এজেন্সি হিসাবে কাজ করছে।
গতিধারা গতিধারা প্রকল্পের জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হবে:
জেলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক। জেলা পরিবহন দপ্তর আবেদনপত্র গ্রহণ করবে এবং আবেদনের ভিত্তিতে একটি লিস্ট বের করবে।
এই প্রকল্পের ঋণ দেওয়া হবে শ্রম দপ্তর (লেবার ডিপার্টমেন্ট ) থেকে।
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق